পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8२ একবার কোথাও নির্জনে চলিয়া যাইবার চেষ্টা করিল। কিন্তু যে শাসন স্থললিতা এইমাত্র করিয়া গেল, তাহা না মানিয়া লইবার ৭ কোনো উপায় নাই । বিপক্সের মত প্ৰণবেশ ভাড়ারঘরের দরজায় গিয়া দাড়াইল । —পিসিমা ?—দরজার পাশ হইতে সে ডাকিল । পিসিমাও তাহাকে ডাকিলেন না, শুধু ভিতর হইতে বলিলেন,—কেন বাবা ? কিছু বলবি ? —বলছিলাম যে—বলিয়া প্ৰণবেশ একবার এদিক ওদিক তাকাইল, তারপর কোনো রকমে কথাটা বলিয়াই ফেলিল,—তোমরা কি কালকেই যাওয়া ঠিক করলে পিসিমা ? —কাল ত নয় বাবা, আজই—কথাগুলি ছাড়াও আর একটি শব্দ পিসিমার মুখ হইতে বাহির হইয়৷ আসিল, সম্ভবতঃ সেটি র্তাহার তীক্ষু হাসির একটি শিখা ৷ প্ৰণবেশ কহিল,—অাজকেই ? —হঁ্যা বাবা, আজকেই । সেখানে সংসার ফেলে এসেছি, না গেলে আর চলছে না । আমি গাড়ী ডাকতে পাঠিয়েছি বাবা । গাড়ী আসিল । ছেলেপুলে সঙ্গে করিয়া পিসিম বিদায় লইলেন । ইতিমধ্যে আর সকলেই চলিয়া গিয়াছিল। বাকী ছিলেন ছোট মাসিম, একটি ছেলে ও একটি মেয়েকে লইয়া রাত্রের গাড়ীতে তিনি সেদিন কাশী রওনা হক্টলেন । নারীর গোপন আত্মপরতা প্রণবেশের চোখ এড়ায় না, কিন্তু সে চুপ করিয়৷ রহিল। অনাদর করিয়া সে ভুল করিবে না, অশ্রদ্ধা করিয়া সে অশাস্তি আনিবে না,—চুপ করিয়া তাহাকে থাকিতেই হুইবে । স্থললিতাকে আগে তাহার রহস্যময়ী মনে হইয়াছিল, এখন দেখিল তাহা নয়, সে অতিরিক্ত স্পষ্ট, তাহাকে বুঝিবার জন্য চোখ খুলিয়া থাকিলেই হর, পরিশ্রম করিতে হয় না । তবু তৃপ্তি ! মরুভূমির ভয়াবহতা কেমন, এ কথা প্ৰণবেশের চেয়ে আর কে বেশী জানে! তাই সে তৃপ্তি পাইয়াছে শুামলতার আস্বাদ পাইয়। চক্ষু আর তাহার প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩৩৮ [००* ड*, २द्र थ७ জাল করে না, বরং একটি অলসভার আবেশে ভারী হইয়া আসে। রাস্তায় বেড়াইয়া ঘুরিয়া আপন মনে টহল দিয়া বাড়ি ফিরিতে তাহার একটু রাতই হয় । সিড়ি দিয়া উঠিয়া আসিয়া সে পা টিপিয়া টিপিয়া সেদিন ঘরে ঢুকিল । ভাবিল, স্থললিতাকে একটু চম্‌কাইয়া দিতে হইবে । किस्त्र ८कोट्टुक कब्रा श्राख्न डाइाञ्च श्हेब्रो फेस्टोिन ना । জানালার ধারে স্থললিত বসিয়াছিল, মুখ ফিরাইয় একবার তাহাকে দেখিল । তাহার উদাসীন মুখ দেখিয়া প্ৰণবেশের মুখের হাসি ধীরে ধীরে স্থির হইয়া আসিল, কোথায় যেন কি একটা খচখচ করিয়া উঠিল । জানালার ধার হইতে স্থললিত উঠিয়া আসিয়া বিছানায় শুইয়া পড়িল । খানিকক্ষণ অন্যদিকে মুখ ফিরাইয়া রহিল এবং সেঙ্গ অবস্থাতেই এক সময় জিজ্ঞাসা করিগ,—চিঠিখান ফেলা হয়েছিল ? প্ৰণবে:শর চমক ভাঙিল। বলিল,—ওই ঘা ভুলে গেছি পকেটেই রয়ে গেছে। কাল সকালে উঠেই— উত্যক্ত কণ্ঠে স্থললিতা বলিয়া উঠিল,—কাল সকালে, কিন্তু আজ ত আর ফেলা হ’ল না ? কই, দাও আমার চিঠি, আমি ঝি-কে দিয়ে ফেলতে পাঠাবো । প্ৰণবেশ নিঃশবে চিঠি বাহির করিয়া দিল । হাতে লইয়া সুললিত কছিল,—খুলেছিলে ত? নিশ্চয় খুলেছিলে ! —আমি ত অন্যের চিঠি খুলি না ? -अङि, यलझ ? প্ৰণবেশের মুখ রাঙা হইয়া উঠিল, মাথ। ইেট করিয়া কহিল,—হঁ্যা । সুললিতা একটুখানি হাসিবার চেষ্টা করিয়া অতি যত্বে চিঠিখনি নিজের মাথার বালিশের তলায় রাগিয়া আবার শুইয়া পড়িল । রাত জাগিয়া প্ৰণবেশের পড়াশুনা করা অভ্যাস । টেবিলের উপর আলোটা ঠিক করিয়া লইয়। সে চেয়ার টানিয়া বসিল । এই পড়াশুনা অনেক দিনের অনেক অবস্থা হইতে তাহাকে মুক্তি দিয়াছে ।