পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা । একলা যখন তিনি দাড়িয়েছিলেন তখন পশ্চিম মহাদেশেও নারী অবলাই ছিল এবং তার অধিকার ছিল সকল দিকেই সঙ্কীর্ণ ; যখন তিনি রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে স্বজাতির সন্মান দাবী করেছিলেন তখন দেশে রাষ্ট্রীয় আন্দোলনের স্বত্রপাতও হয়নি। মমুষ্যত্বের উপকরণ-বৈচিত্র্যকে তিনি তার সকল শক্তি দিয়েই সম্মান করেছিলেন। মানুষকে তিনি কোনো দিকেই খৰ্ব্ব ক’রে দেখতে পারতেন না, কারণ র্তার নিজের মধ্যেই মনুষ্যত্বের পূর্ণতা অসাধারণ ছিল। এক শত বৎসর উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। এখনো তার সত্য পরিচয় দেশের কাছে অসম্পূর্ণ, এখনো তাকে অসম্মান করা দেশের লোকের কাছে অসম্ভব নয় ; যে উদার দৃষ্টিতে র্তার মহত্ব মুস্পষ্ট দেখা যেত সে দৃষ্টি এখনো কুহেলিকায় আচ্ছন্ন। কিন্তু, এতে সেই কুহেলিকার স্পৰ্দ্ধার কোনো কারণ নেই। জ্যোতিষ্ককে আবৃত ক’রে সমস্ত প্রভাতকে যদি সে ব্যর্থ কী’য়ে দেয় তবু সেই জ্যোতিষ্ক কুহেলিকার عجی میخی عیبیه میه উড়িষ্যায় সুবৃহৎ প্রাচীন বৌদ্ধপীঠ Եած > ८5ंश्च द् ि७ भक्ष । भङ्क् दांश्ट्झिब्र कर्हिं दiक्षांब्र भं} থেকেও কাজ করে, আলোকের অনাদরে তার বিলুপ্তি হয় না। রামমোহন যে শক্তিকে চালনা ক’রে গেছেন সেই শক্তি আজও কাজ করচে, এবং অবশেষে এমন দিন আসবে যখন তার অবিচলিত প্রতিষ্ঠাকে তার বীর্ধ্যবান অপ্রতিহত মহিমাকে সৰ্ব্বাস্তঃকরণে স্বীকার করবার মতো অন্ধসংস্কারমুক্ত সবল বুদ্ধি ও নির্বিকার শ্রদ্ধার অবস্থায় দেশ উত্তীর্ণ হবে। আমরা যারা তার কাছ থেকে মানুষকে প্রচুর বিয়ের মধ্যে দিয়েও সত্য করে দেখবার প্রেরণা লাভ করি তার প্রত্যেক অসন্মানে আমরা মৰ্ম্মাহত হই, কিন্তু তার জীবিতকালেও শত শত অবমাননাতেও তার কল্যাণশক্তিকে কিছুমাত্র স্কুঞ্জ ক'রে নি, এবং তার মৃত্যুর পরেও সকল অবজ্ঞার মধ্যে সেই শক্তি জাগ্রত থেকে অকৃতজ্ঞতার অন্তরে অস্তরেও সফলতার বীজ বপন করবে। উড়িষ্যায় মুরহৎ প্রাচীন বৌদ্ধপীঠ ঐ হারাণচন্দ্র চাকলাদার উদয়গিরি, ললিতগিরি, রত্নগিরি-উড়িষ্যার এই গিরিত্রয় ভারতীয় শিল্পকলার যে শ্রেষ্ঠ নিদর্শনসমূহ প্রায় সহস্রবৎসর কাল বক্ষে ধারণ করিয়া রহিয়াছে, তাহা এখনও শিক্ষিত ভারতবাসীর অপরিজ্ঞাত-ইহা অপেক্ষা বিস্ময়ের বিষয় আর কি হইতে পারে ? কি শুপ, মন্দির প্রভৃতি শিল্পনিদর্শনের প্রাচুর্য্যে, কি প্রস্তরগঠিত মূৰ্ত্তিসমূহের সংখ্যায়, বিশালতে অথবা মনোমুগ্ধকর শিল্পনৈপুণ্যে, এ স্থান নালন, বরস্থত, সারনাথ, অমরাবতী প্রভৃতি ভারতবর্ষের প্রধান যৌদ্ধপীঠসমূহ অপেক্ষ বিশেষ হীন নহে। গৌড়মণ্ডলে পাল সম্রাটগণের প্রাধান্তের যুগে শিল্পের যে শ্রেষ্ঠ আদর্শ মৃঙ্গ, বঙ্গ, মগধ প্লাবিত করিয়া যবদ্বীপে চরম বিকাশলাভ করিয়াছিল, উৎকল কলিঙ্গেও তাঁহারই একটি তরঙ্গ এই তিনটি গিরিশিখরকে স্পর্শ করিয়া উড়িষ্যাকে বৌদ্ধ শিল্পের একটি প্রধান কেন্দ্রে পরিণত করিয়াছে। ভারতীয় শিল্পকলার ইতিহাসে এই কেন্দ্র বর্জিত হইলে ইতিহাসের একটি উজ্জল পৃষ্ঠা অস্পষ্ট রহিয়া যাইবে । ইহার প্রত্নসমৃদ্ধি এবং শিল্পসম্পদের পরিচয় প্রাপ্ত হইলে প্রত্যেক ঐতিহাসিক ও কলাবিং ইহাকে ভারতবর্ষের একটি শ্রেষ্ঠ দর্শনীয় স্থান মনে করিবেন তাহাতে বিন্দুমাত্রও সন্দেহ নাই। বঙ্কিমচন্দ্র একদিন ললিতাগরি-দর্শনে বিস্ময়বিমুগ্ধ হইয়া ইহার ললিত-ভাস্বর ভাস্করশিল্পের ষে উজ্জ্বল বর্ণনা প্রদান করিয়াছেন, বাঙ্গালী পাঠকের সমক্ষে তাহা ধারণ করিলেই এ স্থানের শিল্পসম্পদের গরিমা হৃদয়ঙ্গম হইবে। র্তাহার বরলেখনীপ্রস্থত বিবরণ দীর্ঘ হইলেও এ স্থলে সমগ্রভাবে উদ্ধৃত করিবার প্রলোভন সংবরণ করিতে পারিলাম না। বঙ্কিমচন্দ্র লিখিয়াছেন—