পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা } মধ্যযুগের ভারতীয় সাধক শ্ৰীজ্ঞানেশ্বর Sసెఇ এই গ্রন্থ ১২১২ শকে অর্থাৎ ১২৯০ খৃষ্টাব্দে সমাপ্ত হয়। আমরা ইতিহাস হইতেও অবগত হই, এই সময় দেবগিরিতে যদু-বংশীয় রামচন্দ্র রাজত্ব করিতেছিলেন ১২৭১—১৩৯৯ খৃষ্টাব্দ ) । ১২৯৪ খৃষ্টাব্দে দক্ষিণ-ভারতে মুসলমান আক্রমণ আরম্ভ হয়। জ্ঞানেশ্বর ১২৭৫ খৃষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১২৯৬ খৃষ্টাব্দের ২৫ অক্টোবর, অর্থাৎ আলাউদ্ধিনের দাক্ষিণাভ আক্রমণের দুই বৎসর পরে, দেহত্যাগ করেন । ( wo ) জ্ঞানেশ্বরের + পিতা বিটুঠল পস্ত পণ্টরপুরের বিঠোবাদেবের পরমভক্ত ছিলেন । বাল্যকাল হইতেই তাহার ভিতর ধৰ্ম্মভাব খুব প্রবল ছিল । পিতামাত। অল্পবয়সে ছেলের বিবাহ দিলেন, কিন্তু বিটঠল পস্তের মতিগতি ফিরিল না । পিতামাতার কাল হইলে শ্বশুরের আগ্রহাতিশধ্যে বিটঠল পন্ত স্ত্রী রুক্সাবাঈকে লইয়৷ পুণার বারে। মাইল উত্তরে জালনীতে শ্বশুরালয়েই বাস করিতে থাকেন । বিটঠল পপ্ত সংসারের প্রতি ক্রমশঃ বীতরাগ হইতে লাগিলেন । বিবাহিত হইলে স্ত্রীর অনুমভি ব্যতিরেকে সন্ন্যাসগ্রহণ নিষিদ্ধ, এই কারণে তিনি বারংবার পত্নীর অনুমতি প্রার্থনা করিলেন । কিন্তু নিঃসস্তান রুক্সাবাঈ কিছুতেই স্বীয় স্বামীকে প্রত্ৰজ্যগহণের অকুমতি দিলেন না । এরূপ কথিত আছে, একদিন পত্নী যখন কার্যাস্তরে উন্মনা ছিলেন সে সময়ু বিটুঠল পন্ত র্তাহাকে বলিলেন, আমি গঙ্গায় যাই।” পত্নী জন্যমনস্কভাবে বলিলেন, যাও । তিনি ইহাকেই অকুমতি কলিয়া ধরিয়া লইয়া বরাবর কাশী চলিয়া জাগিলেন এবং সেখানে বিবাহাদিঘটিত সমুদয় বৃত্তাস্ত গোপন রাখিয়া স্বামীপদ্যতেশ্বরজীর + নিকট সন্ন্যাস মন্ত্রে দীক্ষা লাভ করেন এবং চৈতন্যাশ্রম নামে পরিচিত ছন। কিছুকালের মধ্যেই তিনি গুরুর প্রীতি আকর্ষণ করিয়া তাহার একান্ত অনুগ্রহভাজন হইলেন । স্বামী পদ্যতেশ্বরজী তাহাকে মঠের তত্ত্বাবধানে ৫ তিমি জানজেৰ নামেও পরিচিত্ত । + कोशब७ कांशब७ वाङ चाभी ब्रांबानच eb--ctہ .حبیعہ حسی مہم = اے مہ রাখিয়া তীর্থভ্ৰমণব্যপদেশে বহির্গত হন। রামেশ্বরের পথে তিনি অলিন্দী গ্রামে উপস্থিত হুইয়। তথাকার এক পিপ্পল বৃক্ষের নীচে আশ্রয় গ্রহণ করেন । গ্রামের নরনারী সাধু সন্দর্শনে আসিয়া নানারূপ বর প্রার্থন করিতে লাগিল। একটি রমণীকে “পুত্রবর্তী হও” বলিয়া আশীৰ্ব্বাদ করিলে রমণীটি শিহরিয়া উঠিয়া তাহাকে নিবেদন করিলেন— বহুদিন হইল তাহার স্বামী গৃহত্যাগ করিয়া সন্ন্যাসী হইয়াছেন । স্বামী পদ্যতেশ্বরজী বিশেষ অনুসন্ধান কবিয়া জানিতে পারিলেন, তাহার প্রিয় শিষ্য চৈতন্তাশ্রমই এই রমণীর স্বামী । শিয্যের কপটতায় স্বামিজী অভ্যস্ত রোযাবিষ্ট হুইয়া কাশীতে ফিরিয়া আসিলেন এবং চৈডন্যাশ্রমকে তিরস্কার করিয়া পুনরায় গৃহস্থাশ্রমে প্রবেশের আদেশ দিলেন । সম্পূর্ণ অনিচ্ছাসত্বেও উাহাকে গৃহস্থাশ্রমে পুনরায় প্রবেশ করিতে হইল । একবার সন্ন্যাস গ্রহণ করিয়া পুনরায় গৃহী হওয়৷ অত্যন্ত দূষণীয়। বিটুঠল পঙ্ককে প্রতিবেশীদিগের হস্তে বড়ই নির্যাতন ভোগ করিতে হইল । সকলের দ্বারা পরিভাক্ত হুষ্টয়া, লাঞ্ছনা-গঞ্জনার ছৰ্বছ বোঝা মাথায় করিয়া দারিদ্র্যের সহিত সংগ্রাম করিতে করিতে বিটঠল পন্ত জীবনপথে অগ্রসর হইতে লাগিলেন। কয়েক বৎসরের মধ্যে র্তাহার তিনটি ছেলে ও একটি মেয়ে জন্মিল। ছেলে তিনটির নাম নিবৃত্তিনাথ, জ্ঞানেশ্বর ও সোপানদেৰ । মেয়েটির নাম মুক্ত বাঈ । ক্রমে ক্রমে ছেলেদের উপনয়নের বয়স হইল । বিটঠল পস্ত বহুচেষ্টা করিয়াও পুরোহিত সংগ্ৰহ করিতে পারিলেন না । তিনি প্রায়শ্চিত্ত করিয়া সমাজে উঠিতে প্রস্তুত ছিলেন । কিন্তু পণ্ডিতেরা ব্যবস্থা দিলেন, তোমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত দেহাপ্ত’ । বিটঠল পঙ্ক সৰ্ব্বত্র প্রত্যাখ্যাত হুইয়া এবং সমাজের নিৰ্ম্মমতায় একাত্ত ব্যথিত হইয়া ঐ প্রায়শ্চিত্তই স্বীকারপূর্বক সন্ত্রীক ত্রিবেণীগর্ভে প্রবেশ করিয়া সকল জালা জুড়াইলেন। এই সময় নিবৃত্তিমাখের বয়স মাত্র দশ। আত্মীয়-বন্ধুবান্ধব সকল সম্পত্তি গ্রাস করিয়া তাহাদিগকে গৃহ হইতে দূর করিয়া দিল । পিতৃমাতৃহীন চারিটি অনাথ বালক বালিকা জীৰিকার জন্ত ভিক্ষাবৃত্তি গ্রহণে বাধ্য হইল।