পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গত ১৫ই আশ্বিন ভারতবর্ষের সকল প্রদেশে এবং লণ্ডনে মহাত্মা গান্ধীর জীবনের ৬২ বৎসর পূর্ণ হওয়ায় উৎসব হইয়াছে। এই উপলক্ষ্যে অন্ত অনেকের মত আমরা তাহাকে টেলিগ্রাফ দ্বারা শ্রদ্ধা ও পাতি নিবেদন করিয়াছি । প্রবাসীতেও তাহাকে শ্রদ্ধা ও প্রীতি জানাইতেছি । তিনি সমগ্র ভারতীয় জাতিকে স্বাধীনতা লাভের অহিংস নৃতন সভ্যমানবোচিত পথ দেখাইয়া এবং সৰ্ব্বাগ্রে স্বয়ং সেই পথের পথিক হুইয়া জাতির মনে আশার সঞ্চার করিয়াছেন, এবং ভয়গ্রস্ত ও অবসাদগ্রস্ত জাতিকে নিৰ্ভয় ও ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে স্বাবলম্বনের অমোঘতায় দৃঢ়বিশ্বাস করিয়াছেন। রাষ্ট্রনীতিক্ষেত্রে গোপন ছলচাতুরীর পরিবর্ভে প্রকাশ্ব পন্থার অনুসরণ ও সত্যের অকুবর্তিতাকে প্রতিষ্ঠিত করিয়া ধৰ্ম্মকে ও আস্তরিক শুচিভাকে ব্যক্তির জীবনের মত জাতীয় জীবনে শ্রেষ্ঠ স্থান দিয়াছেন। তিনি অস্পৃশ্বতাকে জাতীয় মহাপাপ ঘোযণা করিয়া উহা দূরীকরণকে জাতীয় অন্যতম প্রধান কৰ্ত্তব্য বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন এবং স্বয়ং ঐ পাপ হইতে মুক্ত হইয়া স্বদৃষ্টাস্ত দেখাইয়াছেন। দরিত্রদের জন্যই পূর্ণস্বরাজ সৰ্ব্বাগ্রে ও প্রধানতঃ আবশ্যক, ইহা তাহার অন্যতম মহাবাক্য । তাহীর জ্ঞানবুদ্ধি অনুসারে ধৰ্ম্মকে আবর্জনা মুক্ত করিয়া সকল ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের মধ্যে সম্ভাব স্থাপন তাহার জীবনের অন্যতম মহৎ প্রয়াস । রাষ্ট্রনীতিক্ষেত্রে তিনি অবতীর্ণ হইয়াছেন ধৰ্ম্মসাধনায় সিদ্ধিলাভের জন্য, ইহাও তাহার জীবন ও চরিত্রের একটি বৈশিষ্ট্য । মহাত্মা গান্ধীর দাবি মহাত্মা গান্ধী ভারতবর্ষের পক্ষ হইতে বিলাতে পূর্ণস্বাধীনতার দাবি করিয়াছেন। অধীন ভারতে হইভে পারেন । i) " তাহার স্থান নাই, ইহা স্থম্পষ্ট ও মৃদু ভাষায় জানাইয়াছেন । দেশরক্ষা, দেশের আর্থিক সমুদায় ব্যাপার, এবং দেশের আভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক অন্য সমুদায় ব্যাপারে তিনি ভারতীয়দের সম্পূর্ণ কতৃত্বের দাবি করিয়াছেন। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে ভারতের অবস্থিতির তিনি সম্পূর্ণ বিরোধী ; কিন্তু ইংলণ্ডের সমান অংশীদাররূপে তাহার সহিত যুক্ত থাকিতে তিনি এই সৰ্বে রাজী, যে, দরকার হইলেই ভারতবর্ষ এই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করিতে পারিবে । আমরাও ইহাতে রাঙ্গী, বিন্দুমাত্রওঁ কোন প্রকার অধীনভায় রাজী নহি । মহাত্মাজী কাহাকে প্রণাম করিবেন একখান বিলাতী কাগজে এই মিথ্যা গল্প বাহির হয়, যে, মহাত্মা গান্ধী ব্রিটিশ যুবরাজের নিকট নতজান্স হইয়া ভারতবর্ষের প্রতি দয়া ভিক্ষা করিয়াছিলেন । মহাত্মাজী বলিয়াছেন, ঐ গল্প সৰ্ব্বৈব মিথ্যা। তিনি বলিয়াছেন, ভারতে পুরুষানুক্রমে "অস্পৃশু” ও “অনাচরণীয়"দের উপর অত্যাচার হওয়ায় তিনি তাহাদের নিকট প্রণত কিন্তু যুবরাজ কেন, ইংলণ্ডের রাজার নিকটও এই হেতু তিনি প্রণত হইতে পারেন না, যে, ইংলণ্ডেশ্বর বলদপের প্রতীক । তিনি বরং তাহ অপেক্ষা হাতীর পায়ের তলায় পিষ্ট হইতে রাজী । একটি পিপীলিকারও অনিষ্ট করিলে তিনি তাছার নিকট প্রণত হইতে রাজী। মহাত্মাঙ্গীর চরিত্রে এই বঞ্জের দৃঢ়তা ও কুমুমের কোমলতার এবং তেজস্বিতার ও দীনতার সমাবেশ বন্দনীয় । নারীসমবায় ভাণ্ডার নারীশিক্ষা সমিতির চেষ্টায় সম্প্রতি একটি নারীসমবায়ু মণ্ডলী গঠিত হইয়াছে। ১৮ বৎসরের উদ্ধ