পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভিখারী শ্ৰীক্ষীরোদচন্দ্র দেব অন্ধকার ঘনাইয়া আসিতেছিল। রাস্তার নালার কিনারায় দারুণ শীতের রাত্রি কাটাইবার জন্য ভিখারী আশ্রয় খুজিতে লাগিল। লাঠির ডগায় বাধিয়া ছোট একটি পুটুলীর্কাধে বহিয়া আনিয়াছে। এইবার পুট্‌লীটি মাটিতে রাখিল এবং বালিশের বদলে ওরই উপর মাথা রাথিয়া পথশ্রম ও ক্ষুধায় অবসর দেহ ঘাসের উপর বিছাইয়া দিল । অন্ধকার আকাশের গায়ে অসংখ্য তারকা ঝিকিমিকি করিতেছিল —উদাসনেত্রে তারই দিকে চাহিয়া রহিল । রাস্তার দুইপাশে জনমানবশূন্য নিবিড় বন । পাপীগুলো পর্যান্ত তথন গাছের ডালে ঘুমাইয়া পড়িয়াছে । দূরে একখানি গ্রামের আবছায়া নিরবচ্ছিন্ন অঙ্গকারকে যেন তালি দিয়া রাখিয়াছে। এই গভীর নিস্তব্ধতার ভিতর একাকী শুইয়া থাকিতে বুড়ার গলার ভিতর তাল পাকাইয়া উঠিতেছিল। বাপ-মার সঙ্গে জীবনে তার পরিচয় হয় নাই। দয়া করিয়া কেউ-ব হয়ত রাস্ত হইতে কুড়াইয়া আনিয়া বাড়িতে ঠাই দিয়াছিল। কিন্তু অল্প-সংস্থানের জন্য অফুরন্ত পথই শৈশব হইতেই তার একমাত্র অবলম্বন। সংসার তার প্রতি বড়ই নিৰ্ম্মম। দুঃখের ভিতর দিয়াই জীবনের সঙ্গে যা পরিচয় । কলঘরের ছায়ায় কত শীতের রাত্রিই না কাটাইতে হইয়াছে। ভিক্ষার লাঞ্চনা —মৃত্যুর আকাঙ্ক্ষা —কতদিন ঘুমাইতে গিয়া ভাবিয়াছে, এই ঘুম যেন আর না ভাঙে। যারই সংস্পর্শে আসে, সে-ই স্থণা করে, সন্দেহের চোখে দেখে । প্রত্যেকটি লোকই যেন ভয়ে ভয়ে তাকে এড়াইয়া চলে ; ছেলেমেয়েগুলো তাকে দেখিলেই দৌড়িয়া পলায় । তার ধূলিমাখা ছেড়া কাপড়চোপড় দেখিলে কুকুরগুলো তাড়া করিয়া আসে । তৰু কিন্তু জগতের কারও প্রতি তার কোন বিদ্বেষ ছিল না । আঘাতের পর আঘাত পাইয়া লোকটা একেবারে মুঘড়াইয়া গিয়াছিল –তাই প্রকৃতি ছিল নিতান্ত শান্ত ! ঘুমে চোখ জড়াইয়া আসিতেছিল। এমন সময় দূরে ঘোড়ার গলার ঘণ্টার আওয়াজ শোনা গেল । ভিখারী মাথা তুলিয়া দেখিল, একটা উজ্জল আলো তার দিকে আদিতেছে। উদাসনেত্রে আলোটার পানে চাহিয়া রহিল। একটা ঘোড়া মন্তবড় একখানা বোঝাই গাড়ী টানিয়া আনিতেছে। বোঝা এতই উচু এবং চওড়া ষে মনে হইতেছিল, সমস্তট রাস্তাই বুঝি জুড়িয়া গিয়াছে। গুন-গুন স্বরে গান গাহিয়া লোকও একটি সঙ্গে আসিতেছিল । ● ঘোড়াটাকে চাবুক মারিয়া লোকটা চেচাইতেছিল,— “e్వ-e్వ-- গলা লম্বা করিয়া ঘোড়াট। প্রাণপণ শক্তিতে গাড়ী টানিতেছিল। টানিতে টানিতে দুই-তিনবার থামিল । মাটিতে হাটু গাড়িয়া টানিল, আবার উঠিল, শেষে এমনই জোরে একটা টান দিল যে তার আগের চামড়া “ কুঁকুড়াইয়া পেছনে জমিয়া গেল। কিন্তু টাল সামলাইতে. না পারিয়া ঘোড়াটা কাত হইয়া গেল এবং গাড়ীখানাও আর নড়িল না । চালক তখন গাড়ীর চাকায় কাধ রাখিয়া হাত দিয়া · গজাল ঠেলিতে ঠেলিতে আরও জোরে ইঁাকিল, “চল!-চল!--আগু ---আগু!.” ঘোড়ার প্রাণান্ত চেষ্টাতেও গাড়ী নড়িল না । “হট, “হট.আন্ত হট !” চার পা ফাক করিয়া নাসা-গহ্বর র্কাপাইতে কাপাইতে ঘোড়াটা ঠায় একই জায়গায় দাড়াইয়া রছিল। আগ*ांदब्रब्र धूद्ध छ्हे,ि निब्बा चडिकtहे भां0ि ॐाकफ़ाहेब्र { 6.