পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাষ্টবুক ও চিত্রাঙ্গদা ঐমনোজ বসু রামোন্তম ঘোষ মহাশয়ের সেজছেলে ননী তিন বছরে তেরখানা ফাষ্টবুক ছিড়িল, কিন্তু ঘোড়ার গল্প ছাড়াইতে পারিল না । ব্যাপারটা আর কোনক্রমে অবহেলা করা চলে না । অতএব পণ্ড মাষ্টারের ডাক পড়িল । পশুপতির নামডাক যেমন বেশী, দরও তেমনি কিছু বেশী । তা হউক । ছেলে আকাটমৃর্থ হইয়া থাকে, সে জায়গায় দু-এক টাকার কম-বেশী এমন কিছু বড় কথা नग्न ! সাব্যস্ত হইল, আট টাকা মাহিনা, তা ছাড়া ঘোষ মহাশয়ের বাড়িতেই পশুপতি খাইবে, থাকিবে। পড়াইভে হুইবে ফাষ্টবুক, শিশুশিক্ষা, সরল পাটীগণিত— সকালে একঘণ্টা, সন্ধ্যার পর দু-ঘণ্টা মাত্র। বাহির-বাড়ির কাছারিঘরের পাশে ছোট সঙ্কীর্ণ ঘরখানিতে এতদিন চুন ও স্বয়কী বোঝাই থাকিত, উহা পরিষ্কৃত হুইয়া একপাশে পড়িল তক্তপোষ আর একপাশে একটি টেবিল ও ছোট বেঞ্চি একখানি। পড়াশুনা বিপুল বেগে আরম্ভ হইল । লোকে যে বলে পশু মাষ্টার গাধা পিটাইয়া ঘোড়া করিতে পারে তাহ মোটেই মিথ্যা নয়। ছয় মাস না যাইতেই ননী শিশুশিক্ষা ছাড়াইয়া বোধোদয় ধরিল, পাটীগণিতের ত্রৈরাশিক স্বরু হইরা গিয়াছে, ফাইবুকণ্ড শেষ হুইবার বড় বেশী দেরি নাই। আশ্বিন মাস, দেবীপক্ষের দ্বিতীয়া তিথি। অন্যান্য বার মহালয়ার সঙ্গেই স্কুল বন্ধ হইয়া যায়। এবার বছর বড় খারাপ, ছেলেরা মাহিনাপত্র মোটে দিতেছে না, তাই দেরি পড়িয়া যাইতেছে । সকাল হইতে আকাশ মেঘলা। স্নান সম্বন্ধে বারেমাসই পশুপতি একটু বেশী সাবধান হইয়া চলে ; এমন यांशलांद्र निtन उठ वां८ब्राँझे । धteब्रांलांeब्रां जाब्रिग्न স্কুলের পথে পা বাড়াইয়াছে এমন সময়ে পিয়ন একখানা চিঠি দিয়া গেল । খামের চিঠি। তাকাষ্টয়া দেখিয়া পশুপতি পকেটে রাখিয়া দিল । খামের চিঠি হইলে কি হয়, স্কুলমাষ্টারের নামে আসিয়াছে—অতএব ভিতরে এমন কিছু থাকিতে পারে না যাহা না-পড়া পৰ্য্যস্ত প্রাণ আছাড়ি-পিছাড়ি খাইতে থাকে। এমনই আঁকাবঁকা অক্ষরে ঠিকানা লেখা খাম পশুপতির নামে বহুকাল ধরিয়া আসিতেছে । বিবাহের পর প্রথম বছর তিন চারের কথা ছাড়িয়া দিলে পরবর্তী সকল চিঠির স্বর একটি মাত্র ৷ খাম না ছিড়িয়া পত্রের মৰ্ম্ম স্বচ্ছন্দে আগে হইতে বলিয়া দেওয়া যায় যে, প্রভাসিনী সংসার-খরচের টাকা চাহিয়াছে । স্কুলে গিয়া স্থির হইয়া বসিতে-না-বসিতে ঘণ্টা বাজিল। প্রথমে অঙ্কের ক্লাস। ক্লাসে ঢুকিয়াই প্রকাও একটা জটিল ভগ্নাংশ বোর্ডে লিখিযা পশুপতি হুঙ্কার দিল —খাতা বের কবৃ–টুকে নে বলাটা অধিকন্তু, সকল ছেলে ইহা জ্ঞানে এবং প্রস্তুভ হইয়াই ছিল । তারপর বোর্ডের উপর নক্ষত্রগতিতে অঙ্কের ঘোড়দৌড় আরম্ভ হইল । পশুপতি কষিয়া যাইতেছে, মুছিতেছে, আবার কষিতেছে। জোর কদমে-চলা-ঘোড়ার ক্ষুরের মত খটখটু খটখটু ক্রমাগত খড়ির আওয়াজ, তা ছাড়া সমস্ত ক্লাস নিস্তন্ধ । ক্লাসের মধ্যে যেন কোন ছেলে নাই, কিংবা থাকিলেও হয়ভ একেবারে মরিয়া আছে। প্রকাও খড়ির তাল দেখিতে দেখিতে জ্যামিতিক বিন্দুতে পরিণত হুইয়া গেল । ছেলেরা একটা অঙ্কের মাঝামাঝি লিপিতে লিখিতে তাকাইয়া দেখে কোন ফাকে সেটা শেব হইয়া আর একটি স্বরু হইয়াছে ; দ্বিতীরটি না লিখিতে সেটা মুছিয়া তৃতীয় একটা আরম্ভ হয় এবং সেটা ধরিবার উপক্রম করিতে করিতে পরেরটি শেষ হইয়া ষায় ; গায়ে তাহার নীল খন্দরের জামা । ইহারই মধ্যেই একটু ফাক