পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] গীত ఆNసి কষ্টকর ইত্যাদি । ( পঞ্চম অধ্যায়ের বক্তব্য যথাস্থানে আলোচনা করিব ) । ৩৩-৫ ক্রর কৰ্ম্ম কেন করিব অর্জনের এই প্রশ্নের উত্তরে শ্ৰীকৃষ্ণ বলিলেন যে “তোমাকে আমি পূর্বেই বলিয়াছি যে, ব্ৰহ্মপ্রাপ্তির দুই প্রকার উপায় আছে। সাংপোর ব৷ জ্ঞানীর জ্ঞানযোগের দ্বার এবং যোগীর কৰ্ম্মযোগের দ্বারা রহ্মলাভ করেন । কিন্তু মনে রাপিও ধে, জ্ঞানসোগের দ্বারা বুদ্ধি স্থির হইলে ৪ এবং ইচ্ছা করিয়া .কোন কৰ্ম্ম না করিলেগু বাস্তবিক নৈষ্কৰ্ম্ম্য হয় না এবং কৰ্ম্ম ত্যাগ করিলেই যে সিদ্ধি লাভ হয় তাহাও নহে । জানিবে নে প্রকতি নিজ গুণে সমস্ত মন্ত্যকেই কৰ্ম্ম করিতে বাপ করায় । বাস্তধিক পক্ষে নিষ্কৰ্ম্ম অবস্থায় কেচষ্ট ক্ষপমাত্র ৭ থাকিতে পারে না, অতএব কেবল বুদ্ধি দ্বারাষ্ট সিদ্ধি হইবে, কৰ্ম্ম করিল ন৷ একথ। বল। পুথ ।” শঙ্কর মিঞ্চস্ম্য অথে নৈসৰ্ম্ম সিদ্ধি করিয়ছেন। ইঙ্গ। সমীচীন নহে । ‘কৰ্ম্ম’ কথাটার অর্ণ এখানে পূবষ্ট ব্যাপক, যাহ। কিছু কর। ধায় ত্ৰাঙ্গষ্ট কৰ্ম্ম । এমন কি চিন্থা করা ও কৰ্ম্ম । আহার, বিহার, নিদ্রা, নিঃশ্বাস প্রশ্বাস ইত্যাদি সমস্তই কৰ্ম্ম । আমি ইচ্ছ। করি বা ন করি আমার শরীরে ও মনে নান। ব্যাপার চলিতে থাকে, প্রকৃতির বশেই এই সমস্ত ব্যাপার নিম্পন্ন আমরা দে নানা প্রকার কামনা বা ইচ্ছা করি তাহা ও সমস্তই প্রক্সভি’র বশে । স্বাধীন ইচ্ছা ৷ free will) বলিয়। কিছুই নাই। পরে বলা হইয়াছে অহঙ্কারে বিমুগ্ধ হইলে গামি কষ্ট এইরূপ মনে হয়। এই বিষয় মনে রাখিলে বুঝা যাইবে যে কাজ কর। বা ন করার কোন অর্থ হয় না। কেন-ন, আমার বা আত্মার সহিত কাজের কেনিষ্ট সম্পর্ক নাই । সিদ্ধাবস্থাভিন্ন এই ভাব অন্তভূত হয় না । অতএব সাপারণ মতুযু ঘপন নিজেকে কত্তা মনে করিবেই ভগন ঐক্লষ্ণের মতে সিদ্ধভাবের অল্পকল্প অবস্থ৷ নৈষ্কৰ্ম্ম অৰ্থ কৰ্ম্মের সঙfব বা কৰ্ম্মভাগের ভাব । 芷苓 菲 シ雲 I লোকেঃম্মিল্‌ ধিবিধা নিষ্ঠ পুরা প্রোক্তা ময়ানঘ | জ্ঞানযোগেন সাংখ্যানাং কৰ্ম্মযোগেন যোগিনাম || ৩ ন কৰ্ম্মণামনারগুণ নৈষ্কৰ্ম্মাং পুরুষোংশ্ন,তে । ন চ সংস্থ্যসনাদেব সিদ্ধিং সমধিগচ্ছতি ॥ ৪ ন হি কশ্চিৎ ক্ষণমপি জাতু তিষ্ঠত্যকৰ্ম্মকৃৎ । কাৰ্য্যতে হবশ: কৰ্ম্ম সৰ্ব্ব: প্রকৃতিজৈগুণৈ: | ৪ রাগদ্বেষ ও ফলাকাজক্ষা পারত্যাগ করিয়া কৰ্ম্ম করা ; ইহাই কৰ্ম্মযোগ । কৰ্ম্মযোগ ও জ্ঞানযোগে বিশেষ কোনই পার্থক্য রহিল না। কৰ্ম্মযোগে যে বুদ্ধি বিকশিত হয় তাহাই জ্ঞানযোগ । শ্বেতাশ্বতরোপনিষৎ ষষ্ঠাধ্যায়ে ১৩ শ্লোকেও এই দুই মার্গের কথা আছে “তৎকারণং সাংখ্য যোগাধিগম্যং"। পরে গীতায় নানা প্রকার মার্গের উল্লেখ আছে। এই সমস্ত মার্গ সম্বন্ধে শ্রীকৃষ্ণের মতামত জানা দরকার, কারণ তাহ না জানিলে অনেক স্থলে গীতার ব্যাপ্য পরিস্ফুট হইবে না। এই অধ্যায়ের শেষে এই সকল মার্গের আলোচনা করিব । ৩৬-৮ “থে কৰ্ম্মেন্দ্রিয়কে সংযত রাপে অথচ মনে মনে বিষয়ভোগের অভিলাষ করে সে মূঢ় মিথ্যাচারী। অতএব যখন কৰ্ম্ম করিতেই হইবে তখন ইন্দ্রিয়-সকলকে মনের দ্বার নিয়মিত করিয়া অর্থাং সংহরণ করিয়৷ কম্মেন্দ্রিয়দ্বার। অসঙ্গ হইয়া কৰ্ম্ম কর । এইরূপ ব্যক্তিই শ্রেষ্ঠ । তুমি নিয়ত এইভাবে কৰ্ম্ম করিতে থাক। অকৰ্ম্ম হইতে কৰ্ম্মই শ্রেষ্ঠ, কেন-না, অঞ্চৰ্ম্মের চেষ্টা করা ও মিথ্যাচার একই কথ। । বাস্তবিক একেবারে সমস্ত কৰ্ম্ম বন্ধ হইলে শরীরযাত্রাও নির্ববাহ হইবে না।” “নিয়তং” কথার অর্থ যাগযজ্ঞাদি কৰ্ম্ম । অধিকাংশ ভাষাকারই এই অর্থই গ্রহণ করিয়াছেন । আমি নিয়ত” কথার একটু ব্যাপক অর্থ করিতে চাহি । শ্ৰীকৃষ্ণ ধাগযজ্ঞ করিবার উপদেশ দিতেছেন এমন নহে। “নিয়ত° কথার বাংলা অর্থ সতত । সমস্ত নিত্যকৰ্ম্মই নিযুত কৰ্ম্ম । পূৰ্ব্বের শ্লোকের সহিত সম্বন্ধ বিচার করিলে এই অর্থ ই সমীচীন বোধ হইবে । এখানে নিয়ত মানে যে সতত তাহার আরও প্রমাণ আছে ; ৩১৯ শ্লোকে সতত কাৰ্য্য কর বলা হইয়াছে। যজ্ঞকে শ্ৰীকৃষ্ণ যে ভাবে দেখাইয়াছেন। তাহা চতুর্থ অধ্যায়ে ২৩ হুইতে ৩৩ পয্যন্ত শ্লোকে ব্যাখ্যাত হইয়াছে। সেই অধ্যায়ে ও ১৮ অধ্যায়ে যজ্ঞ শব্দ কম্মেত্রিয়াণি সংযম্য ধ আস্তে মনসা স্মরন । ষ্টক্সিয়ার্থান বিমূঢ়াত্মা মিথ্যাচার: স উচ্যতে ॥ ৬ যত্ত্বিক্রিয়াণি মনসা নিয়ম্যারম্ভতেহজুন । কৰ্ম্মেন্দ্ৰিয়ৈ: কৰ্ম্মযোগমসক্ত: স বিশিষ্মতে ॥ ৭ নিয়তং কুরু কৰ্ম্ম ত্বং কৰ্ম্ম জ্যায়োহকৰ্ম্মণ: | শরীর যাত্রাপি চ তে ন প্রসিধ্যেদকৰ্ম্মণ: | ৮