পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] পুরাপুরি খোলাখুলি গণতন্ত্র স্থাপিত হইয়াছে এক বৎসর পর ১৯২৩ সালের অক্টোবর মাসে । তুর্কীর বাদশ একাধারে রাজা এবং পুরোহিত । অর্থাৎ ইহজগতের বাদশাগিরি এবং ধর্শ্বজগতে মোহস্তগিরি দুইয়েই স্থলতানের সমান একৃতিয়ার। এইধরণের দেশ-শাসক এবং ধৰ্ম্মগুরু কোনো এক ব্যক্তি জগতের কুত্ৰাপি নাই। মধ্যযুগেও খৃষ্টিয়ানরা মাঝে মাঝে এইরূপ সীজার-পোপ লইয়া তকৃরার করিয়াছে। ( 3 ) যুবক তুর্ক বাদশাকে তাড়াইয়া মুলতানের ঐহিক ক্ষমতা গুল। রাষ্ট্রীয় মহাসভার ( পাল্যামেণ্টের ) হাতে দিয়াছিল। কিন্তু সুলতানের ধৰ্ম্মক্ষমতা লইয়া কি করিবে সে সম্বন্ধে এতদিন সল পাকিয় উঠে নাই। কোনো উপায়ে কাজ চালাইবার জন্ত ইহারা বাদশার ভাইকে ডাকিয় বলিল—“আবদুল মজিদ তুমিই আমাদের পরলোকের ভাবনাটা ঘাড় পাতিয়া লও। আমরা তোমাকে খলিফা বাহাল করিলাম । কিন্তু সাবধান দেশ-শাসকের কাজে মাথা ঘামাইতে চেষ্টা করি ৪ না।” আবদুল মজিদ বাদশাহী-হীন খলিফাগিরি করিতে থাকেন। আজকাল রোমান ক্যাথলিক খৃষ্টয়ান মহলে রোমের পোপ যেরূপ আবদুল মজিদ চোদপনর মাস ধরিয়৷ সেইরূপ ইজ্জত ভোগ করিলেন। কন্‌ষ্টাটিনোপলেই ইহার গদি। কিন্তু কমাল পাশার দক্ষিণ হস্ত ইস্মেত পাশ গণতন্ত্রকে তুর্কী সমাজে স্বপ্রতিষ্ঠিত করিবার জন্ত মোতায়েন আছেন। ইনি দেখিলেন বাদশাহতন্ত্রের স্বপক্ষে তুকী মহলে এখনো বহু নরনারী আন্দোলন চালাইতেছে। অধিকন্তু যতদিন পুরানো বাদশার ভাই ধৰ্ম্মগুরুর, পদে অধিষ্ঠিত ততদিন সেই বংশের স্বপক্ষে ঘোটমঙ্গল বন্ধকর অসাধ্য। কাজেই আঙ্গোরার পালামেণ্ট সাব্যস্ত করিল,—ওসমান বংশকে নিৰ্ব্বংশ করাই বুদ্ধিমানের কাজ। আবদুল মজিদকে খলিফাগিরি হইতে বরখাস্ত করা হইল মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে ( >२२8 ) । ( 0 ) এক মাত্র আব্দুল মজিদ নয়, ওসমান বংশের নবাববেগম, শাহজাদা-শাহজাদী, কুমার-কুমারী যে যেখানে আছে সকলকে রাতারাতি কন্‌ষ্টাটিনোপল এবং তুর্কীর অন্যান্ত নগর হইতে নিৰ্ব্বাসিত করিয়া পাল্যামেন্ট, নিশ্চিন্ত হইয়াছে। মোটের উপর বত্ৰিশ জন রাজপুত্র এবং উনচল্লিশ জন বেগম সাহেবাকে বিনা বাক্যব্যয়ে “পত্রপাঠ" গার্টুরি-র্বোচুকাসহ বিদায় করা হইল। সকলকেই asurao row = rwen wo for a খিলাফতের অস্তিত্বলোপ ఫిసె(t আব্দুল মজিদকে নিঃশ্বাস ফেলিবার সময় পৰ্য্যন্ত দেওয়া হয় নাই। তাহাকে বনবাসে পাঠাইবার জন্য সাধারণতন্ত্রের অটোমোবিল হাজির ছিল। সৰ্বকারী কৰ্ম্মচারী সেই অটোমোবিলে বসিয়াই কিছু “রাহাখরচ” দিয়া গিয়াছে। আবদুল মজিদ সশরীরে হুইট্‌সাল্যাণ্ডে আসিয়া উপস্থিত হইয়াছেন। জেনেহবা হ্রদের কিনারায় তেfবতেৎ পল্লীতে স্বাস্থ্যভোগ চলিতেছে। তুরস্ক হইতে ফরাসী সংবাদদাতার প্যারিসের "প্ত" কাগজে সংবাদ পাঠাইয়াছেন। মোট কথা এই –“যুবক • তুর্ক:দেশটাকে পুরোপুরি নবীন বা বর্তমান যুগোপযোগী করিয়া ছাড়িবে। তুমুল আন্দোলন চলিতেছে। ধৰ্ম্মকৰ্ম্ম বিষয়ক মন্ত্রীর পদ তুলিয়া দেওয়া হইয়াছে। ধশ্ববিদ্যালয়গুলা চাপা দেওয়া হইতেছে । মোল্লাদের একৃতিদার খৰ্ব্ব করা হইতেছে। ধৰ্ম্মজীবনে যা-কিছু সবই মামুলি । মন্ত্রীর দপ্তরখানার একটা বিভাগে শাসিত হইতেছে।” স্মীন নগরের এক প্রতিনিধি শুক্রী বে অতি পুরামাত্রায় “ভবিষ্যবাদী” । ইনি ইসমেং কমাল ইত্যাদির চেয়েও আধুনিক। পুরান আমলের যা-কিছু সবই বর্জন যাহাতে সম্ভব হয় সেই দিকে ইনি দল পুরু করিতেছেন। আঙ্গোরার জননায়কগণ পাল্যামেণ্টে খোলাখুলি বলিতেছেন—“খিলাফাং তুরষ্কের সর্বনাশ করিতেছে। খিলাফতের হুজুগে মাতিয়া যুবক তুর্ক স্বদেশী আন্দোলন ঢ়িল দিয়াছিল। একটা তথাকথিত প্যান্‌-ইসলাম বা বিশ্বমুসলানের হিড়িকে পড়িয়া আমরা দেশের প্রতি কৰ্ত্তব্য পালন করিতে ভুলিয়া গিয়াছিলাম। কোথায় মরক্কো, কোথায় মিশর, কোথায় ভারত, কোথায় জাবা: এইসকল দেশের মুসলমানদের সঙ্গে না আছে আমাদের ভাষার মিল, না আছে জাতির বা রক্তের মিল, নী আছে কোনোপ্রকার সামাজিক বা ঐতিহাসিক ঐক্য। অথচ খলিফার মোহে এইসকল বিদেশী এবং বিজাতীয় লোকের সঙ্গে ভ্রাতৃভাব চালাইবার জন্ত আমাদের শক্তির অপব্যয় হইয়াছিল। খিলাফং তুর্কীর চরম শত্রু। খিলাফৎ উঠাইয়া দিয়া আমরা এখন হইতে ষোল কলায় স্বদেশী হইতে সচেষ্ট হইব ।” ( t ) অতএব খিলাফং তুলিয়া দিয়া যুবক তুর্ক প্রথমতঃ গণতন্ত্রের শাসন রক্ষা করিতে চেষ্টা করিতেছে। দ্বিতীয়তঃ দেশের শাসন কার্য্যে ধর্শের প্রভাব একদম লুপ্ত করা তাহাদের উদ্বেগু । বস্তুতঃ ধৰ্ম্মকৰ্ম্মকে স্বদেশ-সেবার এবং রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতার ও জনগণের স্বরাজের তুলনায় অতি নীচু ঠাই দেওয়াই আঙ্গেীরা সরকারের কুর্তিত্ব। - তৃতীয়তঃ তুৰ্কীরা ধর্শ্বের ঐক্য নামক বস্তুকে রাষ্ট্র KGAAA SAAAAAS AAAAS LLL AAAAA AAAA SAAAAA S حته- حصصص صحقحكسيكاسو