পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিবাজীর দক্ষিণ-বিজয় SY يحية ينههه "لاه * سنة سر - عيد - - ووعد AAA S AAS AA AAAA SSSSSS MAMAMAMMMAAA S S _ এই বিপদে সিদি মাজদ শিবাজীর শরণ লইলেম । শিবাজী অমনি ছয় সাত হাজার ভাল অশ্বারোহী বিজাপুররক্ষার জন্ত পাঠাইলেন। তাহারা আসিয়া রাজধানীর বাহিরে খানাপুর ও খুসরুপুর গ্রামে আড্ডা করিল এবং বলিয়া পাঠাইল যে বিজাপুর-দুর্গের একটা দরজা এবং একটা বুরুজ তাহাদের হাতে ছাড়িয়া দেওয়া হউক। মামুদ তাহাঁদের বিশ্বাস করিলেন না। তখন মারাঠারা বিজাপুর দখল করার এক ফন্দি পাকাইল –কতকগুলি অল্প চাউলের বস্তায় লুকাইয়া, বস্তাগুলি বলদের, পিঠে বোঝাই করিয়া, নিজেদের কতকগুলি সৈন্তকে বলদচালকের ছদ্মবেশে বাজারে পাঠাইবার ভাণ করিয়া, দুর্গের মধ্যে ঢুকিতে চেষ্টা করিল ! কিন্তু ধরা পড়িয়া তাতার তাড়িত হইল । তাহার পর মারাঠারা এই বন্ধুর গ্রাম লুঠিতে আরম্ভ করিল। মাহদ বিরক্ত হইয়া দিলির খার সঙ্গে মিটমাট করিয়া ফেলিলেন ; বিজাপুরে মুঘল-সৈন্ত ডাকিয়া আনিলেন, আর মারাঠাদের তাডাইয়া দিলেন । তাহার পর শভূজাকে সঙ্গে লইয়া দিলির খী শিবাজীর ভূপালগড় তোপের জোরে কাড়িয়া লইলেন, এবং এখানে প্রচুর শস্ত, ধন, মালপত্র, এবং অনেক লোককে ধরিলেন। এই-সব বন্দীদের কতকগুলির এক হাত কাটিয়া ছাড়িয়া দেওয়া হইল, অবশিষ্ট সকলকে দাস করিয়া বিক্রয় করা হইল (২রা এপ্রিল, ১৬৭৯ ) । ঐ দুর্গের দেওয়াল ও বুরুজগুলি ভাঙ্গিয়া দেওয়া হইল। তাহার পর ছোটখাট যুদ্ধ এধং বিজাপুরের দরবারে অশেষ দলাদলি ও ষড়যন্ত্র কয়েক মাস ধরিয়া চহিল ; কোনই কিছু নিষ্পত্তি श्झेल ना । ২রা এপ্রিল ১৬৭১ সালে আওরংজীব হুকুম প্রচার করিলেন ষে তাহার রাজ্যে সৰ্ব্বত্র হিন্দুদের মানুষ গণিয় প্রত্যেকের জন্ত বৎসর বৎসর তিন শ্রেণীর আয় অনুসারে ১৩is—৬ive বা ৩ve “জঞ্জিয় কর” লওয়া হইবে। বাদশাহর এই নূতন ও অন্যায় প্রজাপীড়নের সংবাদে শিবাজী তাহাকে নিয়ের স্বন্দর পত্ৰখানি লেখিলেন। ইহা স্থললিত ফারসী ভাষায় নীল প্রভুর দ্বারা রচিত ङ्ध्र ! জজিয়া করের বিরুদ্ধে আওরংজীবের মামে শিবাজীর পত্র “বাদশাহ আলমগীর, সালাম ! আমি আপনার দৃঢ় এবং চিরহিতৈষী শিবাজী । ঈশ্বরের দয়া এবং বাদশাহের স্বধ্যকিরণ অপেক্ষাও উজ্জ্বলতর অনুগ্রহের জন্ত ধন্তবাদ দিয়া নিবেদন করিতেছি যে :– যদিও এই শুভাকাঙ্ক্ষী দুর্ভাগ্যবশতঃ আপনার মহিমামণ্ডিত সন্নিধি হইতে অনুমতি না লইয়াই আসিতে বাধ্য হয়, তথাপি আমি, যতদূর সম্ভব ও উচিত, ভূত্যের কৰ্ত্তব্য ও কৃতজ্ঞতার দাবি সম্পূর্ণরূপে সম্পন্ন করিতে সদাই প্রস্তুত আছি | 鬱 薄 事 এখন শুনিতেছি যে আমার সহিত যুদ্ধের ফলে আপনার ধন ও রাজকোষ শূন্ত হইয়াছে, এবং এই কারণে আপনি হুকুম দিয়াছেন যে জঞ্জিয় নামক কর হিন্দুদের নিকট আদায় করা হইবে, এবং তাহা আপনার অভাব পূরণ করিতে লাগিবে। - বাদশাহ, সালাম ! এই সাম্রাজ্য-সৌধের নিশ্বাত আকবর বাদশাহ পুর্ণগৌরবে ৫২ [ চান্দ্ৰ ] বৎসর রাজত্ব করেন। তিনি সকল ধৰ্ম্ম-সম্প্রদায়—যেমন, পৃষ্ঠান, ইহুদী, মুসলমান, দাদ্ধপন্থী, নক্ষত্রবাদী ফেলকিয়া-গগন-পূজক ], পরী-পূজক ( মালাকিয় ] বিষয়বাদী [ আনসরিয়া ], নাস্তিক, ব্রাহ্মণ ও শ্বেতাম্বরদিগের প্রতি—সাৰ্ব্বজনীন মৈত্রী [ স্বলহ-ই-কুল = সকলের সহিত শাস্তি J-র স্থনীতি অধলম্বন করেন । তাহার উদার হৃদয়ের উদ্দেশ্য ছিল সকল লোককে রক্ষা ও পোষণ করা । এইজন্যই তিনি “জগৎ গুরু” নামে অমর খ্যাতিলাভ করেন । তাহার পর বাদশাহ জহাঙ্গীর ২২ বৎসর ধরিয়া তাহার দয়ার ছায়া জগৎ ও জগৎবাসীর মন্তকের উপর বিস্তার করিলেন। তাহার হৃদয় বন্ধুদিগকে এবং হস্ত কাৰ্য্যেতে দিলেন, এবং এইরূপে মনের বাসনাগুলি পূর্ণ করিলেন। বাদশাহ শাহজহানও ৩২ বৎসর রাজত্ব করিয়া স্বর্থী পাথিব জীবনের ফল-স্বরূপ অমরতা—অর্থাৎ সজ্জনতা এবং স্বনাম, অর্জন করেন । । পদ্য ) যে জন জীবনে স্বনাম অর্জন করে সে অক্ষয় ধন পায়, কারণ, মৃত্যুর পর তাহার পুণ্য চরিতের কথা তাহার নাম জীবিত রাখে ॥