পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] জীবন-নৈবেদ্য ৭২৫ SAASA SAASAASSAAAAA AAAA AAAASAAAA SAMAMMAAA AAAA AAAAMAMA AMAMS যে-রকম কলাকৌশলের নূতনত্বের প্রয়াস যখন যেমন প্রয়োজন হয়, তিনি তখন তাহাই অবলম্বন করেন ; এবং এই রকম অবস্থায় নানারকম নূতনত্বের প্রয়াসও করিয়া থাকেন, কোনো বাধাধরা নিয়ম উহাকে বাধিয়া রাখিতে পারে না। এ বিষয়ে তাহার সাহস অপূৰ্ব্ব । দুঃখের বিষয় তাহার অঙ্কিত অনেক প্রসিদ্ধ ছবি দেশের বাহিরে যুরোপ আমেরিকার নানাস্থানুে চলিয়া গিয়াছে ; মূল চিত্রের প্রতিলিপিও আর নাই, দেশে কোথাও তাহ প্রকাশিতও হয় নাই। বহুপূৰ্ব্বে অঙ্কিত কোনো কোনো ছবির সঙ্গে বাংলা দেশের শিল্পরসিকেরা হয়তপ রিচিত ; প্রবাসীতেও অনেকগুলি প্রকাশিত হইয়াছে। পরিচিত ও প্রকাশিত ছবির মধ্যে “তৈমুরলঙ,” “চীন-সম্রাট,” “নববধ,” “সাখী,” “ফুলমেলা” প্রভূতির নাম করা যাইতে পারে। কিছুকাল যাবৎ অৰ্দ্ধেন্দুবাবু কলিকাতাকেই তাহার শিল্পসাধনার কেন্দ্র করিয়া তুলিয়াছেন। আমাদের জীবনযাত্রার সকল ক্ষেত্রে যাহাতে একটা শিল্পবোধ জাগ্রত হইয়া উঠে, ভবিধ্যৎ বংশীয়ের যাহাতে জাতীয় শিল্পের প্রতি শ্ৰদ্ধান হয়ে উঠে সেদিকে জার বিশেষ ঙ্গে আছে। র্তাহার পরিশ্রম ও আত্মত্যাগ সত্যই প্রশংসনীয়। শুধু চিত্রাঙ্কণে নয়, মৃন্ময় ও ধাতু শিল্পে, লাক্ষার কাজে, কাঠ-খোদাই কাজে, বাৰ্ত্তক শিল্পে, গৃহসজ্জায় ও অলঙ্কার R ভূষণের পরিকল্পনায় ৪ তাহার কৃতিত্ব প্রকাশ) گی পাইয়াছে। অর্ধেন্দুপ্রসাদ যুবক : বিপুল তাহার শক্তি, অপূৰ্ব্ব র্তাহার উৎসাহ, যদিও তিনি একটু নীরবধৰ্ম্মী। বাংলা দেশের শিল্পপ্রচেষ্টায় তাহার মত উদ্যমশীল, শক্তিসম্পন্ন, ভাবসমৃদ্ধ, নিলোভ যুবকেরই প্রয়োজন। বিদেশের বিচিত্র শিল্পসাধনার কেন্দ্র হইতে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করিবার একট। আগ্রহ তাহার বহুদিন হইতেই আছে। সে-সুযোগ যদি তাহার কখনও আসে তবে তাহার সমৃদ্ধ শিল্পসাধন সমৃদ্ধতর হইবে, ইহাই আমাদের একান্ত বিশ্বাস। নিজের গোপনত হইতে নিজেকে যদি তিনি সজোরে মুক্ত করিয়া লইতে পারেন, তবে তাহার সাধনা জয়যুক্ত হুইবে ; দেশের কলা-লক্ষ্মীর প্রসাদ তিনি লাভ করিবেন, ইহা ধ্রুব । জীবন-নৈবেদ্য [ IP, o Patria Mori : Thomas Moore l ঐনিৰ্ম্মলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় অস্তরের ভক্তি-অর্ঘ্যে যেজন পুজিল নিত্য তোমা সহসা যায় সে যদি চলি বেদনার স্মৃতি আর অপরাধ-অখ্যাতির বোঝা নীরবে পিছনে শুধু ফেলি ; কেবল তোমারি তরে নির্বিচারে বিসর্জন দিল পুর্ণপ্রাণ জীবনেরে তার কলঙ্ক তাহার শুনি, বল দেবী, নেত্র বাহি তব ঋরিবে কি অশ্রজলধার ? কঁাদিও, কঁদিবে জানি! বাধাহীন স্নেহবিগলিত তোমার সে নয়নের জন্ত্রে নিঃশেষে মুছিয়া যাবে প্রচারিত শতনিন্দ মোর শত্রুরা মিলিয়া যাহা বলে। দেবতা জানেন সত্য ; তোমারে বাসিয়াছিন্ত ভাল বড় বেশী, প্রাণপণ করি, যদিও শক্রর দ্বরে নিত্য দোষী অপরাধী আমি, অপরাধে পাত্র গেল ভরি। প্রথম প্রেমের স্বপ্ন, ওগো দেবী, জীবনে আমার, ফুটেছিল তোমারে ঘিরিয়া, বুদ্ধির প্রত্যেক চিন্তা নিত্য মোর অস্তরের মাঝে জেগেছিল তোমারে স্মরিয়া । জীবনের শেযক্ষণে সৰ্ব্বশেষ প্রার্থনায় মোর - উৰ্দ্ধমুখে দেবতার আগে তোমার মোহন নাম আমার নামের সনে মিশি নিত্য যেন এক হয়ে জাগে । তাদের পরমভাগ্য আজ ও যারা রহিল গো বাচি দেশবন্ধু প্রেমিকের দলে দেখিবে তাহার স্বখে গৌরবের দীপ্ত জয়টক কেমনে ললাটে তব ঝলে । আর ভাগ্যমস্ত তারা, দেবতার শুভ আশীৰ্ব্বাদ নিত্য ঝরে তাহাদের শিরে, আজি যারা সগৌরবে তাজি প্রাণ, দেবী তব তরে নীরবে দাড়াল সরি ধীরে ।