পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ο δ ο প্রবাসী—মাঘ, ১৩৩৮ [ e>* खांग, २ग्न थ७ মোট। মোট জাল সাজানো অন্ধকার ঘর। পূৰ্ব্বযুগের নানা পালপাৰ্ব্বণের পর্য্যায় নানা কলরবে সাজেসজ্জায় তার মধ্য দিয়ে একদিন চলাচল করেছিল, আমি তার স্মৃতিরও বাইরে পড়ে গেছি। আমি এসেচি যখন, এ বাসার তখন পুরাতন কাল সদ্য বিদায় নিয়েচে, নতুন কাল সবে এসে নামূল, তার আসবাবপত্র তখনও এসে পৌছয়নি । এ বাড়ি থেকে এদেশীয় সামাজিক জীবনের স্রোত যেমন সরে গেছে, তেমনি পূৰ্ব্বতন ধনের স্রোতেও পড়েছে ভাটা । পিতামহের ঐশ্বৰ্য্যদীপাবলী নানা শিখায় একদা এখানে দীপ্যমান ছিল, সেদিন বাকী ছিল দহন-শেষের কালো দাগগুলো, আর ছাই, আর একটিমাত্র কম্পমান ক্ষীণ শিখা। প্রচুর উপকরণসমাকীর্ণ পূৰ্ব্বকালের আমোদ প্রমোদ বিলাস সমারোহের সরঞ্জাম কোণে কোণে ধূলিমলিন জীর্ণ অবস্থায় কিছু কিছু বাকী যদি বা থাকে তাদের কোনো অর্থ নেই। আমি ধনের মধ্যে জন্মাইনি, ধনের স্মৃতির মধ্যেও না । এই নিরালায়, এই পরিবারে যে স্বাতন্ত্র্য জেগে উঠেছিল সে স্বাভাবিক,—মহাদেশ থেকে দুরবিচ্ছিন্ন দ্বীপের গাছপালা জীবজন্তুরই স্বাতন্ত্র্যের মত । তাই আমাদের ভাষায় একটা কিছু ভঙ্গী ছিল কলকাতার লোক ষাকে ইসার ক’রে ব’লত ঠাকুর বাড়ির ভাষা । পুরুষ ও মেয়েদের বেশভূষাতেও তাই, চালচলনেও । বাংলা ভাষাটাকে তখন শিক্ষিত সমাজ অন্দরে মেয়ে মহলে ঠেলে রেখেছিলেন, সদরে ব্যবহার হ’ত ইংরেজী,--- চিঠিপত্রে, লেখাপড়ায়, এমন কি, মুখের কথায় । আমাদের বাড়িতে এই বিকৃতি ঘটুতে পারেনি। সেখানে বাংলা ভাষার প্রতি অনুরাগ ছিল সুগভীর, তার ব্যবহার ছিল সকল কাজেই । আমাদের বাড়িতে আর একটি সমাবেশ হয়েছিল সেটি উল্লেখষোগ্য। উপনিষদের ভিতর দিয়ে প্রাকৃপৌরাণিক যুগের ভারতের সঙ্গে এই পরিবারের ছিল ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ । অতি বাল্যকালেই প্রায় প্রতিদিনই বিশুদ্ধ উচ্চারণে অনর্গল আবৃত্তি করেচি উপনিষদের শ্লোক। এর থেকে বুঝতে পারা ধাৰে সাধারণতঃ বাংলাদেশে ধৰ্ম্মসাধনার ভাবাবেগের ষে উদ্বেলতা আছে আমাদের বাড়িতে তা প্রবেশ করেনি । পিতৃদেবের প্রবর্তিত উপাসনা ছিল শান্ত সমাহিত । এই যেমন একদিকে তেমনি অন্যদিকে আমার গুরুজনদের মধ্যে ইংরেজী সাহিত্যের আনন্দ ছিল নিবিড় । তখন বাড়ির হাওয়া শেক্সপীয়রের নাট্যরস-সম্ভোগে আন্দোলিত, সার ওয়ালটর স্কটের প্রভাবও প্রবল। দেশপ্রীতির উন্মাদন তখন দেশে কোথাও নেই। রঙ্গলালের “স্বাধীনতাহীনতার কে বাচিতে চায়রে" আর তার পরে হেমচন্দ্রের “বিংশতি কোটি মানবের বাস” কবিতায় দেশমুক্তি-কামনার স্বর ভোরের পার্থীর কাকলীর মত শোনা যায়। হিন্দুমেলার পরামর্শ ও আয়োজনে আমাদের বাড়ির সকলে তখন উৎসাহিত, তার প্রধান কৰ্ম্মকর্তা ছিলেন নবগোপাল মিত্র। এই মেলার গান ছিল মেজদাদার লেখা “জয় ভারতের জয়,” গণদাদার লেখা “লজ্জায় ভারত যশ গাইব কি করে," বড়দাদার “মলিন মুখচন্দ্রমা ভারত তোমারি।” জ্যোতিদাদা এক গুপ্ত সভা স্থাপন ক’রেচেন, একটি পোড়োবাড়িতে তার অধিবেশন, ঋগ বেদের পুথি মড়ার মাথার খুলি আর খোলা তলোয়ার নিয়ে তার অনুষ্ঠান, রাজনারায়ণ বন্ধ তার পুরোহিত ; সেখানে আমরা ভারত উদ্ধারের দীক্ষা পেলেম । এই সকল আকাঙ্ক্ষা উৎসাহ উদ্যোগ এর কিছুই ঠেলাঠেলি ভিড়ের মধ্যে নয়। শাস্ত অবকাশের ভিতর দিয়ে ধীরে ধীরে এর প্রভাব আমাদের অস্তরে প্রবেশ ক’রেছিল । রাজসরকারের কোতোয়াল, হয় তখন সতর্ক ছিল না, নয় উদাসীন ছিল, তারা সভার সভ্যদের মাথার খুলি ভঙ্গ বা রসভঙ্গ করতে আসেনি। কলকাতা শহরের বক্ষ তখন পাথরে বাধান হয়নি, অনেকখানি র্কাচ ছিল । তেল-কলের ধোয়ায় আকাশের মুখে তখনও কালী পড়েনি । ইমারৎ-অরণ্যের ফাকায় ফাকায় পুকুরের জলের উপর সুৰ্য্যের আলো ঝিকিয়ে যেত, বিকেল বেলায় অশখের ছায়া দীর্ঘতর হয়ে পড়ত, शंखब्राब्र झून्ऊ नॉब्रटकल शां८छ्ब्र श्रृंख-क्तंलग्न, वैषा नालाँ বেয়ে গঙ্গার জল ঝরণার মত ঝরে পড়ত আমাদের