পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশা জীবিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় ভবানীপুরে। যেখানে বেগমত্ত, বিক্ষুব্ধ কলিকাতা নিজেকে ভুলে একটু নিরিবিলিতে অলসতার আমেজে গা ঢেলে পড়ে আছে। এখানে তার কাজ নেই মোটেই ; আর চিন্তা ?—ইj!, তা একটু আছে ধটে—তবে তার সমস্তটাই অকাজের। সে যেন বিশ্বকৰ্ম্মার কারখানার পলাতক মজুর,—এখানে তার গোপন সী প্রকৃতির সঙ্গে মুখোমুখি হ'য়ে যত-সব অ-দরকারের আলোচনায় লেগে গেছে । রোগের পর আরোগ্যের অবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শে এখানে এসে একটি বাড়ী ভাড়া ক’রে আছি। ডাক্তারবন্ধু বললেন, “ভবানীপুরেই চল ; সেখানে আলো বাতাস সহজেই পাবে,- যা তোমার এথন দরকার। ওখানে আকাশের নীল আর পৃথিবীর সবুজের মধ্যে রংকরা ছোট ছোট বাড়ীগুলো প্রকৃতির আলো-বাতাসের স্পর্শ বেশ অযাচিতভাবেই পায়,-নতুন শিশু যেমন মায়ের সোহাগটা পায় আর কি। তোমার কলকাতার মত নয়,—এখানে ধেড়ে ধেড়ে উৎকট বাড়ীগুলো পাকা-বিষয়ী ছেলেদের মত সেই আলো-বাতাস নিয়ে কাড়াকড়ি ভাগাভাগি লাগিয়ে দিয়েছে- ওরা ও দুটোকে সম্পত্তি ব’লে টের পেয়েছে কি না?--আর রক্ষে আছে ?” বাড়ী নিয়েছি খ্ৰীনিবাস রোডে। ঠিক রোড নয়, তবে গলিও নয় একেবারে । লাল মুরকির রাস্ত নিজের ইচ্ছামত একেবেকে গেছে, জিওমেটির কোনো কড়া আইনের গোলাম নয়। ফুটপাথ আছে কিনা আছে,— অর্থাৎ পথিকদের মধ্যে গতির উগ্রতা কি লঘুতা নিয়ে যে বিরোধ এবং তার চুক্তি, এখানে তার কোন নিশানা নেই। মোটরেই হোক, গাড়ীতেই হোক কিংবা পায়ে হেঁটেই হোক,—সবাই নিরুদ্বেগ গতিতে নিজের নিজের कॉरख-चकांtछ बै जान ब्रांरटाकू tिग्नहे यांउब्रांउ क्tब्र । ফুটপাথ যেখানে একটু আছে বা, আগে ভর-খেন অবসরের তৃপ্তি । বিশ্বকৰ্ম্মার কারখানার পেয়াদ তার লোক-লম্বর নিয়ে পলাতক মজুরের সন্ধানে ভবানীপুরে প্রবেশ করেছে বটে —রস রোড দিয়ে ; কিন্তু এদিকটা খুব তফাতে আছে,তার তাগিদের কর্কশ হস্কার এখানে মোটেষ্ট পৌছায় না। বাড়ীটা দোতালা ; ওপরে ছোট-বড় দুটি १भ्रे, ডাক্তারে আমাতে পাশাপাশি থাকি। দিনটা প্রায় একলাই কাটে,—ডাক্তার ধান কলে। একদিন ধললেন, “তুমি সমস্ত দিন বড় নিঃসঙ্গ থাক, হাতের কেগুলো চুকে গেলে আর নিচ্চিনে।” বললাম, "না,—এই চলতি পশারের সময় ছেলেমানুষী নয়। আমি খাস আছি । এই ছোট পল্লীটিতে অল্পস্বল্প যা কিছুষ্ট পাচ্ছি সেটুকুর মধ্যেই বেশ একটু পরিপূর্ণত আছে। সুতরাং তুমি নিশ্চিস্থ থাক । “দুপুরে যখন চারিদিকে চুপচাপ-আমি দিব্যি গ এগিয়ে পড়ে থাকি। শুষ্ক প্রকৃতি তার অপলক্ষ দৃষ্টি আমার নিশ্চেষ্ট চোখ দুটির ওপর ফেলে রাখে-ভাবের ব্যাকুলতায় সে যে কি গভীর 1-কোনো মূক নারীকে একঠায় আবিষ্ট হয়ে বসে থাকতে দেখেছ কখনও f— তাহলে অনেকট বুঝতে পারবে।” "দুপুর যায়। বিকেলে পল্লীটাতে যখন একটু সজীবতা ফিরে আগে, আমার মনটা পশ্চিমদিকের পোড়ে জমিটার ওধারে ঐ বাড়ীটায় গিয়ে গুটিয়ে বসে। ওটি যেন ভবানীপুরের মধ্যেও ভবানীপুর। ; এসেছি পৰ্য্যস্ত ওর একটা স্বর গুনেছ ?—ঙ্গোর জানাল ! বন্ধ করে নিজের স্নিগ্ধতার মধ্যে ডুবে রয়েছে।- আমি । • ওটির ভক্ত হয়ে পড়েছি।” বন্ধু হেসে বললেন, "ভক্তি তোমার উড়ে যায়