পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্রধারা ীিরবীন্দ্রনাথ t प्रॐिणि३ রাগ করতে যাব কেন ? তুমি আমার নামে ষে কয় দফা নালিশ তুলেছ প্রায় সবগুলোই যে সত্যি। অস্বীকার করতে পারব না যে অনেক কথাই বলেছি ষা দেশের লোকের কানে মধুর ঠেকেনি। রামচন্দ্র প্রজারঞ্জন করতে গিয়ে সীতাকে বনবাস দিয়েছিলেন, প্রজারা জয় জয় করেছিল, সোনার সীতা দিয়ে তিনি ক্ষতিপূরণ করতে চেয়েছিলেন। দশের মনোরঞ্জন করতে গিয়ে যদি সত্যকে নিৰ্ব্বাসন দিতে পারতুষ তাহলে সাধনার প্রয়োজনে সোনার অভাব ঘটত না । আমার চেয়ে ঢের বড় বড় লোকেরাও যে-কালে ও যে-সমাজে এসেছেন সেখানে র্তারা তিরস্কৃত হয়েছেন—নইলে বিধাতা তাদের পাঠাবেন কেন ? দশের ভিড়ে একাদশ স্বাদশ সৰ্ব্বদাই আসে, কোম্পানীর কাগজ জমিয়ে চলে যায়। মাঝে মাঝে আসে বিষম মুন্ধিলট, হিসাৰী লোকের চট্ৰক ভাঙিয়ে দেবার জন্তে। প্রতিধ্বনির সম্প্রদায়, প্রথার প্রাচীর তুলে আচল দ্বর্গ বানিয়েচে, তাদের কণ্ঠে কণ্ঠে পুথির প্রতিধ্বনি এক দিগন্ত থেকে আর এক দিগন্তে হাজার হাজার বৎসর ধরে একটানা চলেইচে—মহাকালের শৃঙ্গধানি মাঝে মাঝে জাগে সেই ফাক আওয়াজের শূন্যতা ভরিয়ে দেবে বলে। পানাপুকুর স্তন্ধ হয়ে থাকে আপন পাড়ির বাধনে—হঠাৎ এক এক বছর বর্ষার প্লাবন আসে তার কুল ছাপিয়ে দিতে—সেটা দেখায় যেন বিরুদ্ধতার মত, কিন্তু তাতেই রক্ষে। আমি গোঁড়া থেকেই একঘরের দলে ভিড়েছি, ঘরের কোণ-বিহারীদের মাঝখানে যারা বেগানা—আমি সেই হা-ঘরেদের খাতায় নাম লিখিয়ে রাজপথে বেরিয়ে পড়লুম—ঘোরো যারা তারা মারতে আসবে, মারতে এসেই বেরোতে শিখবে। তুমি লিখেছ আমি পুরাতন ভারতের প্রতিকুল। রঘুনন্দনের ভারতটাই বুঝি পুরাতন ভারত দেৰীদাসের । কৌলীন্যই বুঝি সনাতন কৌলীন্য ? মহাভারত পড়েছ ত - পৌরাণিক যুগের আচার আচমনে উপবাসে বুকের হাড় বের-কর, পুরাতন ভারতের সঙ্গে কোনখানে তার মিল ? ষে-পুরাতন ভারত চিরন্তন ভারত আমি তাকেই প্ৰণাম ক’রে মেনে নিয়েছি, তার বাইরে যাইনি। আমার জীবনের মহামন্ত্র পেয়েছি উপনিষদ থেকে, যে-উপনিষদকে একদা বাংলা দেশের নৈয়ায়িক পণ্ডিতেরা বলেছিলেন রামমোহন রায়ের জাল-কর, যেউপনিষদ মানুষের আত্মার মধ্যেই পরমাত্মার সন্ধান পেয়েছিলেন, যে-উপনিষদের অনুপ্রেরণায় বুদ্ধদেব ব’লে গিয়েছেন জীবের প্রতি অপরিমেয় প্রতিই ব্রহ্মবিহার। সেই পরম চরিতার্থতা দেউলে দরোগায় নয়, পাণ্ড পুরোহিতের পদসেবায় নয়। যে-যুরোপ জ্ঞানকে সংস্কারমুক্ত করে কৰ্ম্মকে বিশ্বসেবার অন্থকূল করেছে সেই স্কুরোপ উপনিষদের মন্ত্র-শিষ্য, তা সে জামুক বা না-জামুক । যে-যুরোপ শক্তিপূজার বীভৎস আয়োজনে বিজ্ঞানের খপরে নররক্তের অর্ঘ্য রচনা করেছে সেই যুরোপ জানে না - বাহিরের যন্ত্ৰ মনের দৈন্য তাড়াতে পারে না, যন্ত্ৰযোগে শান্তি গড়বার চেষ্টা বিড়ম্বনা । আমরাও যেমন অস্তরের পাপকে বাহিরের অনুষ্ঠানে বিশুদ্ধ করতে চেয়েছি, - তারাও তেমনি অন্তরের অরুতার্থতাকে বাহিরের । আয়োজনে পূর্ণ করবার দ্বরাশা রাখে, এইখানেই যাকে আজকাল আমরা পুরাতন ভারত বলি তার সঙ্গে এদের মেলে। মেলে না সেই উপনিষদের সঙ্গে যিনি বলেচেন— এব দেবো বিশ্বকৰ্ম্মা মহাত্মা সদা জনানাং হৃদয়ে সন্নিবিষ্ট: হৃদ মনীষা মনলাভিকুপ্তে य ७उरिश्द्र चबूठांप्ख उबखि । যে-দেবতা সকল জনানাং হৃদয়ে, ধার ধৰ্ম্ম আচার-বিচারের নিরর্থক ক্রিয়াকৰ্ম্ম নয়, সকল বিশ্বের কর্ণ, সকল আত্মার