পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ארטא প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে তাহার যজ্ঞের আবশ্যকতা নাই। পরের শ্লোকে ইহাই বলা হইয়াছে । ৩১৫ শ্লোকে ‘ব্রহ্মোস্তুব’ শব্দের অর্থ তিলক "ব্রহ্ম" হইতে উৎপন্ন করিয়াছেন। অগত্য ‘ব্ৰহ্ম’ মানে প্রকৃতি বলিতে হইয়াছে। আমি ব্রিহ্মোস্তুব’ শব্দের অর্থ “ব্রহ্মা” হইতে উৎপন্ন এইরূপ করিয়াছি। যে-হিসাবে যজ্ঞে ব্ৰহ্ম প্রতিষ্ঠিত আছেন বল হইল সেই হিসাবে প্রত্যেক কৰ্ম্মেই ব্ৰহ্ম প্রতিষ্ঠিত আছেন বলা যায়, অতএব শ্ৰীকৃষ্ণ নিজে যজ্ঞের কোন বিশেষ সার্থকতা মানিলেন না । ৩৷ ১৭-১৯ পূৰ্ব্ব শ্লোকে বলিলেন যজ্ঞ করিয়াও অসঙ্গচিত্ত থাকিলে বন্ধন হয় না। এই শ্লোকে বলিতেছেন যে স্থিতপ্রজ্ঞের যজ্ঞ করিবার বা অন্ত কোনও কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্মের আবঙ্গকতা নাই। এই শ্লোকে “কার্যা” মানে "কৰ্ম্ম” নহে । কার্যা “কৰ্ত্তব্যকৰ্ম্ম” এই অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে। কাধা অর্থাৎ করণীয়। স্থিতপ্রজের কোনও কৰ্ম্ম নাই একথা হইতে পারে না । কেন-না, কৰ্ম্ম বিনা শরীরযাত্রাও চলে না | “কিন্তু ঘুে-মানবের বিষয়ে রতি ন হইয়। আত্মাতেই রতি বা প্রীতি হয়, যাহার আকাঙ্ক্ষা বহির্বিষয়ে তৃপ্ত না হইয়৷ আত্মরতিতেই তৃপ্ত হয় এবং যে এইরূপে তৃপ্ত হইয়া সন্তুষ্টচিত্ত হওয়ায় অপর কোনও বিষয়ের কামনা করে না, তাহার কোনই কৰ্ত্তব্য নাই। তাহার কোনও কৰ্ত্তব্যকৰ্ম্ম হইল বা না হইল ইহাতে কিছুই যায় আসেন। এবং সৰ্ব্বভূতের কাহারও সহিত তাহার কোন প্রয়োজন বা অবলম্বন বা সম্পর্ক থাকে না। অতএব তুমি যাহাতে এই অবস্থা পাইতে পার তাছার জন্ত অসঙ্গচিত্তে নিয়ত বা সতত কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম কর । শরীরযাত্রার জন্য কৰ্ম্ম ও কর্তব্যকৰ্ম্ম অসঙ্গচিত্তে করিলে পরম বা ব্ৰহ্মলাভ হয় । কৰ্ম্ম করিব না একথা বলিতে হয় না। জনক প্রভূতি কৰ্ম্ম করিয়াই সিদ্ধ যস্বাক্ষরতিরেব স্তাদ আত্মতৃপ্তশ্চ মানব: | আল্পস্কোৰ চ সন্তুষ্ট স্তস্তকাৰ্য্যং ন বিস্তুতে ॥ ১৭ নৈব তন্ত কৃতেনার্থে নাকৃতেনেহ কশ্চন । ন চাপ্ত সৰ্ব্বভুতেষু কশ্চিদৰ্থ ব্যপাশ্রয় ॥ ১৮ তস্মাদসক্ত: সততং কার্য্যং কৰ্ম্ম সমাচর । জসক্তে হাচরন কর্ণ পরমাপ্নোতি পুরুষঃ ॥ ১৯ কৰ্ম্মশৈব ছি সংসিদ্বিমাস্থিত জনকাদয়ঃ । লোকসংগ্রহমেবাপি সংপস্তন কৰ্ত্ত মৰ্হসি। ২• প্রবাসা - ফাঙ্কন, SD9y ৩১শ ভাগ, ২য় খণ্ড হইয়াছিলেন।” সৰ্ব্বভূতের সহিত সম্পর্ক থাকে ন বলার উদ্দেশ্য যে এইরূপ ব্যক্তি যজ্ঞচক্রের বাহিরে। র্তাহার পক্ষে যজ্ঞের আবঙ্গকতা নাই। প্রত্যেক মন্থয্যের সর্বভূতের সহিত বা সমগ্র লোকের সহিত যে আদান-প্রদান আছে, যজ্ঞ তাহারই নিদর্শন। অর্জুনকে কৃষ্ণ কৰ্ত্তব্য কার্য্যে উৎসাহিত করিতেছেন। কারণ এই অধ্যায়ের প্রথমেই অৰ্জ্জুন যুদ্ধরূপ ক্রুর কৰ্ম্ম কেন করিব প্রশ্ন করিয়াছেন। এই প্রশ্নের উত্তর পরে আসিতেছে। ৩২০-২৪ “কৰ্ম্ম করিয়াই জনকাদি সিদ্ধি লাভ করিয়াছিলেন। লোকসংগ্রহ বা সাধারণের উন্মার্গ প্রবৃত্তি নিবারণের জন্য ও তাহাদের শিক্ষার জন্যও কৰ্ম্ম করা উচিত, কারণ শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি যা করে সাধারণে না বুঝিয়া" সেইরূপ আচরণ করে। তিনি যাহা প্রমাণ ( standard– রাজশেখর ) স্থাপন করেন লোকে তাহার অল্পবৰ্ত্তন করে । আমার নিজের কোন কৰ্ত্তব্যই নাই তথাপিও আমি কাজ করিতেছি, কারণ আমি যদি আলস্তবশে কৰ্ম্ম ন করি তবে লোকে আমারই পথে চলিবে ও উৎসন্ন যাইবে ; ফলে বর্ণ-সঙ্কর উৎপন্ন হুইবে ৪ প্রজার সর্বনাশ ঘটবে।" শ্ৰীকৃষ্ণ যখন বলিলেন স্থিতপ্রজ্ঞের কোন কৰ্ত্তব্যই নাই তখন অৰ্জুনের মনে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠিতে পারে “তবে তুমি যুদ্ধকে কৰ্ত্তব্য বলিয়া মনে করিতেছ কেন ও নিজে যুদ্ধে যোগ দিয়াছ কেন ?” শ্ৰীকৃষ্ণ নিজে একজন প্রধান ব্যক্তি, প্রধানেরা নিজের কৰ্ত্তব্য বিস্কৃত হইলে প্রজ ধ্বংস হয়। শ্ৰীকৃষ্ণ এখানে নিজেকে ভগবান মনে করিয়৷ কথা বলিতেছেন এমন ভাবিবার কোন কারণ নাই। তিনি প্রধান এজন্য শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি, প্রজারা তাহারই আদর্শে চলিবে ইহাই বলা উদেঙ্গ । সমগ্র গীতাতে সামাজিক আদর্শকে যে কত বড় করিয়া ধরা হইয়াছে তাহা এই সকল শ্লোকে বোঝা যায়। যদলদাচরতি শ্রেষ্ঠ স্তত্তদেবেতরো জন: | স যৎ প্রমাণং কুরুতে লোকস্তদনুবর্ততে। ২১ নমে পার্থাপ্তি কর্তব্যঃ ত্ৰিষু লোকেষু কিঞ্চন । নানবাপ্ত মৰাপ্তব্যং বৰ্ত্ত এব চ কৰ্ম্মণি ॥ ২২ যদি ৰহং ন বৰ্বেরং জাতু কৰ্ম্মণাতঙ্গিতঃ। भक्ष द्मि'्बििव बन्वष्णींitर्थं जर्सभः ॥ २७ উৎসীদেয়ুরিমে লোক ন কুর্ধ্যাং কৰ্ম্ম চেদহম্ । সঙ্করস্ত চ কৰ্ত্ত স্তান উপন্থস্তামিমা: প্রজাঃ ॥ ২৪