পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢२ তরঙ্গিণী তখনকার মত চুপ করিয়া শুনিত, কিন্তু ঘরে গিয়া গোপনে চোখের জল মুছিত। ছেলের মা না হওয়ায় এ বাড়ীতে তাহার যে পাকা দখল জন্মায় নাই, তাহা সে ক্রমেই ভাল করিয়া বুঝিতেছিল । হঠাৎ পরিবার শুদ্ধ সবাই সচেতন হুইয়া উঠিল । তাই ত এমন ভাবে বসিয়া থাকিলে চলিৰে কি করিয়া ? বংশ যে লোপ পাইতে বসিয়াছে ? কান্তির যদি পুত্র না হয়, তাহা হইলে বড় তরফের ত অবসান হইয়া ধাইবে । আছে বটে কাস্তির কাকার ছেলেরা, কিন্তু সে যে বড়ছেলের বড়ছেলে, তাহার সঙ্গে কি অন্ত কাহারও তুলনা হয় ? এ হেন অচিন্তনীয় বিপদের সম্ভাবনায় সকলেই যেন শিহরিয়া উঠিতে লাগিল । তরঙ্গিণীর বুকের রক্ত ভয়ে জল হইয়া আসিতে লাগিল, কিন্তু কাহারও কাছে সে কোনো ভরসা পাইল না । কাস্তিচন্দ্রের পিতা অন্দর মহলের ব্যাপারে কোনো দিনই কথা বলিতেন না, তিনি জমিদারী দেখিবেন এবং গিল্পী সংসার দেখিবেন, এইরকম একটা ব্যবস্থা আপন৷ হইতেই হইয়া গিয়াছিল। এবার কিন্তু তিনিও অনধিকারচর্চা করিয়া বসিলেন । হঠাৎ বলা নাই কহ নাই, কি একটা সামান্ত ছুতা করিয়া তরঙ্গিণীকে বাপের বাড়ী পাঠাইয়া দেওয়া হইল। ছুতাটা যে নিতান্তই ছুতা তাহা তরঙ্গিণী বুঝিল, ব্যথায় লজ্জায় তাহার অশ্রুর উৎসও যেন শুকাইয়া গেল । এক ফোটা চোখের জল না ফেলিয়া, কঠিন মুখে সে বিদায় হইয়া গেল, কাহাকেও বিদায় সম্ভাষণ পৰ্য্যন্ত করিল না। কান্তিচন্দ্র সময় বুঝিয়া আগে হইতেই সরিয়া পড়িয়াছিল, কাজেই তাহাকে আর চক্ষুলজার দায়ে পড়িতে হইল না। জন্তঃপুরিকার শেষ বাণ ছাড়িলেন, "ঐ ত কপাল, তবু দেমাকে মটমট, করছেন, কাউকে যেন চোখে দেখতেই পান না।” সত্যই ত। যাহাকে খোচা মারিয়া মাহুষ একটু আমোদ করিতে চায়, সে যদি জাক করিয়া খোচাটা গায়েই না নেয়, তাহা হইলে রসিক জনের রাগ হইতেই পারে। প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩e৮ [ ৩১শ ভাগ, ২য় খণ্ড चांद्र ७कछन वजिल, “श्८ब नां छांक ? शंखांब्र ८ठ्ठांतू জমীদারের বেটী বলে নাম ত আছে ?” so কান্তিচন্দ্রের খুড়ীমা কথাটা শুনিয়া একেবারে হাসিয়া লুটাইয়া পড়িলেন, “ওম, ওমা, কোথায় যাব! ভূধর বাড়ধ্যেও আবার জমিদার, তেলাপোকাও আবার পার্থী !” একটি মানুষের কাছে খালি তরঙ্গিণী বিদায়ু লইয়া গেল। সে পাড়ার গণেশশঙ্কর তে এয়ারীর স্ত্রী, লীলা । ইহারা হিন্দুস্থানী ব্রাহ্মণ, তবে বহুকাল বাংলা দেশে বাস করার দরুণ বাঙালীই হুইয়া গিয়াছে। গণেশশঙ্কর সামান্য স্কুলমাষ্টার, ইংরেজী বিশেষ জানে না, নীচু ক্লাসে ছেলেদের সংস্কৃত পড়ায়। মাহিন মাত্র পচিশ টাকা । ংসার মাঝে মাঝে অচল হইয় উঠে । এমন দরিদ্রের পত্নীর সঙ্গে তরঙ্গিণীর কেমন করিয়া হঠাৎ ভাব হুইয়া গেল। লীলারও সস্তান হয় নাই, সেই দুঃখ তাহার মনে একটা ব্যথার উৎস স্বজন করিয়া রাখিয়াছিল, তবে ইহা লইয়। গরীবের ঘরে তাহাকে খোটা খাইতে হইত না । সে মাঝে মাঝে বড়লোকের বাড়ির সকল রকম আভিজাত্যের খোচা থাইয়াও তরঙ্গিণীকে সাস্তুন দিবার জন্য আসিয়া জুটিত । তরঙ্গিণীকে বলিত, “আমার মত সারাদিন ভূতের বেগার খাটতে হত ত ছেলের দুঃখ একবাব মনে করবারও সময় পেতে না, বউরাণী। বুড়ী শাশুড়ী দ্বিনে দিনে ঘা হয়ে উঠছেন একলাই দশ ছেলের সমান ।” তরঙ্গিণী বিষঃভাবে হাসিয়া বলিত, ‘ কাজ করলে আমাদের পাপ হর ।” কিন্তু হঠাৎ একটু পরিবর্তন দেখা দিল । জমিদার-বাড়ি হইতে নিরস্তর ঘটা করিয়া যে ষষ্ঠ ঠাকুরাণীর আবাহন চলিতেছিল, তিনি যেন পথ ভুল করিয়াই গরীব গণেশশঙ্করের গৃহে ঢুকিয়া পড়িলেন। পাড়ার লোকে শুনিয়া বিস্মিত হইল যে, লীলার সম্ভান সম্ভাবনা श्हेब्रां८छ् । সস্তান হইবার সময় কিন্তু বিষম বিপদ ঘটিল। প্রস্বতীকে লইয়া যখন যমে মান্বযে টানাটানি চলিতেছে, uर६ लौलांब्र *ातर्छौ ऍक्रक्t& eथsiब्र कब्रिtष्टtइन ८६,