পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৩৬ দ্রব্য বলিতে ছোট ছোট তরমুজ ছাড়া আর কিছু চোপে পড়ে না। আমাদের ত মধ্যাহ্ন-ভোজন বাদই পড়িয়া গেল। বেল প্রায় তিনটায় মেট্রা রোডে নামিয়া ওয়েটংকমে শুধু চা পাওয়া গেল। চায়ের বাসনগুলি খুব ফ্যাশনদুরন্ত । ষ্টেশনে এরকম প্রায় দেখা যায় না। বাসনের রূপ দেখিয়াই আবার গাড়ীতে উঠিতে হইবে ভাবিতেছি, এমন সময় এক রাজপুতানী কিছু পুরী ও মিঠাই ফিরি করিতে আসিল । একটি মাত্র পসারিণী আর এদিকে এক ট্রেন বোঝাই ক্ষুধাৰ্ত্ত যাত্রী। তাঁহাদের ঠেলাঠেলি করিয়া আমরাও কিছু কিনিয়া লইলাম । } যোধপুর রেলওয়ের সর্বত্রই ভাল করিয়া দুধচিনি সাজাইয়া দেওয়া চায়ের দাম দুই আনা পেয়ালা। ওয়েটং-রুমে দাম লেখা থাকে। ঈ. আই. রেলওয়েতে এইরূপ চা চারি আনা পেয়ালা । প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩৩৮ sאא לא יושי "כפי L S S S S S S S S S C MT S SSS SS SSAAAASA SAA AAAA SAAAAATTMAAA AAAASASASS গা হইতে চাই চাই পার কাটা নজার ৰি দেখিলাম । আদিত যোধপুর আসিবার আগেই একটা ছোট যোধপুর ষ্টেশন আছে। অনেক যাত্রী এইখানেই নামিয়া পড়িল । আমাদের সহযাত্রী নায়েব দুই ষ্টেশন আগে হইতে জুতা জাম, রুমাল পাগড়ী সব বদলাইয়া একেবারে দরবারী সাজ করিতে লাগিলেন। প্রসাধনের কোনো অঙ্গ বাকী রছিল না। বড় ষ্টেশনে পৌছিবার অনেক আগেই দূর হইতে আদালতবাড়ি ইত্যাদির রাজপুত স্থাপত্য চোখে পড়িল। আশে-পাশে বহু পুরাতন ভগ্নপ্রায় অখ্যাত বাড়ির স্বন্দর স্থাপত্য দেখিয়া বুঝিলাম, আগ্রা দিল্লীতে মোগলের প্রাসাদে যে-সব গঠন ও নক্সা দেখিয়া আমরা মুগ্ধ হইয়া থাকি, তাহা এই সব হইতেই নকল করা। মোগল-কেল্লায় বেগম মাণ্ডোরে মহারাজাদের স্মৃতি-মন্দির, যোধপুর শ্বেত পাথরের রাজ্যের পর আবার কিছুদূর ওলমাথা বেলে পাহাড়, তাহার পর স্বল্প হইল রাঙা পাথরের রাজ্য। পাহাড়ে মাটি দেখা যায় না, কেবল বিরাটাকৃতি রক্তাভ পাথর। যোধপুরের অনেক আগে হইতেই পাহাড়ের যোধাবাঈ যে সব লাল পাথরে আপনার মহল বানাইয়াছিলেন, তাহা তাহারই পিতৃভূমির বিশেষত্ব । সন্ধ্যা হইয়া আসিতেই দূরে পাহাড়ের গায়ে ৰোধপুর কেরায় দীপাৰিতার আলোর মালা জলিৰ উঠিল।