পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] রাজাদের দ্বারা হইবে প্রস্তাব এইরূপ, এবং মহাত্মা গান্ধী পৰ্যন্ত এইরূপ প্রস্তাবের স্পষ্ট কোন প্রতিবাদ করেন নাই। রাজারা সংঘবদ্ধ ভারতীয় রাষ্ট্রের প্রাধান্ত স্বীকার করিতে অসম্মত বলিয়া ইংলণ্ডেশ্বরের অর্থাৎ তাহার প্রতিনিধি বড়লাটের অর্থাৎ তল্পিযুক্ত রেসিডেন্ট ও পোলিটিক্যাল এজেণ্টদের প্রাধান্য স্বীকার করিতে বাধ্য হইবেন। সুতরাং উহার ৪র্তাহীদের মনোনীত প্রতিনিধির সরকারের ধামধরা হইবেন। প্রধান মন্ত্রী ফ্র্যাঞ্চিস্ কমিটিকে উপদেশ দিয়াছেন, যে, সাম্প্রদায়িক কোন আপোষমীমাংসা না ) হইলে পৃথক্ নিৰ্ব্বাচনপ্রণালী থাকিবে ধরিয়া লইয়া যেন তাহার কাজ করেন। ঐ প্রকার আপোযমীমাংসা যাহাঁদের চেষ্টায় হইতে পারিত সেক্টরূপ প্রভাবশালী নেতার কারারুদ্ধ হইয়াছেন। স্বতরাং ইহা এক রকম স্থির, যে, আপোষমীমাংসা হইবে না, পৃথকৃ পৃথক নির্বাচন থাকিবে । তদনুসারে নির্বাচিত মুসলমান ও অন্যান্য সভাগণের অধিকাংশ গবন্মেন্টের পৃথকুনিৰ্ব্বাচনাধিকাররূপ অঙ্গু গ্রহের প্রতিদান-স্বরূপ সরকার পক্ষে হাত , তুলিবেন । ইউরোপীয় ও ফিরিঙ্গীরা এবং সরকারী ও সরকার-মনোনীত সভ্যেরাও তাহাই করিবে। এই প্রকারে রাষ্ট্রসংঘীয় ব্যবস্থাপক সভায় লোকমতকে দাবাইয়া রাখিবার পাকাপাকি বন্দোবস্ত হইতেছে। আমাদের বিবেচনায় এই প্রস্তাবিত ব্যবস্থাপক সভা বৰ্ত্তমান ব্যবস্থাপক সভা অপেক্ষাও শক্তিহীন হইবে, এবং সেইজন্য ইহার সুতিকাগৃহে সহকারিত কর অনাবশ্বক ও অকল্যাণকর । ১৯৩২এর ৭ম অর্ডিন্যান্স গত ৬ই ফেব্রুয়ারী বড়লাট, ব্যবস্থাপক সভার অধিবেশন চলা সত্বেও, আবার একটি অর্ডিস্তান্স জারি করিয়াছেন। ইহা বৰ্ত্তমান ১৯৩২ সালের ৩৭ দিনের মধ্যে জারিকৃত সাতট অর্ডিন্যান্সের সপ্তমস্থানীয়। ইহার দ্বারা এই বৎসরের দ্বিতীয় ও পঞ্চম অর্ডিস্তান্স সংশোধন দ্বারা ব্যাপকতরীকৃত ও কঠোরতরীকৃত হইয়াছে। দ্বিতীয় অর্ডিন্যান্স অনুসারে কোন অফিসার, সৈনিক, নাবিক ইত্যাদিকে বিপথচালিত নয়। অপরাধ ছিল। এখন সংশোধন বিবিধ প্রসঙ্গ—নির্বাক্ বয়কটের ফল অধিকতর লক্ষিত হইতেছে Գ(t Ֆ এই হইল, যে, কেহ যদি এমন কিছু করে যাহা সাক্ষাৎ বা পরোক্ষ ভাবে ঐক্কপ ফুসলান বা বিপথচালিত করণের দিকে যায়, তাহাও অপরাধ হইবে । কোন কাজ কথা বা মন্তব্যের সাক্ষাং বা পরোক্ষ প্রবণতা কোন দিকে নয়, বলা স্বকঠিন। পঞ্চম অর্ডিন্যান্স অনুসারে শাস্তিপূর্ণ পিকেটিংও যে একটা অপরাধ তাহা স্পষ্ট বুঝা যাইত ন, যদিও শাস্তিপূর্ণ পিকেটিঙের জন্যও বিস্তর লোকের জেল হইয়াছে। সংশোধন দ্বারা এই অস্পষ্টত ত দূরীভূত হইলই, অধিকন্তু এখন সেই ব্যক্তিও অপরাধী বিবেচিত ও দণ্ডিত হইবে যে, - “loiters at or near the place where such other person carries on business, in such a way or with intent that any person may thoreby be deterred fron outering or approaching or dealing at Ruth place, or does any other act at or near such place which may have a like “ssect.” এখন কেহ যদি কোন দোকানের কাছে বা কতকট। দূরে ট্রাম বা বাসের অপেক্ষায় এক আধ মিনিট দাড়াইয়৷ থাকে, কিংবা কোন বন্ধুর সঙ্গে দেখা হওয়ায় অল্পক্ষণ কথা বলে, বা কোন দোকানে জিনিষ কিনিব না-কিনিব দ্বিধাবশতঃ আল্লক্ষণ দাড়ায়, তাহাকেও গ্রেপ্তার করা চলিবে । গবন্মেণ্ট অর্ডিন্যান্স ক্রমাগত কঠিনতর করিয়াও অভীষ্ট ফল পাইতেছেন না, বুঝা যাইতেছে। সম্ভবতঃ এই জন্যই গত ২৫শে জানুয়ারী রাগবী হইতে ভারতবর্ষের রাজনৈতিক অবস্থা সম্বন্ধে যে সরকারী বেতারবার্তা এদেশে প্রেরিত হয়, তাহাতে বলা হইয়াছে, “নির্বাকৃ বয়কটের ফল অধিকতর লক্ষিত হইতেছে।” উক্ত বেতারবাৰ্ত্তার গোড়ায়, অবস্থাটা সাধারণতঃ সস্তোষজনকের দিকে atoos (“shows a generally satisfactory tendency)", oil onto. I fos cott *Hi đăics, “the effects of silent boycott are more marked,” “নিৰ্ব্বাক বয়কটের ফল অধিকতর লক্ষিত হইতেছে," বলিয়া । -*