পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] টানিয়া লইয়া কি কি ভুল হুইয়াছে তাহা সংশোধন করিতে এবং ছাত্রকে তাহ। বুঝাইয়া দিতে বসিল । কাজ শেষ করির একবার ঘড়ির দিকে তাকাইল। আর বেশী সময় নাই, মিনিট পনেরো আছে। পাশের ধরে বাছাধ্বনি থামিয়া গিয়াছে, শিক্ষয়িত্রীরও বিদায় হইয়। যাইবার শব্দ শোনা গেল। কি করিয়া এই সময়টুকু কাটান যায় ? আগে চলিয়; যাওয়া ভাল দেখাইবে না। অস্তুতঃ প্রথম দিনেই আগেভাগে উঠিয়৷ চলিয়া গেলে প্রতীপ সম্বন্ধে মিষ্টিরের বাবার ধারণ। বিশেষ উচ্চ হুইবে না । অনেক ভাবিয়া সে মিহিরকে গোটাকয়েক শক্ত অঙ্ক কষিতে দিয়া বসিয়; রহিল । এই দিকে মিহিরের খুব উৎসাহ, অঙ্কে সৰ্ব্বদাই সে ক্লাসে প্রথম থাকে। প্রতাপকে নিজের গুণপনায় মুগ্ধ করিয়া দিবার জন্য সে গভীর মনোযোগ দিয়। অঙ্কগুলি কযিন্তে লাগিল । প্রায় সব কয়টাই ঠিক হইল, একটা ছাড় । সেট। বুঝাইয় দিতে লিভেই সময় পার হুষ্টব্ল গেল। প্রতাপ উঠিয়; পড়িয়া বলিল, “আজ ত তেমন ভাল করে সব বিষয় পড়ন গেল না, কাল থেকে রীতিমত রুটিন ক’রে পড়ান স্বাবে । ইংরিজার জন্যেই একটা খণ্ট। পুরো দিতে হবে " মিহির বলিল, “ত ড হবেই, ঐটেই আমার আসল দরকার । অঙ্কে আমার কোনে "হেল্প" দরকার হবে না । বাকি ঘণ্টাটা অন্য সব সাবজেক্ট পড়লেই হবে।” প্রভাপ বাহির হইয়া পড়িল । এখনও যেন তাহার মস্তিষ্ক ঠিক প্রকৃতিস্থ হয় নাই, তাহার ভিভর মুরের ঢেউ থেলিয় বেড়াইভেছে । কিন্তু রাস্তায় নামিয়া ইাটিতে আরম্ভ করিতেই সে বেন আবার আপনাতে আপনি ফিরিয়া আসিল। নিজের কাণ্ডে নিজেরই তাহার হাসি পাইতে লাগিল। কি ব্যাপার, ন, পাশের ঘরে বসিয়া কে একজন পিয়ানে বাজাইতেছিল । সে তরুণ না বুদ্ধ, স্বন্দরী কি কুৎসিত, প্রতাপ কিছুই জানেন, অথচ এমন করিয়া আত্মহারা হইয় পড়িল কেন ? আজীবন বঞ্চিত বলিয়াই কি সৌন্দয্যের ধে-কোনে। রূপ তাহাকে এমন করিয়া মুগ্ধ করে ? তাহ হইলে দ্ভ বিপদ । অশরীরী ব্যস্ত শুনিয়াই তাহার যে-অবস্থা হইয়াছিল, . মুষ্টিমতী ዓ፭—X : 峨 মাতৃঋণ అసెస్సె সঙ্গীত-রূপিনী কাহাকেও যদি কোনোদিন চোখে দেখিবার সৌভাগ্য ঘটে, তাছা হইলে প্রতাপ হয়ত মূৰ্ছিত হইয় পড়িয়াই যাইবে । ঐ বাড়িতে যখন নিত্য জাহাকে যাইতেই হইবে, তখন সে-রকম ঘটনা ঘটা বিচিত্র কিছু नां । বাড়ি আসিয়া দেখিল, গন্ধু রাজুও আসিয়া পৌছিয়াছে এবং তাহাদের চ; জলখাবার জোগাইতে পিসিমা, বৌদিদি সকালেরই মত ব্যস্ত হইয় পড়িয়াছেন । তাহাজের দলে জুটয়া প্রতাপও তাড়াতাড়ি হাত মুখ ধুইয়া খাইতে বসিয়া গেল। বিকালে চ৷ জলখাবার দূরে থাক, রাত্রে ভাত খাওয়ার পাটও বহু দিন অর্থাভাবে তাহার চুকিয়া গিয়াছিল। সবই ধেনু তাহার অতি নূতন, অতি আনন্দময় লাগিতে লাগিল। নিজের অবস্থা দেখিয়া সে নিজেই বিস্থিত হইতে লাগিল । এত খুশী হইবার কি ঘটিয়াছে ? চাকরি পাওয়া এবং খাইতে পাওয়া দুইটাই সুখের বিষয় বটে, তবে ও দুটার সঙ্গেই তাহার পূর্বের পরিচয় আছে। শুধু এই কারণেই কি তাহার সবই এত ভাল লাগিতেছে ? নারীর সেবাধ হইতে সে বহু দিন বঞ্চিত, একটুখানি স্নেহের স্পর্শ তাহাকে তৃপ্তি দিতে পারে বটে, কিন্তু এতখানিই কি ? অার এ-ও ত তাহার উদ্ধবৃত্তি করিয়া নেওয়৷ ? পিসিমা নিজের পুত্রের জন্ত করিতেছেন, বৌদি করিতেছেন স্বামীর জষ্ঠ, সে নি ভাস্ত দলে জুটয় তাহাতে ভাগ বসাইতেছে বই ত নয় ? তৰু কারণটা খুজিয়া পাক বা নাই পাক মনের প্রসন্নতাট তাহার থাকিয়াই গেল । সন্ধ্যার অন্ধকার ইহারই ভিতর ঘনাইয়া আসিয়াছিল। গজু নিজের ঘরে গিয়া ঢুকিল, রাজু বলিল, “আমাদের পাড়ায় একট। গানের ক্লাব আছে, অবশ্ন শুধু গানই ধে সেখানে হয় তা নয়, তাসটাসও চলে । যাবে না কি ?” প্রতাপ একটু ভাবিয়া বলিল, “থাক, ও সব করবার আমার সুযোগ এখন কিছু দিন হবে না। আমি একটু ঘুরে পাড়াটা দেখে আসি। একট। ধোপা কাছাকাছি কোথাও আছে বলতে পার ?” রাজু বলিল, “ধোপার আবার অভাব কি ? এই ' পিছনের গলিট ঘুরে যাও, একেবারে ধোপার কলনি’-তে