পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫిసెB বিচার কার্য্য এখন আর ঠিক ইসলামিক আদর্শ অনুযায়ী নহে। সেইরূপ, বাণিজ্যিক আইনের উপরও এরূপ আধুনিকতাপাদক প্রভাব পড়িয়াছে যাহা মোসলেম রাষ্ট্রযাদের বিরুদ্ধ। মুসলমান ও অমুসলমানদের মধ্যে বিবাদের মীমাংসার জন্ত এমনসব আপীল আদালত স্থাপিত হইতেছে যাহাতে মোসলেম্ রাষ্ট্রের সমুদয় আদর্শের বিরুদ্ধাচরণ করা হইতেছে। যে গণ্ডীর মধ্যে কাজী ধৰ্ম্মবিধি প্রয়োগ করিতে পারেন, তাহা ক্রমেই সংকীর্ণতর করা হইতেছে । ইউরোপীয় ছাচে ঢাল মৃতনরকম আইন রচিত ও গৃহীত হইতেছে ; তাহার অধিক-হইতে-অধিকতর রূপে কোরানিক বিধির প্রাধান্য রহিত করিতেছে। তিনি মিশবের নূতন রাষ্ট্ৰীয় কন্‌ষ্টিটিউশনের উল্লেখ করিয়াছেন। তাহাতে বল হইয়াছে, “মিশরের সমুদয় অধিবাসী আইনের চক্ষে সমান ; সকলের রাষ্ট্ৰীয় ও অন্য অধিকার সমান, এবং সকলেই জাতি-ভাষা-ও ধৰ্ম্মনিবিশেলে সাৰ্ব্বজনিক দায়িত্ব ও কৰ্ত্তব্য পালন করিতে বাধ্য।” ইহার মানে ঠিকমত বুঝিতে হইলে মনে রাখিতে হইবে, যে, মিশরে বিস্তর পৃষ্টিয়ানের বাস। তাহারা ঐ দেশেরই পুরুষানুক্রমিক অধিবাসী। মরোক্কো, টুনিসিয়া, আল্জীরিয়া, মিশর, পীরিয়া, সৰ্ব্বত্রই রাষ্ট্রীয় জীবনকে শাস্ত্রীয় বিধি হইতে মুক্ত করিয়া পার্থিব ভিত্তির উপর স্থাপন করা হইতেছে। তুরস্কের ত কথাই নাই। আগে মোসলেম রাষ্ট্রের কোন ভৌগোলিক সীমা ছিল না। পৃথিবীর যেখানে যে-কোন মুসলমান আছেন, খিলাফতের ( , ) খিলাফতের “আফং” চুকিল। কুমাল পাশ জবর চাল চালিয়াছেন। যুবক তুর্ক রোজই এক-একটা নয়া দিকে হাত দেখাইতেছে। এশিয়ায় ‘শেষ পৰ্য্যন্ত তুৰ্কীরাই জাপানীদের চেয়েও বেশী ইজ্জত পাইবার যোগ্য হইয়া উঠিল । আঙ্গোরা যুগান্তরের পর যুগান্তর আনিয়া এশিয়া প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩১, [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড তিনিই মুসলমান রাষ্ট্রের সভ্য, এইরূপ মনে করা হইত । এখন এক-এক দেশের মুসলমানদের চিন্ত ও স্বার্থবোধ তাহদের দেশের সীমার মধ্যে আবদ্ধ ও কেন্দ্রীভূত হইতেছে। লেখক ডাক্তার ওয়াটুসন নানা দৃষ্টান্ত দ্বারা এইসব কথা বুঝাইয়াছেন বড়োদার মহারাজের দান হিন্দু দর্থনশাস্ত্রের অধ্যাপনা অধ্যয়ন ও আলোচনার নিমিত্ত বড়োদার মহারাজা বিশ্বভারতীকে বার্ষিক ছয় হাজার টাকা সাহায্য মঞ্জুর করিয়াছেন। তিনি ভারতীয় ইতিহাসের গবেষণা ও বড়োদাতে তদ্বিষয়ক বক্তৃতা প্রদান জন্য বার্ষিক পাচ হাজার টাকা দিবার ব্যবস্থা করিয়াছেন। ইহা বিশেষ কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্ত নহে । ইতিমধ্যে অধ্যাপক রাধাকুমুদ মুখোপাধ্যার এই টাকা এবং অতিরিক্ত কিছু পাষ্টয়াছেন । মহারাজার বিদ্যোংসাহ প্রশংসয় । আপিঙের চাষ কমান চাই ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভার সভ্যদের শীঘ্রই এই প্রস্তাব ধাৰ্য্য করা উচিত, যে, কেবল চিকিৎস ও বৈজ্ঞানিক কাজের জন্ত যাহ আবশ্বক, তার চেয়ে বেশী আফিং উৎপন্ন করা হইবে না। শীঘ্রই লীগ অব নেশনস আফিঙের বিষয় আলোচনা করিবেন । অতএব, আর বিলম্ব করা উচিত নয়। নেশার জন্য আফিঙ বিক্ৰী ও ব্যবহার একেবারে বন্ধ করা চাই অস্তিত্বলোপ বাসীকে বাচিবার পথ দেখাইয়া দিতেছে। ভারতের হিন্দু-মুসলমান যুব তুর্কীর “ভবিষ্যবাদ" ও বিপ্লবতত্বের মৰ্ম্ম পুরাপুরি বুঝিতে পারিলে হয়। ১৯২২ সালের নভেম্বর মাসে যুবক তুর্ক স্বলতান বাহাদুরকে দেশ হইতে খেদাইয়া দেয়। কিন্তু কাগজেকলমে আইনতঃ তখনও রাজতন্ত্ৰ তুলিয়া দেওয়া হয় নাই ।