পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"Nb প্রবাসী—চৈত্র, ১৩৩৮ [ ৩১শ ভাগ, ২য় খণ্ড ইহা অামাদের দেশ বলিয়া মনে হয় না। এখানকার মান্বষের পোষাক চেহার হাট চলা ধরণ ধারণ সবই ভারতের অন্যান্য দেশ হইতে স্বতন্ত্র। শহরতলীগুলি যতটা দেখা যায় খুব পরিষ্কার পরিছন্ন এবং প্রাসাদের মত বড় বড় বাড়ী চারিধারে শোভা পাইতেছে। ইউরোপ त्रिदोष्ठी দেখি নাই, কিন্তু তবু মনে হয় যেন সেই দেশের সঙ্গে সাদৃঙ্গ বোম্বই প্রদেশের খুব বেশী। এখানে মেয়েদের মাথায় যে শুধু বোমটা নাই তাহা নহে, ইহাদের ধরণ ধারণ খুবই পাশ্চাত্য দেশের মত। সকাল বেলাই ছোট ছোট ষ্টেশনের বেঞ্চে বসিয়া অথবা প্লাটফরমে বেড়ান্টুয়া মেয়েরা বই হাতে বৈছাতিক ট্রেনের অপেক্ষা করিতেছে। বৈদ্যুতিক ট্রেন অল্পক্ষণ দাড়ায়, গাড়ী আসিবামাত্র মেয়েদের তৃতীয় শ্রেণীর কামরায় লিঙ্কের শাড়ী-পরা চশমা-শোভিতা নব্য মহিলা ও মেছুনী পসারিনী ইত্যাদি—সবাই টপাটপ লাফাইয়া प्लेटैिद्यां भक्लिज । गोफ़ौदङ ख्ब्रांनक डिज़ ७द९ शीघ्नौ ছোটে ঝড়ের মত, মেয়ের মাথার উপর খাটানো লোহার छां७l *ख् कब्रिग्रे शब्रिग्ना कांभब्राग्न मांफ़ाहेब नैम्निांझेब्रांझे চলিয়াছে। বোম্বাই শহরে ক্রযুক্ত স্থধাংশুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ও র্তাহার সহধৰ্ম্মিনীর আতিথ্যে পাঁচদিন খুব আনন্দে কাটিয়াছিল। ঠিক সমুদ্রের ধারেই অবজারভেটারীর বাগান বাড়ি ; চোখের সামনে নীল আকাশের নীচে সমূত্রের নীল জল সারাদিন খেলা করিতেছে। কলিকাতা শহরের রূপহীন জীবনের পর এই সাগরক্রোড়ের নীড়টিতে বসিয়া যেন কল্পলোকে নূতন জন্মলাভ হয়। এখানকার সমুদ্রে উন্মত্ত ঢেউয়ের নৃত্য নাই, ছোট ছোট ঢেউ আসিয়া বালুতটের পাথরের গায়ে কচি মেয়ের মত আঁকিয়া বাকিয়া খেলা করিয়৷ চলিয়াছে সারাদিন । যতদূর দেখা যায় সমূত্রের জল নদীর মত স্থির, আর মাঝে মাঝে আলোকস্তম্ভ ও ছোট দ্বীপের উপর ছোট ছোট পাহাড়। রোদ পড়িয়া পরিষ্কার জল ঝলমল করিতে থাকে, যেন অভ্রের গায়ে আলো লাগিয়া ঠিকরাইয়। পড়িতেছে। একখানা পাল তুলিয়া ছোট বড় নৌকা অতি ধীর গতিতে গা ভাসাইয়া চলিয়া যাইতেছে। মাঝে মাঝে কালো ধোয়া উদারণ করিয়া ষ্টীমারের কুন্ত্ররূপের আবির্ভাব না হইলে এই সূত্রর দিকে চাহিয়া চোখ জুড়াইয়া যায়, সংসারীর মনের সকল অশান্তি ও তুচ্ছতা যেন নীল জলের তলে তলাইয়া চলিয়া যায়। দুপুরে আকাশের রং ফিকা হইতে হইতে হাঙ্ক! আশমানি হইয় উঠে, তাহারই গায়ে একটুখানি বেগুনফুলী রঙের আমেজ দেওয়া সাদা মেঘ, তার নীচে দিগন্তে পাহাড়ের সারি মধ্যদিনের আলোর সুন্ন পরদার আড়ালে একটু আবছায়া হইয়া আসিয়াছে। তার নীচে ইস্পাতের মত ঘননীল সমুদ্রের অতি মৃদ্ধ কম্পন ; আলোছায়ার খেলায় কোথাও উজ্জল, কোথাও কালে, কোথাও ব৷ কোনো রঙীন আলোর মায়ায় একটু মরচে-ধরা লালচে মত। পাল তুলিয়া জলে কোনো আলোড়ন না করিয়াই ছোট ছোট নৌকাগুলি ভাসিয়া চলিয়াছে। তাহাদের গতি দেখিয়া মনে হয় যেন পালকের মত হান্ধা ; রোদ পড়িয়া শাদা পালের খানিকট রূপার মত চকৃচকু করে