পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• - লাঠিখেলা ও অসিশিক্ষা ( পূৰ্ব্বাহুবৃত্তি ) যুযুৎস্থ শুধু হাতে প্রতিপক্ষের ও আততায়ীর সম্মুখীন হওয়ার, কিম্বা তাহার। অসিধারী অথবা অস্ত্রশস্ত্র-সম্পন্ন থাকিলে • তাহীদের অসি ও অস্ত্র-শস্ত্র কাড়িয়া লওয়ার এবং তাহা দিগকে প্রতিহত করিবার বিভিন্ন কৌশলের নামই “যুযুৎস্থ ।” অসি সম্পর্কে “যুযুৎস্থর” যে যে কৌশল প্রযোজ্য হইতে পারে, কেবল মাত্র তাহা হইতেই কতিপয় সহজসাধ্য পাঠ নিম্নে বর্ণিত হইল। প্রত্যক্ষ গুরু-উপদেশ, মৌলিকত্ব ও উদ্ভাবনী শক্তি প্রভাবে শিক্ষার্থীগণ নিজ নিজ উৎকর্ষ সাধন করিয়া লইবেন । “ফুরং,” “তুরং,"“জুরং,” অর্থাং মন,চক্ষু ও শরীর এই তিনটির সমবেত ক্ষিপ্রকারিতা এবং “মুদ্র” “মৃদ” ও “জুদ” অর্থাৎ মন, বুদ্ধি ও অঙ্গচালনার বিশুদ্ধতা ও স্থৈৰ্য্যের প্রভাবেই যুযুৎস্বর দক্ষতা-সম্পর্কে উৎকর্ষ জন্মিয় থাকে। এবং “বিনোদ” সম্পর্কে সাধারণভাবে যে যে বিষয়ের উল্লেখ করা হইয়াছে, “যুযুৎস্থ” সম্পর্কেও তাহ প্রায় সৰ্ব্বরূপেই প্রযোজ্য। প্রথম পাঠ “হুল” প্রয়োগের উপক্রমের সঙ্গে সঙ্গেই যুযুৎস্থ প্রয়োগকারী তুরস্তে বামাবৰ্ত্তে অৰ্দ্ধেক ঘুরিয়া সঙ্গে-সঙ্গেই দক্ষিণ পদ সম্মুখে ও ঈষৎ বামে অগ্রসর করাইয়া নিজ দক্ষিণ পার্থের লক্ষ্যে লম্ফ প্রদানের উপক্রম করিবে। যথা প্রথম চিত্রে । এবং তদবস্থায়ই প্রতিপক্ষ কর্তৃক “হুল” প্রয়োগের সঙ্গেসঙ্গেই সতর্কতার সহিত অসির অগ্রবিন্দুর গতির লক্ষ্য হইতে শরীর বাম পাশ্বে অপস্থত রাখিয়া চক্ষুর নিমেষে লম্ফ প্রদানে “হুল” প্রয়োগকারীর দক্ষিণ পার্থের ২মূ যুযুৎস্থ (খ) দিকে লক্ষ্যে অতি সন্নিকটবর্তী হইয়া নিজ দক্ষিণ হস্ত দ্বারা তাহার মণিবন্ধ ধরিয়ু ফেলিতে হইবে। ধরিবার কালে নিজ বুদ্ধাঙ্গুষ্ঠ সম্মুখে ও উৰ্দ্ধ দিকে থাকিবে । যথা দ্বিতীয় . চিত্রে । t".