পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] যারেন্দ্রনাথ দে দেখাইয়াছেন, ধে, কলিকাতাতেও বৰ্ত্তমান মূল্যের চেয়ে অনেক কম দামে তাড়িত শক্তি দেওয়া যায়। স্বতরাং বাকুড়ার পক্ষে প্রতি ইউনিট জাট আনা দাম বেশী। বাকুড়ার অল্প কয়েকটি রাস্তাতেই তাড়িত শক্তির বন্দোবস্ত হইবে । তাহাও অবাঞ্ছনীয় । শিল্পে সরকারী সাহায্য বিগত জুলাই মাসে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভায় প্রাদেশিক শিল্পে সরকারী সাহায্যদান সম্পৰ্কীয় একটি বিল পাস হইয়। গিয়াছে। এইরূপ আইন প্রণয়নের চেষ্টা ইতিপূৰ্ব্বেও হুইয়াছিল, কিন্তু সফল হয় নাই । এবারের বিল ও তাহার সফল পরিণতির জন্য মন্ত্ৰী শ্ৰীযুক্ত ফরোকি মহাশয় সাধারণের ধন্যবাদাহ । এই বিলের উদ্বেগু এদেশের ধ্বংসোন্মুখ শিল্পকলার ইযুক্ত ফরোকি রক্ষা ও নূতন শিল্পের প্রবর্তন ও গঠন কধ্যে সহায়তা কুর। উপযুক্ত অর্থাল ও ক্ষমতা থাকিলে মন্ত্ৰী মহাশয় ইহার দ্বারা দেশের বিশেষ উপকার করিতে পারিবেন, তাহাতে সন্দেহ নাই। । এধন যেভাবে বয়সঙ্কোচের চেষ্টা চলিতেছে তাহাতে ফরোক্তি মহাশয় তাহার কার্ষ্যে কতটা সাহায্য পাইবেন বলা শক্ত। কিন্তু যদি তিনি যথাযথ ভাবে এই লংকার্ধ্যের অঙ্কুশীলন মাজও করেন, তবে ভবিষ্যতে ইহা বিবিধ প্রসঙ্গ—ডাকে মানুষ প্রেরণ ভরিয়া ডাক-ইরকর। ১৫১ پیامی দ্বারা এই প্রদেশের বিশেষ উপকার হুইবে । এই কাধ্যে গবন্মেন্টের বিশেষ সাহায করা উচিত। কেন-না এদেশের প্রাদেশিক আয় বৃদ্ধির একমাত্র উপায় শিল্পের পুনরুদ্ধার। অন্য সকল আয়ের পথ মেষ্টনের অন্যায় ব্যবস্থায় রুদ্ধ। --- ডাকে মানুষ প্রেরণ পশ্চিমে বাঙালী সমাজে তথাকার কোন কোন জাভির ভূত্যদের বুদ্ধি সম্বন্ধে অনেক হাস্যকর গল্প প্রচলিত আছে । তাহার দু-একটার উল্লেখ করিতেছি । অনেক জায়গায় রাস্তার চিঠি দিবার ডাক-বাক্সকে বম্বা বলে, আবার জলের কলের নলকেও বম্বা বগে । আহীর-জাতীয় একজন ভূত্যের হাতে একখানা চিঠি দিয় তাহাকে উহা বধায় দিয়া আসিতে বলা হয়। সে ধেথানে রাস্তার জলের কলের নল হইতে নৰ্দ্দামা দিয়া জল প্রবাহিত হুইতেছিল, সেই জলপ্রবাহে উহ। ভাসাইয়া দিয়া আসে। সে বাড়ি ফিরিয়া আসিলে, সে চিঠি বস্থায় দিয়াছে কিনা মনিব জিজ্ঞাসা করায় বলে, যে, জল খুব জোরে বহিতেছিল, এতক্ষণ চিঠি ঠিকানায় পৌছিয়া গিয়াছে ! কাহার-জাতীয় অন্ত এক ভূত্যের সম্বন্ধে গল্প আছে, যে, সে শীঘ্র বাড়ি যাইবার উদ্দেশ্যে নিজগ্রামের ঠিকানা লেখা একটুকরা কাগজে ডাকটিকিট লাগাইয় তাহা পিঠে আঁটিয়া ডাকঘরের ডাক-বাক্সের নিকট বসিয়া অন্যাপ্ত পুলিন্দার সঙ্গে কথন তাহাকে থলিতে লইয়া যাইবে তাহার অপেক্ষা করিতেছিল ! শেষের গল্পটি কিন্তু এখন সভ্য ইউরোপে বাস্তব ঘটনায় পরিণত হইয়াছে । মান্দ্রাজের সচিত্ৰ সাপ্তাহিক “হিন্দু" পত্রিকায় নিম্নলিখিত খবরটি বাহির হইয়াছে। বেলজিয়ম হইতে বিলাতের ক্রয়ডন পৰ্য্যন্ত যে আকাশধানের ডাক যায়, তাহাতে একজন মাহুষকে নমুনার পুলিন্দা রূপে পাঠান হইয়াছে । এই মাস্থ্যটি একজন ছোকরা বেলজিয়ান সাংবাদিক। আকাশডাকের কাজ কিরূপ ক্ষিপ্রকারিতার সহিত হয় তাহা জানিবার কৌতুহল হওয়ার সে তাহার কোটে ঠিকানালেখা কাগজ ও ডাকটিকিট লাগাইয়া বেলজিয়মের