পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধ্রুবা রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় - দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ চজগুপ্ত যখন মথুরায়, তখন একদিন সন্ধ্যার প্রাক্কালে পাটলিপুত্র নগরের পৌরসঙ্গের নায়ক জয়কে রাজমার্গের উপরিস্থিত একটি বৃহৎ তোরণের নিয়ে দাড়াইয়াছিলেন। সহসা এক সন্ধান্ত বৃদ্ধ “এই যে, বলিয়া আৰ্ত্তনাদ করিয়া তাহার পদতলে লুটাইয়া পড়িল। জয়কেনী তাহাকে উঠাইয়া দেখিলেন যে সে সম্পূর্ণ অপরিচিত। বৃদ্ধ কাদিতে কাদিতে বলিতে লাগিল, "ঠাকুর, সকলের অভাবে তুমি আজ নগরের ঠাকুর, তুমি আমার একটা উপায় কর, আমার জাত রক্ষা কর। চৌদ্দ বছরের মেয়েটাকে তিনটে গুণ্ডায় ধরে নিয়ে গেল, আর পাড়ার লোকে রাজার ভয়ে ই ক'রে দ্বাড়িয়ে দেখলে। এখনও একটা উপায় কর, এখনও তার জা’ত আছে।” জয়কেণী শুল্কমুখে কহিল, “কি করব বলুন, ষে দেশের যেমন রাজা। থাকতেন কুমার চন্দ্রগুপ্ত, তাহলে একবার बूष निडांभ । গুপ্ত বলে ধরতে গেলাম, সে কৰে উঠে রাজমুল্লা দেখালে। মহাপ্ৰতীহারের কাছে গেলে শুনতে পাওয়া বায় যে, হয় তিনি উজানবিহারে, নাহয় প্রাসাদে, ছয় মাসের দণ্ডবিধান বাকি পড়ে আছে। ভজিল আর রুচিপতি এমন সাবধান হয়েছে যে প্রাসাদে আর নাগরিকদের ঢুকবার উপায় নেই।” “এখনও সময় আছে, এখনও জাতি বায় নি।" “উপায় করব কাকে দিয়ে দেশে কি আর মাহৰ আছে ? যে কয়জন মায়ের বেটা ছিল, প্রয়োজন হ’লে রাজার সামনে দাঁড়িয়ে বলতে পারত, রাজা ভূমি অত্যাচারংসে জিন ত কুমার চজওথের সঙ্গে মথুরা পিয়েছে।" f "...o. . .

  • তবে মেয়েটির কি হবে ?” “বারবার ভিড়ার হল ভয়, আর বলে না, বললে পাগল হয়ে বাৰ।” তুমি কি মনে করছ যে আমাদের

ঘরে মাত, ভগিনী, কল্প নেই ? তুমি কি ভাবছ ৰে পাটলিপুত্রে কেবল তোমার উপরেই অত্যাচার হচ্ছে ? মহানগরে লক্ষ লক্ষ নাগরিক আছে, পৌরসঙ্গের ভাণ্ডারে কোটি কোটি স্ববৰ্ণ আছে, অল্পবস্ত্রের অভাব নেই নেই কেবল একটা মানুষ । ভয়, তোমার কস্তাকে উদ্ধার করতে হ’লে প্রাসাদ আক্রমণ করতে হবে, রাজদ্রোহ করতে হবে, রামগুপ্তকে সিংহাসনচ্যুত করতে হবে। কিন্তু মহারাজ চন্দ্রগুপ্তের আদেশ, যতদিন শকযুদ্ধ চলবে, ততদিন মগধে গৃহবিবাদ চলবে না। জয়নাগ যুদ্ধে গিয়েছে, সে পরমস্থখে আছে, কিন্তু আমি পাটলিপুত্রের নগরনায়ক হয়ে কেবল সারাদিন মাথার চুল ছিড়ছি, আর বলছি,—‘মধুসূদন, কবে মগধ রসাতলে যাবে, কবে রামগুপ্ত রক্ত বমন করে মরবে, কবে রুচিপতিকে শেয়াল কুকুরে টেনে ছিড়বে।” “তবে কি সমুদ্রগুপ্তের রাজ্যে অনাথের নাথ কেউ নেই? আমার কি কোনো উপায়ই হবে না ?” - “হতে পারে যদি মধুসূদন স্বপ্রসন্ন হন, তোমার কন্স উদ্ধার করতে পারে ঐ দীনা ভিখারিণী।” “তুমি কি উপহাস করছ, নগরনায়ক ? छूमि মহানগরের পৌরসঙ্গের নায়ক হয়ে ষে-কাজ করতে ভরল পাচ্ছ না, সে-কাজ ঐ দীন, জীর্ণ ভিখারিণী করবে - “ভদ্র, ভদ্র, উপহাল করিনি। জেনে রাখ আমিও কুলপুত্র। ঐ দীনা ভিখারিণী পাটলিপুত্রের মা। জামি পালাই, না হ’লে হয়ত মহারাজ চন্দ্রগুপ্তের আদেশ লঙ্ঘন ক’রে ফেলব। নাগরিক, ঐ মলিনৰসনা ভিখারিণী गोधशरश्वैौ गडनबैौ-चांब्र किहू द'rण न-चाषि পাগল হয়ে উঠেছি।” রাজপথের শেষে দুইটি রমণী ভিক্ষাপাজ হন্তে অতি বীরপরে অগ্রসর হইতেছিলেন। বৃক্ষ দত্তদেবী, যুবতী अब८णदौ । 酸