পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] অর্থ চলে যাচ্চে, সব তার ঠেকাবার শক্তি আমাদের হাতে এখন নেই, কিন্তু একান্ত চেষ্টায় যতট রক্ষণ করা সম্ভব তাতে যদি শৈথিল্য করি তবে সে অপরাধের ক্ষমা নেই। দেশের উৎপাদিত পদার্থ আমরা নিজে ব্যবহার করব। এই ব্ৰত সকলকে গ্রহণ করতে হবে। দেশকে আপন ক’রে উপলব্ধি করবার এ একটি প্রকৃষ্ট সাধনা ৷ যথেষ্ট উদৃত্ত অন্ন যদি আমাদের থাকত, অন্তত এতটুকুও যদি থাকত যাতে দেশের অজ্ঞান দূর হয়, রোগ দূর, দেশের জলকষ্ট পথকষ্ট বাসকষ্ট দূর হয়, দেশের স্ত্রীমারী, শিশুমারী তারা ዓፋ»$ দূর হতে পারত তাহলে দেশের অভাবের দিকেই দেশকে এমন একান্তভাবে নিবিষ্ট হতে বলতুম না। কিন্তু আত্মঘাত এবং আত্মগ্নানি থেকে উদ্ধার পাবার জন্তে সমস্তু চেষ্টাকে যদি উদ্যত না করি, আদ্যকার বহু দুঃখ বহু অবমাননার শিক্ষা যদি ব্যর্থ হয় তবে মানুষের কাছ থেকে স্বণ ও দেবতার কাছ থেকে অভিশাপ আমাদের স্বস্তে নিত্য নির্দিষ্ট হয়ে থাকবে যে পর্যান্ত আমাদের জীর্ণ হাড় ক-থান ধুলার মধ্যে মিশিয়ে না যায় ॥৯

  • খ্ৰীনিকেতনে বাৎসরিক উৎসবে রবীন্দ্রনাথের অভিভাষণ। ৬ই ফেব্রুয়ারি ১৯৩২ ৷

তারা শ্রীরজনীকান্ত গুহ ‘বাল্মীকির রামায়ুণে নারী-চরিত্রের মধ্যে তারার একটু বিশেষত্ব আছে। মৃত্যুর পূৰ্ব্বে বালী স্বগ্রীবকে যে উপদেশ দিয়াছিলেন, তাহাতে ইহার আভাস পাওয়া যায়। সুষেণ দুহিতা চেন্নমর্থ পাধিনিশ্চয়ে । উৎপাতিকে চ বিবিধে সৰ্ব্বত: পরিনিষ্ঠিতা ॥ বদেব সাধিতি ব্রুয়াং কার্যাং তন্মুক্ত সংশয়মু । ন হি তারামতং কিঞ্চিদজ্ঞধ পরিবর্ততে ॥ कि¥िकांकांe, २२॥००,»8 ॥ "স্বঘেণ-ছুছিত এই তারা সকল কাৰ্য্যের অতি দুঞ্জের তত্ত্ব নির্ণয়ে সমর্থ ; বিপৎকালে কি করিতে হইবে, তিনি তাহ নিৰ্দ্ধারণ কয়িতে পটু ; এবং ঐছিক পাল্পত্রিক সমস্ত কৰ্ম্ম সম্বন্ধেই উপহার সম্যক্ জ্ঞাণ আছে । অতএব ইনি বাছা উচিত বলিয়া বলিবেন, সংশয়মুক্ত হইয় তাহা সম্পাদন কল্পিৰে। কাৰ্য্যাকাৰ্য্য বিষয়ে তার যে-মন্ত ব্যক্ত করেন, কখনও ॐशिंश्च किङ्कवांब अछषी इब्र नt ।” বালী নিজের অভিজ্ঞতাতে তারার মন্ত্রণাদক্ষতার পরিচয় পাইয়াছিলেন ; তাই স্থগ্রীবকে সকল বিষয়ে, এমনকি রাষ্ট্রীয় কৰ্ম্মেণ্ড, তারার সহিত মন্ত্রণা করিয়া কৰ্ত্তব্যাকৰ্ত্তব্য স্থির করিতে অনুরোধ করিতেছেন। কৌশল্যাদি মানবী বা মন্দোদরী প্রভৃতি রাক্ষসী রাষ্ট্রীয়ব্যাপারের সংস্পর্শে ধাইতেন না । কবি একা এই বানরীর্কে রাজ্যের আপদে বিপদে রাজা ও স্বামীর পার্থে সহকর্মিণীরূপে দাড়াইবার অধিকার দিয়াছেন। এইটি স্মরণ রাখিয়া বালী-মৃগ্রীবের কাহিনী পাঠ করিলে আমরা প্রাচীন কালের একটি আৰ্য্যেতর সভ্যতার বৈশিষ্ট্য উপলব্ধি করিতে পারিব। কাহিনীটি সংক্ষেপে বিবৃত হইতেছে। সংক্ষিপ্ত হইলেও ইহাতেই মনস্বিনী তারার তীক্ষ্ণ বুদ্ধি, বাকৃপটুতা ও সাহস ফুটিয়া উঠিবে। বালী স্থগ্রীব দুই ভাই ; মাতা এক, পিতা বিভিন্ন । জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা “শএনিগ্‌দন” বালী কিষ্কিন্ধার অধিপতি ছিলেন। মায়াৰী নামক “তেজৰী" অনুরের সহিত তাহার স্ত্রী-নিমিত্ত শক্রত হইল। (রামায়ণের মুখ্য কথাই স্ত্রীঘটিত বিবাদ) । একদা গভীর নিশীথে নিদ্রামগ্ন কিষ্কিন্ধার দ্বারে আসিয়া মায়াবী যুদ্ধাৰ্থ বালীকে আহবান করিয়৷ “ভৈরবস্বনে” গর্জন করিতে লাগিল। বালী গর্জন শুনিয়া নিজ হইতে উঠিয়াই শক্রকে বধ করিবার জন্ত ধাবিত হইলেন ; স্ত্রীদিগের নিষেধ মানিলেন না। স্নগ্রীবও সৌহাৰ্দ্ধবশতঃ তাহার সঙ্গে গেলেন। অম্বর তাহাদিগকে দেখিয়া প্রাণভয়ে দৌড়াইতে দৌড়াইতে অবশেষে এক