পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বর্ণমান স্ত্রীযোগেশচন্দ্র সেন, বি-এ ( হারভার্ড ) নানা কারণে ও নানা ভাবে ভারতের স্বাৰ্থ ব্রিটেনের সহিত এত ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত যে, সে দেশের রাজনৈতিক কিংবা অর্থনৈতিক ঘূর্ণাবর্তের প্রকোপ আমাদের এ দেশেও পরিব্যাপ্ত হয়। বদিও আমাদের এবং ব্রিটেনের স্বার্থ এক নয়, তথাপি ব্রিটিশ স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য সেখানে যে-উপায় অবলম্বন করা হয়, আমাদের ইচ্ছা বা অনিচ্ছার কোন ধার” না ধারিয়া এ দেশেও তাহাক্ট অবলম্বন কর। হয়। বিগত ২১শে সেপ্টেম্বর ব্রিটেনের ইতিহাসে একটি চিরস্মরণীয় দিন । সেদিন বাধ্য হইয়া সে তাহার স্বর্ণমান পরিত্যাগ করিরাছে । লগুন জগতের শ্রেষ্ঠ বাণিজ্যকেন্দ্র, শত শত বৎসরের অভিজ্ঞতার ফলে ব্রিটিশ অর্থনীতির ভিত্তি এত স্থদৃঢ় হইয়াছিল যে, প্রত্যেক সভ্য দেশই তাহীদের মোটা রকম মূলধন লগুনে আমানত রাখিয়াছিল। তাহাদের মনে এই ধারণা বদ্ধমূল হইয়াছিল ষে, প্রয়োজনমত আমানত টাকা উঠাইয়া লইতে পারিবে। এইজগুষ্ট আন্তজাতিক বাণিজ্যের বেশীর ভাগ দেনা-পাওনা লগুনে চুকান হইত। ইহার ফলে একে ত বিদেশীয়দের আমানতি অর্থে ব্রিটিশ ব্যবসায়ীরা অল্প স্বদে টাকা ধার পাইভ, দ্বিতীয়তঃ ব্রিটিশ ব্যাঙ্ক এবং ইনসিওরেন্স কোম্পানীগুলি এই কারবার-সম্পর্কে যথেষ্ট লাভবান হইত। স্বর্ণমান পরিভ্যাগের ফলে যাহারা ব্রিটেনে মোটা রকম টাকা আমানত রাখিয়াছিল এবং গতানুগতিক মতে অন্য দেশের সঙ্গে কারবারও লগুনের মারফতে করিত, রাতারাতি তাহাদের ব্রিটেনে গচ্ছিত অর্থের মূল্য প্রতি টাকায় চারি জানা হ্রাস হুইয়া গেল । শত বৎসরের বিশ্বাস একদিনে ভঙ্গ হইয়া গেল, পৃথিবীর বিরাট ব্যবসা-বাণিজ্যের স্থগমতা করিয়া ব্রিটেনের যে মোটা ब्रकभ चाब्र झझेड डांश uाथन दक झहेबांब्र ऐंठ*द्धभ इङ्गेण ; ՀՓ-8 हेशश् छ्णि बिर्फ़प्नब ७कः चनृथ ब्रक्षानि, बांश षाब्र সে স্বদেশের রপ্তানির পরিমাণ কম হওয়া সত্ত্বেও বিদেশ হইতে প্রচুর পরিমাণ দ্রব্যসভার আমদানি করিতে পারিত । ব্রিটেনের স্বর্ণমান পরিত্যাগের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের স্বর্ণমানও পরিত্যক্ত হইল এবং ভারতের মালিক সেক্রেটারি অফ ষ্টেট ফর ইণ্ডিয়া ইস্তাহার জারি করিলেন যে, টাকার বিনিময়ের মূল্য পূৰ্ব্বের হারে অর্থাৎ ১ শিলিং ও পেনিডে টারলিঙের সহিত গ্রথিত হইল । এরূপ করাতে আমাদের লাভ কি লোকসান হইল তাহ পরে বিবেচনা করা যাইবে । এখন স্বর্ণমান কি তাহ দেখা যাক। যদিও অধুনা কোন দেশে স্বর্ণ চলতি মুদ্রা নয় অর্থাৎ দৈনিক কেনা-বেচায় ইহা ব্যবহৃত হর না, তথাপি প্রত্যেক সরকারই আর্কন অনুসারে নোটের পরিবর্তে স্বর্ণ দিতে বাধা। বিলাতে পাউণ্ডের মূল্য ধাৰ্য্য করা হইয়াছিল ১১৩ গ্ৰেণ স্বর্ণ, অর্থাৎ এই দরে ব্যাঙ্ক অফ ইংলণ্ড ১৬৭০ পাউণ্ড নোটের পরিবর্তে ৪০০ আউন্স স্বর্ণ দিতে আইন অনুসারে বাধ্য ছিল । সেইরূপ এই দরে ব্যাঙ্ক অফ ইংলণ্ডও স্বর্ণ কিনিতে বাধ্য ছিল । অধিকাংশ দেশেঠ এই প্রণালীর প্রচলন আছে । যেমন আমেরিকান ডলারের মূল্য ২৩.২২ গ্রেণ স্বর্ণ। অতএব যখন পাউণ্ড ও ডলারের মূল্য সমান ( par ) থাকে তখন এক পাউণ্ডের বিনিময়ের भूणा श्झेट्द ডলার ; এবং যতদিত উভয় দেশের মুদ্রা স্বর্ণমানের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকিবে ততদিন বিনিময়ের হার ইহা অপেক্ষা বিশেষ কম-বেশী হইবে না । যে-সব আমেরিকান বিলাতে পাউণ্ডের হিসাবে মাল বিক্রয় করিয়াছে তাহারা স্বভাবতই পাউণ্ডকে ডলারে বিনিময় করিতে চাহিৰে 8.brఆక్టే