পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&Fदों রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয় পরিচ্ছেদ সমুদ্রগুপ্তকে অজ্ঞান অবস্থায় অস্থঃপুরে লষ্টয়া যাইবার অল্পক্ষণ পরেই রামগুপ্ত মুক্তি পাইল । রুচিপতি তাহার সন্ধানে চারিদিকে ফিরিতেছিল, মুক্তির সংবাদ শুনিয়া তৎক্ষণাং চৰ্ম্মনিৰ্ম্মিত আধারে মদ্য লইয়া তাহার সম্মুখে উপস্থিত হইল। রামগুপ্ত তাহাকে দেখিয়া বলিয়া উঠিল, "কারাগারে নিয়ে বিশ কলসী জল ঢেলেছে, সকল অঙ্গ হিম হয়ে গেছে ।” রুচিপতি বলিয়া উঠিল, “এই যে মহারাজ, যুবরাজ ব’লে আর মিছে বিলম্ব করি কেন ? বুড়ে বেট আর কতক্ষণ বা ?” রাম । রুচি, সঙ্গে কিছু আছে ? রুচি। এ যে নুজন গুড়ের টাটুক সোমরস । রাম । জিতা রহ, মহামাত্য । রুচি। তুমি ত রাজা হ’লে রামচন্দ্র, এখন আমায় কি করছ বল দেখি ? রাম । রুচি, তুমি আমার একাধারে সব, মহামাভ্য থেকে মহাবলাধিকৃত । দূরে প্রাসাদের অঙ্গনের আর এক কোণে দাড়াইয়৷ পটুমহাদেবী দত্তদেবী তাহাদিগকে দেখিতেছিলেন, কিন্তু তিনি অত্যন্ত অস্তমনস্ক ছিলেন বলিয়া তাহাদিগকে চিনিতে পারেন নাই । সহসা রুচিপতির কর্কশ কণ্ঠস্বরে র্তাহার চিন্তাম্রোত বাধা পাইল, তিনি শুনিলেন রুচিপতি বলিতেছে, “ও বাবা রামচন্দ্র, বুড়ী বেটীর কথা ত ভুলে গেছলুম। ও বেট রায়বাঘিনী, ও বেঁচে থাকতে যাকে খুশী উদ্যানবিহারে নিয়ে যাওয়া যাবে না। ও বেটীকে नि बब्र । षषि ५थन लग्न अस् ि” शखाशौङ्ग खट्व রুচিপতি উৰ্দ্ধশ্বাসে পলায়ন করিল, রামগুপ্ত তাহাকে নধরিতে পারিল না । তাহাদের কথা শুনিয়া দত্তদেৰী বুঝিতে পারিলেন, ষে, তাহার পাটলিপুত্রের রাজপ্রাসাদ হইতে বিদায় হুইবার সময় নিকটবর্তী। এই সময় কুমার চন্দ্রগুপ্ত আসিয়া । মাতাকে প্রণাম করিলেন । মাতা তাহাকে আশীৰ্ব্বাদ করিবার পর, কুমার জিজ্ঞাসা করিলেন, “ম, পিতা না কি *ौक्लिड ?” উত্তর হইল, “জীবনের আশা নাই ।” “রামগুপ্ত না কি যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত হবে ?" “ই বৎস, কাল জয়ম্বামিনীর পুত্রের অভিষেক ।” “কি বলচ, মা, পিতা যে আমাকে নিজে বলেছেন, র্তার কথা আমি কেমন ক’রে অস্বীকার করব ।” "কেবল তোমায় বলেন নি, আমায়ু বলেছেন, সাম্রাজ্যের দ্বাদশ মহানায়ককে বলেছেন, রুদ্রধরকে বলেছেন, পাটলিপুত্রের মুখ্য রাজপুরুষদের বলেছেন, আঞ্জ সকালই বলেছেন-কিন্তু আবার সন্ধ্যাকালে মত পরিবর্তন করতে বাধা হয়েছেন।” “কিন্তু, ম, রামগুপ্ত ধে জয়ম্বামিনীর পুত্র, তিনি ত রাজপুত্রী নন ?” "এখন সকল কথা ভুলে যাও, চন্দ্র। স্বত্যুর করাল ছায়৷ তোমার পিতার শষ্যার চারিদিকে ঘন হয়ে আসছে। এখন আর কোনো কথা বলে তার মনে ব্যর্থ দিও না। छूमिप्नब्र छछ ब्राधानन्छन cणांड ड्रट्ज बांe श्रृंज, उपू পুত্রের কৰ্ত্তব্য পালন কর।” - চন্দ্রগুপ্ত বলিলেন, "কিন্তু মা, পাটলিপুত্রের জনে জনে যে রামগুপ্তকে চেনে । পিতার আদেশ শুনলে পেীয়জন হয়ত বিদ্রোহী হয়ে উঠবে, রাজ্যে ঘোরতর বিপ্লব উপস্থিত হবে। পশ্চিমে শকগণ এখনও ষে প্রবল ?” পটুমহাদেবী বলিলেন, “আমি তোর মা হয়ে বলছি চন্দ্র, এখন সকল কথা ভুলে যা। তোর পিতার মৃত্যুকাল উপস্থিত, এখন অপমান, অভিমান, শোক, দুঃখ ব্যথা জুলে গিয়ে পুত্রের কৰ্ত্তব্য পালন কর।”