পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] 跨 বাদল Rరి. রেখা হাসিয়া বলিল—“ও সাধুপুরুষ ! তোমার আবার চুরিৰিছে...” মার ধমক খাইয়া আড়ষ্ট হুইয়া গেল। আমরা সরিয়া গেলেই বেীমাকে আর দেখা যাইবে না ; অন্ততঃ ক্লখিবার পূর্বেই লুসী-ঘটিত এই নূতন আবিষ্কারের ঝাল তিনি বাড়িয়া লইবেনই। ম৷ তাড়াতাড়ি ঘরের মধ্যে ঢুকিয় বাদলকে বাহির করিয়া আনিলেন। পরমহংসদেব থেকে একেবারে চুরির দায়ে গ্রেপ্তার—নাভি তাহাকে একটু অপ্রতিভ করিয়া ফেলিয়াছে বইকি ! কাহারও দিকে ন চাহিয়৷ বলিলেন—“ও আমার ননীচোরা, তারও চুরি করে না খেলে পেট ভরত না।-- নে, আর জটলা করতে হবে না সব-হাতে-নাতে পাট সেরে নে•••” এই রকম এক একটা কাণ্ডের খুব খানিকট হল্প হাসি হয় - যোগদান করি—তারপর বিষণ্ণ হইয় পড়ি । একটা গোটা ছেলের ভবিবাং—সোজা কথা নয় ত ? এদিকে দেশের এই ছুদিন -- মাকে বলিলাম—“দেখ মা, এ ঠিক হচ্ছে না । এতে ক’রে নাতি তোমার ‘পরমহংসদেবও” যত হবে, ননীচোরাও তত হবে, আর বাবার “রোঘোডাকাত"ণ্ড খুব হবে—এর ঠ্যাঙ ও র ধড়, তার মুড়ো নিয়ে যা কিম্ভূতকিমাকার হয়ে উঠবে দেখবার মত । তার চেয়ে দিনকতক আমার হাতে দাও। বেশ ত, সাধুপুরুষ চাণ্ড । সেই রকমভাবেই - ” ম৷ বলিলেন—“তোর কাছে সব ছাচ আছে না-কি, যে, ঢালাই ক’রে যেমনটি চাইবি গ'ড়ে টেনে তুলৰি ? তা রাথ, না বাপু তোর কাছেই। এতগুলো লোককে নাজেহাল ক'রে তুলেচে–পারবি ত এক সামলাতে " দাদা বলিলেন,-“কিছু না, ওকে একটা ঘোড়া কিনে দে আপাতত: ; কিছুদিন ঠাও থাকবেখন " বলিলাম—“ঘোড়ার খেয়ালটাই মাথা থেকে गब्रिटग्न निरङ झ्य । बैं छिन छाड प्त्विहे चाब्रस्त्र করব•••* “জার ও-ও তোমার প্লান-ভাঙা দিয়ে শেষ ক’ৱৰে – এই বলে রাখলাম। কি বাদল, পারবি ত " হাসিতে লাগিলেন । সেইদিন হইতেই আরম্ভ করিয়া দিলাম। ঠিক হুইল এক খাওয়ার সময় ছাড়া বাদল সমস্ত দিন আমার কাছে থাকিবে । সন্ধ্যা থেকে দাদার চাই-ই ; অনিচ্ছা সত্ত্বেও রাঙ্গী হইলাম, কিন্তু সমস্ত দিনের অপকীৰ্ত্তির বিচারের ভারটা দাদার হাত হইতে তুলিয়া লইলাম । বলিলাম— “ও ব্যাপারটাকে অত হালকাভাবে নিলে চলবে না— বিচারটা বেশ সূক্ষ্মভাবে ওর সমস্ত দিনের কাওকারখানার আলোচনা হবে,—রোজকার রোজ ওর মনের কোন বৃত্তিকে একটু একটু ক’রে উসকে দিতে হবে, আবার কোনটাকে বা অল্প অল্প করে নিবিয়ে আনতে হবে ..” जॉन शॉजिब्रl बलि८Fन-*भन्न श्ब्र न ; ऊी ३'zल শীগগির মনোবৃত্তির একটা টেম্পারেচার চাট তোয়ের ক’রে ফেল। রোগীটিকে বাইরের ধুলো বাতাস থেকে বাচিয়ে কোন ধরে পূরে রাখবি ?” রাগিয়া বলিলাম—“ঘরে পোরবার দরকার অাছে বলছি কি ? হাসবে খেলবে, একটু মারামারিও করবে—এমন কি, চুরিও করতে পারে মাঝে মাঝে—তবে একট। সিষ্টেমের মধ্যে।--স্পার্টানরা ত তাদের ছেলেদের চুরি করতে...” দাদ। আবার হাসিয়া উঠিলেন—“অর্থাৎ ছেলেটাকে তুই একটা সিষ্টেমেটিক্‌ চোর করতে চাস । হাঃ-হাঃ-হাঃ !” দাদাকে পারিবার জো নাই । পরের দিন সতের টাকা দামে দুই ভলুম বই আনিতে দিলাম। অথর আমেরিকার একজন বিখ্যাত মনস্তাত্বিক ; সমস্ত জীবন অবিবাহিত থাকিয় কেবল শিশুমনের আলোচনা করিয়াছেন । মা শুনিয়া বলিলেন—“নে, আর জালাস নি বাপু, যে বিয়েই করলে না, ছেলেপিলের মুখ দেখলে না, সে শিশুদের বিষয় কি বুঝবে ? ঢং একটা... ” দাদা বলিলেন—“কেন, এক সময় নিজে ত শিশু ছিল---” এ সব ঠাট্রায় কান দিলে চলে না। বই ছ’খানা সযত্নে মলাট দিয়া আলমারিতে তুলিলাম। আমার