পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ર૭8 SAASAASAAMMMA MMA AMA S MAAA S SAAAAAA AAAS S ASASASA AAAAASAAAAMMAAAASASASS সহস আগুনের মত দপ, করিয়া জ্বলিয়া উঠিল যখন সন্ধ্যার পর সুরেশ্বর তাহার সম্মুখে আসিয়া দাড়াইল । “আবার কি মতলবে এসেছ ?” সুরেশ্বর স্মিতমুখে বলিল, “সদুদেখে । চবুকার দাম পরিশোধ হয়ে স্থমিত্রার পাচ আন। পয়সা উদ্ধৃত হয়েছে, সেইটে তোমাকে দিতে এসেছি।” সহসা আগ্নেয়গিরির মতন বিমানবিহারী উচ্ছসিত হইয়া উঠিল । “আমি কি সুমিত্রীর খাজাঞ্চী, না তোমার পিওন, যে আমাকে পাচ আনা পয়সা দিতে এসেছ ?” বিমানবিহারীর ঔদ্ধত্যে কিছুমাত্র বিচলিত না হইয়া স্বরেশ্বর শাস্তভাবে কছিল, “স্থমিত্রার তুমি খাজাঞ্জী কি না সে বিচার তুমি মুমিত্রার সঙ্গে কোরে, কিন্তু আমার যে তুমি পিওন নও সে-কথা আমি অকপটে স্বীকার করছি। কিন্তু তুমি যখন আমার বাড়ী ব’য়ে কাল সুমিত্রার চিঠি আর স্থতো দিয়ে এসেছিলে, তখন তোমার বাড়ী ব’য়ে পাচ আনা পয়সা তোমাকে দিয়ে যাবার অধিকার আমার আছে ব’লে আমি বিশ্বাস করি।” একথার কোনও উত্তর না দিয়া তপ্ত হইয় বিমানবিহারী বলিতে লাগিল, “কিন্তু কাল নিজের বাড়ী বসে ভাইয়ে-বোনে কোমর বেঁধে আমন ক’রে আমাকে অপমানিত আর উৎপীড়িত করবার কি অধিকার তোমাদের ছিল শুনি ?" : স্বরেশ্বরের মুখ আরক্ত হইয়া উঠিল ; কোনওপ্রকারে সে নিজেকে সংবৃত করিয়া লইয়া বলিল, “না, তুমি যেমন ঘরে বসে গৃহাগতকে অপমান করবার অধিকার রাখ তেমন অধিকার আমাদের কারও ছিল না । তোমার কাছে আমি আজও হারলাম।” মুখ বিকৃত করিয়া বিদ্রপেৰ স্বরে বিমানবিহারী বলিল, “চুপ করে, চুপ করে সুরেশ্বর ! তোমার উপর, আর তোমার ওই বিনিয়ে-বিনিয়ে কথা-বলার উপর আমার जाँबं***इमाज শ্রদ্ধা নেই! তোমার ধার-করা মহৰ একেবারে ধরা পড়ে গেছে। দহাবৃত্তির উদ্বেপ্তেই প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড e S SAASAASSAAAAA AAAA AAAA AAAASeeSASAASAAAS যে স্থমিত্রাকে তুমি দস্থ্যর হাত থেকে উদ্ধার করেছিলে তা বুঝতে আর কারও বাকি নেই! চরকা তোমার চক্রান্ত, আর খন্দর তোমার ছলনা ! শুনলে ?” সরক্ত-ম্মিতমুখে সুরেশ্বর বলিল,“শুনলাম! কিন্তু আর বেশী শুনিয়ে না, কি জানি সেসব শুনে যদি আরএকজন গুণ্ডার হাত থেকে সুমিত্রাকে উদ্ধার করা দরকার বলে মনে হয়!” “উদ্ধার করা ?” বিমান হাসিয়া উঠিল। “মহত্ত্বের আবরণে নিজেকে ঢেকে রাখবার বিষয়ে তোমার চমৎকার শিক্ষা আছে দেখছি! বাঘের হাত থেকে, ছাগল-ছানাকে সিংহ যে-রকম উদ্ধার করে তোমার উদ্ধার সেইরকম ত ? ঠিক পরহিতার্থে নয় বোধ হয় ?” সুরেশ্বর ক্ষণকাল গভীরবিস্ময়ে বিমানবিহারীর দিকে চাহিয়া রহিল। তাহার পর ধীরে ধীরে বলিল, “প্রেমের দ্বন্দ্বে বিজয়ী হবার এ ঠিক পথ নয় বিমান। সুমিত্রাকে লাভ করতে হ’লে তুমি তার চিত্ত অধিকার করবারই চেষ্টা করে। আমার সঙ্গে কলহ-বিবাদ করলে ত কোন ফল হবে না ! আমি তোমাকে কথা দিয়ে যাচ্ছি ভাই, তোমাদের পথ থেকে আমি একেবারে সরে’ দাঁড়ালাম !” বিমানবিহারীর উত্তরের জন্য অপেক্ষ না করিয়া সুরেশ্বর দ্রুতবেগে প্রস্থান করিল। a to [ २¢ ] ইহার পর, নদী যেমন করিয়া সাগর-বক্ষে নিজেকে সমর্পণ করে ঠিক তেমনি করিয়া স্বরেশ্বর দেশের কার্ধ্যে নিজেকে সমৰ্পিত করিল। সে স্বগভীর নিমজ্জন লক্ষ্য করিয়া মাধবী পৰ্য্যন্ত চিস্তিত হইয়া উঠিল। সে বুঝিতে পারিল যে ইহা স্বাভাবিক অবগাহন নয় ; নিজেকে লুপ্ত করিবার জন্য ইহা অতলে অবতরণ। কিছুদিন পরেই স্বরেশ্বরের এই অধীর তৎপরতা এক বৎসরের জন্য সরকারের কারাগৃহে অবরুদ্ধ হইল। ক্রমশঃ ঐ উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়