পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գ(t o মোটামুটি সিকিই ধরা যাক্ । অতএব, রাষ্ট্ৰসংঘীয় বাবস্থাপক সভার নিম্ন কামর বা চেম্বারে ৩০ • প্রতিনিধি থাকিলে দেশী রাজ্যগুলির প্রতিনিধি ন্যায়ত ৭৫এর বেশী হইতে পারে না। উপরিতন কক্ষেও মোট ২০০ প্রতিলিপির মধ্যে দেশী রাজ্যগুলির প্রতিনিধি ন্যায়তঃ ৫০ এর বেশী হইতে পারে না । কিন্তু রাষ্ট্রসংঘগঠন কমিটি স্থপারিশ করিয়াছেন তাহাদিগকে যথাক্রমে ১০০ ও ৮০ জন প্রতিনিধি দিতে হইবে। ইহা যুক্তিসঙ্গত মহে। দেশ রাজ্যের রাজার ও প্রজারা ত্রিটিশ-ভারতের লোকদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ নহেন এবং প্রতিনিধিত্বমূলক শাসনপ্রণালীতেও শপিকতর অভ্যস্ত নহেন। ভারতবর্য যখন স্বাধীন ছিল, *থম দেশী রাজ্য ও বিদেশী-শাসিত অঞ্চল বলিয়া ভারতবসের দুটা ভাগ ছিল না ; সুতরাং তপন শুরূপ দুটা ভাগের মানুষদের আপেক্ষিক শ্রেষ্ঠতার কোন কথাও উঠিতে পারে না । ইংরেজদের আমলে এরূপ ভাগ হইয়াছে এবং দুটা ভাগের মধ্যে তুলনাও চলে। কেহ কেহ বলিতে পারেন, শুধু লোকসংখ্যার তুলন। করিলে চলিবে না, ব্রিটিশ-শাসিত ভারতের এবং দেশী রাজ্যসমূহের আয়তনের তুলনাও করিতে হইবে । কিন্তু ইহ টেকসই যুক্তি নহে। ভারতবর্ষের অন্য কোন অঞ্চল সম্বন্ধে এরূপ যুক্তি প্রয়োগ করা হয় নাই। কয়েকটি অঞ্চলের আয়তন ও লোকসংখ্যা নীচে দিতেছি । তাহাদের লোকসংখ্য অনুসারেই তাহাদের প্রতিনিধির ংখ্যা প্রস্তাবিত হইয়াছে, আয়তন অনুসারে নহে। প্রদেশ বর্গমাইল লোক-সংখ্যা প্রতিনিধি-সংখ্যা বালুচিস্থান as,ՀՋԵ 8,^^,^ •b' > আসাম text ৮৬,২২,২৫১ η ট্র-প সীমান্তু 3ళ్ళి833 ૨૪.૨૬.૦૧ષ્ઠ ఱ लिल्लो aశ్రీ ૭.૭ક,૨8૭ > আজমীর جهة جوه في 6 נצר, אי > কোন প্রদেশকে প্রতিনিধিশুস্ত রাখা যায় না, আবার একের চেয়ে কম প্রতিনিধিও হয় না; এইজন্য অত্যস্ত অল্প সংখ্যক লোককেও একজন করিয়া প্রতিনিধি দেওয়া হইয়াছে। * * * - মুসলমানের প্রতিনিধিসমষ্টির এক-তৃতীয়াংশ প্রতিনিধি চাহিয়াছেন ; সমগ্র ভারতের প্রতিনিধিসমষ্টির বা ব্রিটিশ-ভারতের প্রতিনিধিসমষ্টির এক-তৃতীয়াংশ তাহারা প্রবাসী—ফন্থন, ১৩৩৮ [ ৩১শ ভাগ, ২য় খণ্ড চাহিয়াছেন, স্পষ্ট বুঝা যায় নাই। কমটাই ধরা যাক, এবং ধরা যাক, যে, তাহার এক-তৃতীয়াংশ না পাইয়া সিকি পাইলেন। রাষ্ট্রসংঘগঠন কমিটির সুপারিশ অনুসারে দেশী রাজ্যসমূহ নিম্নকক্ষে পান ১০০ এবং ব্রিটিশভারত পান প্রতিনিধি। তাহ হইলে ২০০র সিকি ৫০ পান মুসলমানের। অথাৎ ৩০০ প্রতিনিধির মধ্যে দেশী রাজোর এবং মুসলমানদের ভাগেই গেল ১৫০ । বাকী থাকে ১৫০ । কমিটি সুপারিশ করিয়াছেন, যে, “অবনত” শ্রেণী, ভারতীয় খ্ৰীষ্টিয়ান, ইউরোপীয়, ফিরিঙ্গী, জমিদার, বণিক এবং শ্রমিকদিগকেও আলাদা করিয়া কিছু কিছু প্রতিনিধি দিতে হইবে । তাহারা কে কত জন প্রতিনিধি পাইবেন, তাহা এখনও স্থির হয় নাই, তৎসম্বন্ধে নির্দিষ্ট কোন সুপারিশ হয় নাই। সৰ্ব্বশেষে, এই সকলের উপর ধরিতে হুইবে সরকারী কয়েকজন সভ্য এবং গবলোণ্টমনোনীত কয়েকজন সভ্য। তাহা হইলে সে ১৫০ প্রতিনিধি বাকী ছিল, তাহা হইতে বিশেষ বিশেম শ্রেণীর প্রতিনিধি এবং সরকারীও মনোনীত সভ্য কম করিয়া আরও ২০ জনও যদি বাদ যায়, তবে ব্রিটিশ-ভারতের সাধারণ হিন্দু জনগণের জন্ত থাকিবে তিন শত প্রতিনিধির মধ্যে ১৩০ জন। অথচ এই হিন্দুরাই এদেশে সংখ্যায় সৰ্ব্বাপেক্ষা বেশী এবং জ্ঞানে ব্যবসাবাণিজ্যে ধনশীলিতায় জনহিতকর কার্ষ্যে দেশের স্বাধীনতা অর্জনার্থ ত্যাগে ও দুঃখস্বীকারে অগ্রণী। তাহা হইলে যুক্তিটা কি এই, যে, ঐ ঐ কারণেই তাহাদিগকে দাবাইয়া রাখিতে হইবে ? - এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাইবে না। যাহা হউক, বর্তমান ভারতবর্ণীয় ব্যবস্থাপক সভার তুলনায় প্রস্তাবিত রাষ্ট্রসংঘীয় ব্যবস্থাপকসভা অধিক গণতান্ত্রিক এবংগণস্বাধীনতার অনুকূল ও গণস্বার্থরক্ষার সহায়ক হইবে কি না, তাহাই ভাবিয়া দেখিতে হইবে। এখন দেশী সব নিৰ্ব্বাচিত সভ্য উপস্থিত থাকিলে তাহারা সংখ্যাভূমিষ্ঠ বলিয়া কখন কখন গবন্মেষ্ট পক্ষ ভোটে পরাজিত হইয়া থাকেন । কিন্তু ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রসংঘীয় ব্যবস্থাপক সভায় অধিকাংশ সভ্য সরকারী লোকদের প্রভাবের অধীন থাকিবে, স্বতরাং গবন্মেন্টের অনভিপ্রেত কোন ব্যাপারে লোকমত জয়ী হইবে না। দেশী রাজ্যের প্রতিনিধিগণ তথাকার প্রজাদের দ্বারা নির্বাচিত না হইয়া > a o