পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] উপস্থিত নাই। ছেড়া র্যাপারে; যথাসাধ্য জামার মলিনত৷ আবৃত করিয়া প্রতাপ বাহির হইয় পড়িল । খুব বেশী দূর নয়। মিনিট দশ বারে। ইtটয়া যাইতে जारण । भिश्ब्रि छांनाला निब्रा भूथ बाफ़ाहेब्र। ८बांश इञ्च প্রতাপেরই অপেক্ষা করিতেছিল । তাহাকে দেখিয়া তাড়াতাড়ি বাহির হইয়া আসিল। বলিল, “আজুন আপনি সত্যি আসেন কি না দেখবার জন্তে আমি জানলার কাছে বসে ছিলাম।” প্রতাপ কুসিয়া বলিল, “সত্যি না আসব কেন ?” কাল যে-ঘরে কৰ্ত্তার সহিত সাক্ষাৎ হইয়াছিল, আজ সেই ঘরেই প্রতাপ পড়াইতে বসিল। বাড়িতে ঢুকিতেই সামনে পড়ে দোতলায় যাইবার সিড়ি । সিড়ির দুই ধার এবং মুখের জায়গাট পাম্ এবং পাতাবাহারের ছোট গাছ দিয়া সাজান । সিড়ির দেওয়ালের গায়ে৪ সব বাধীন বিলাতী ছবি । একধারে এই ঘরখানি আর একধারেও ঠিক এমনই একটি ধর, তবে তাহার দরজায় মোট রঙীন কাপড়ের পরদা, কাজেই ভিতরে কি আছে তাহা বোঝা যায় না । মিহির কি কি পড়ে, কোন বিষয়ে তাহার বিষ্ঠা কতদূর অগ্রসর হইয়াছে, তাহ প্রতাপ নানা ভাবে পরীক্ষা করিতে লাগিল। ছেলেটিকে তাহার ভালই লাগিয়াছিল, স্বতরাং এই কাজে যাহাতে সে টিকিয়া ধাইতে পারে তাহার জন্ত যথাসাধ্য চেষ্টা করিবে মনস্থ করিয়াছিল। কাজ না থাকার অসহায়তা যে কি পদার্থ তাহা খুব ভাল করিয়া বুঝিয়ছিল বলিয়া নিজের কোনো দোষে আবার সেই অবস্থায় উপনীত হইতে প্রতাপের ইচ্ছা ছিল না। ঘরের মাঝামাঝি জায়গায় একখান বড় সেক্রেটারিয়াট টেবিল, তাহার দুই দিকে দুইখানা চেয়ার। যে দরজা দিয়া ঘরে ঢুকিতে হয়, সেই দিকের চেয়ারে মিহির বসিয়া, ভিতরের দিকের চেয়ারে প্রতাপ । বাড়ির লোকজন যে সিড়ি দিয়া উঠিতেছে নামিতেছে, বাহিরে যাইতেছে, ভিতরে ঢুকিতেছে, সবেরই পরিচয় মাঝে মাঝে তাহার কানে আসিতেছিল, অবগু চোখে দেখিতেছিল না সে কাহাকেও। পড়ান লইয়াই সে ব্যস্ত ছিল। মিহির সত্যই ইংরেজীতে একটু বেশী কাচ, তাড়াতাড়িতে কি बांङ्कन - J2S t উপায়ে এই ক্রটর সংশোধন হইতে পারে, প্রতাপ তাহাই তাহাকে বিশদ ভাবে বুঝাইতে বসিল । বাহিরে যেন একট। গাড়ী দাড়াইবার শৰ শোনা গেল। মিহির একবার দরজার দিকে তাকাইল, তাহার পর আবার মাষ্টারের দিকে ফিরিয়া তাহার কথা শুনিতে লাগিল। কে যেন সেই পরদা ঢাক খরটিতে গিয়া ঢুকিল, তাহার পদশকে প্রতাপ ইহা অকুমান করিল। তাহার পর কোথা হইতে মৃদু একটা স্বগন্ধ হাওয়ায় ভাসিয়া আসিয়া মুহূর্বের জন্য প্রতাপের চিত্তকে বিক্ষিপ্ত করিয়া দিল । তাহার জীবনের ভিতর স্বন্দর কিছুরই স্থান বহু বৎসর ছিল না, স্বগন্ধ যে কেমন জিনিষ তাহাও সে ভুলিয়া বসিয়াছিল। প্রতাপ মিহিরকে. বুঝাইতেছিল, “শুধু ক্লাসের বই দুখান৷ পড়লে ত ইংরেজী শিখতে পারবে না, আরও ঢের বেশী বই পড়া দরকার। নিজের ভাষাটা আমরা এত শীগগির শিথি কেন ? সেট। আমরা দিনরাত শুনছি, কাজে অকাজে কতবার যে পড়ছি, তার ঠিকঠকানা নেই। । অবশ্য অত বেশী করে ইংরিজী পড়া ব৷ শোনা আমাদের সম্ভব নয়, তবু খানিকট না পড়লে শুনলে একটা ভাষা আয়ত্ত করা চলে না।” মিহির বলিল, “মেমদের স্কুলগুলো বেশ। তারা সারাদিন ইংরিজী পড়ছে, শিখতে কোনোই কষ্ট নেই। যা খুলী বই পড়ে, কেউ বারণও করবে না। আর আমরা যদি একখানা কিছু হাতে করেছি ঈসপস ফেবল ছাড়া, অমনি বাবা বলবেন, “যত জ্যাঠামী, এ-সব বই এখন তোমাদের হাতে কেন ?" অথচ দিদি ত যা খলী পড়ছে, সিষ্টারর কিছু বলেও না, কিছু না।” বাড়ির লোকের গল্প এবং সমালোচনা যে মাষ্টারমশায়ের সামনে করিতে নাই, সে জ্ঞান এখনওঁ মিহিরের হয় নাই। প্রতাপ তাহার কথার স্রোত অন্যদিকে ফিরাইবার জন্ত বলিল, “তোমাদের স্থলে লাইব্রেরী আছে ত ?” - মিহির বলিল, "আছে একট। কিন্তু বেশী ভাল বই কিছুই নেই।” প্রতাপ বলিল, “তোমাদের নিতে দেয়