পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

838 SAASA SAASAASAASAASSAAAASSSS S S AASAASAASAASAASAASAASAASA SAASAASAASAASAASAASAAAS বঙ্গের বাহিরে বাঙালীরা সাধারণতঃ ওকালতী, ডাক্তারী, ও সরকারী চাকুরীতে নাম করেন। কিন্তু মধ্যপ্রদেশে অন্যক্ষেত্রেও বাঙালীর কিছু কৃতিত্ব আছে। “জাজ ষে রাজনন্দগাও সহরে বিশাল মিল দেখিতে পান, তাহার ভিত্তি রায়পুরের একজন বাঙ্গালী স্থাপন করেন—নাম কেদারনাথ वां★♚ी ” অতঃপর বস্তু মহাশয় শিক্ষাকার্য্যে প্রসিদ্ধ দুই ব্যক্তির উল্লেখ করেন। “জব্বলপুরের কথা পূৰ্ব্বে কিছু বলিয়াছি। অার একজনের কথা ৰলিব । কৈলাসচন্দ্র দত্ত সেখানকার কলেজের ( এখন যাহা রবার্টসনু কলেজ নামে খ্যাত ) সংস্কৃতের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি যখন সংস্কৃত কলেজের ছাত্র ছিলেন আমি সেই সময়ে প্রেসিডেন্সী কলেজে পড়িতাম । আমাদের ছুই জনের জানাশুনা ছিল। তাহার পর যখন তিনি এদেশে আসিলেন তখন পুৰ্ব্ব পরিচয় বৰ্দ্ধিত হইল। তিনি যেরূপ স্বযোগ্য অধ্যাপক, তেমনি কোমলস্বভাব, অমায়িক, ও সৰ্ব্বজনপ্রিয় ছিলেন। ছাত্রেরা তাহাকে পিতার স্তার ভালবাসিত ও ভক্তি করিত। র্তাহার অনেক ছাত্র এখন সরকারী কাৰ্য্যে নিযুক্ত । নাগপুরের বিখ্যাত স্বদেশপ্রেমিক প্রতিভাপুর্ণকাঁ আমার হৃদয়ের বন্ধু ও সকল লোকহিতকাৰ্য্যে সহযোগী পরলোকগত বাপুরাও-দাদা তাহার জনৈক ছাত্র ছিলেন। তিনি কৈলাসবাবুর সম্বন্ধে একটি হাস্তজনক কথা আমাকে বলিয়াছিলেন। আমরা বাঙ্গালী সংস্কৃত ভাষা যথাবিধি উচ্চারণ করিতে বড় একটা জানি না। কৈলাসবাবু যখন প্রথম আসেন, তখন তাহার বাঙ্গালী-স্বলভ সংস্কৃত ভাষার উচ্চারণ তাঁহার ছাত্রের বড় একটা বুঝিতে পারিত না। সকলে ই করিয়া চাহিয়া থাকিত। ইহার রহগু বুঝিতে তাহার কিছু দিন লাগিয়াছিল। তিনি পেনৃশন লইয়া জব্বলপুরে স্থায়ী হইয়াছিলেন। বখন ১৮৯৮ সালে সেই সময়ের দুর্ভিক্ষ কমিশনের সঙ্গে জব্বলপুরে বাই তখন তাহার সহিত দেখা হয়। তখনও তিনি জব্বলপুরের সকল লোক-হিতকর কার্য্যে যোগ দিতেন। এখন তিনি স্বর্গে।" কৈলাসচন্দ্র দত্ত মহাশয়ের রঘুবংশের সটীক সংস্করণ আমরা ছাত্রাবস্থায় :দেখিয়াছিলাম। উহা ছেলে পাস করাইবার নোট-বুকৃরূপী পয়সাধরা ফাদ ছিল না । উহাতে র্তাহার পাণ্ডিত্য এবং সংস্কৃত রীতিতে সংস্কৃত রচনার ক্ষমতার পরিচয় ছিল । “১৮৮৫ সালে এখানে এদেশের লোকদের উদ্যোগে একটি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজ স্থাপিত হয়। মধ্যপ্রদেশে সেই প্রথম কলেজ। তাহা এখন সকবৃারী মরিস কলেজ নামে খ্যাত। তখন এপ্রদেশ কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিপত্যের অন্তর্গত ও প্রধানতঃ সেইজন্তই নবগঠিত কলেজের জঙ্ক তিনটি বাঙ্গালী প্রোফেসর আনা হয়। তাহদের মধ্যে এক জনের নাম আপনাদের নিকট উল্লেখ করিব । তিনি আজ জগদ্বিখ্যাত পণ্ডিত—ডাক্তার ব্রজেন্দ্রনাথ শীল। তখন তাহার অল্প বয়স, সেই কলেজ হইতে উত্তীর্ণ হইয়াছেন। তিনি খ্যাতনামা খৃষ্টীয় মিশনারি হেক্ট সাহেবের প্রিয় ছাত্র ছিলেন । হেষ্ট সাহেব তাৰাকে একখানি সার্টিফিকেট দেন। তাহাতে বলিয়াছিলেন, যে, একদিন ব্ৰজেন্দ্র শীলের পাণ্ডিত্যের যশে ভারত কেন ইউরোপ পৰ্য্যন্ত ভরিয়া যাইবে। তাহাই হইয়াছে। ব্রজেক্স শীল মরিস কলেঞ্জে বেশী দিন ছিলেন না। কিন্তু প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড সেই অল্প কালের মধ্যে নাগপুরের ছাত্রজগতে এরূপ প্রিয় হইয়াছিলেন, যে, বোধ হয় আজ পৰ্য্যন্ত কোন অধ্যাপক সেরূপ হইতে পারিয়াছেন কি না সঙ্গেহ । বিদ্যাতে বল, ৰিনয়ে বল, কোমল স্বভাৰ বল, তিনি র্তাহার ছাত্রদিগকে মারাজালে বাধিয়াছিলেন বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। বোধ হয় আপনারা জানেন, যে, তিনি এখন উন্নতিশীল দেশীয় করদ রাজ্য মহিশূরের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলার। ইহা বাঙ্গালীয় जीमांछ cशौब्ररदब्र तिषग्न नग्न।” অতঃপর র্যাহার নাম উল্লিখিত হয়, “তিনি ‘আলালের ঘরের দুলাল' নামক সেই সময়ের বাঙ্গালা সাহিত্য-জগতের একটি রত্ন-স্বরূপ পুস্তকের লেখক প্যারিচাদ মিত্র মহাশয়ের পৌত্র জ্যোতিষচন্দ্র মিত্র। তিনি বিদর্ভ ( বেরার) হইতে নাগপুরে আসেন। নিজের প্রতিভা-প্রভাবে তিনি শীঘ্রই এখানকার বারে শীর্ষস্থান অধিকার করেন। পরে এখানকার হাই-কোর্টের জনৈক জজ হন। তিনি কয়েক বৎসর মাত্র একাজ করিতে পারিয়াছিলেন। কিন্তু এই অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি যেরূপ স্বায়পরায়ণ ও আইনজ্ঞ বিচারপতি বলিয়া যশ রাখিয়া গিয়াছেন, এরূপ ইদানীং অন্ত কোন জজ করিতে পারিয়াছেন কি না সন্দেহ। অল্প দিনের জন্য প্রধান জজের কাজ করিয়াছিলেন। আমি বিশ্বস্ত সুত্রে জানিয়াছি, আজ তিনি থাকিলে স্থায়ী প্রধান জজ হইতেন। তাহার অকাল মৃত্যুতে সকল সম্প্রদায়ের লোক শোকীৰ্ত্ত হইয়াছিলেন।” জ্যোতিষচন্দ্র কলিকাতায় আমাদের সহপাঠী ছিলেন । প্রেসিডেন্সী কলেজে মধ্যপ্রদেশে সৰ্বকারী হিসাব-বিভাগেও বাঙ্গালীর কৃতিত্ব আছে । “যখন বেরার এদেশের সঙ্গে যুক্ত হয়, তখন এখানকার একাউন্ট্যান্ট, জেনার্যাল ছিলেন একজন বাঙ্গালী। তিনি পূজ্যপাদ আচার্ষ্য ও সংস্কৃতাভিজ্ঞ পণ্ডিত মহেশ স্বায়রত্ন মহাশয়ের জ্যেষ্ঠ পুত্র। র্তাহার নাম মন্মথনাথ ভট্টাচাৰ্য্য। দুইটি ভিন্ন রাজ্য—তাহার মধ্যে একটি আবার দেশীয় রাজ্যভুক্ত বলিয়া সকল বিষয়ে অনুন্নত—সম্মিলিত হওয়াতে হিসাবের কাজ জটিল হইয় পড়ে। তাহার স্বচার ব্যবস্থা করিবার ভার একাউন্ট্যান্ট জেনারেলের হন্তে স্তন্ত হয়। আমি বড় বড় ইউরোপীয় কর্মচারীদের মুখে শুনিয়াছি যে, ভট্টাচাৰ্য মহাশয় এই গুরুতর কার্য্যটি অতি স্বাররূপে সম্পন্ন করেন। সকলেই তাহার কার্য্যে সন্তুষ্ট হন। "একাউন্ট্যান্ট-জেনার্যালের কাজটা বড়ই অপ্রীতিকর। অফিসরদের বিল পরীক্ষা করা ও কাটাকুটি করা তাহার দৈনিক কৰ্ম্মের মধ্যে একটা বিশেষ কাজ। মন্মথ বাবু কাহাকেও রেয়াৎ করিতেন না । অথচ এরূপভাবে কাজটি করিতেন যে কাহারও তিনি বিরাগভাজন হন নাই। বিনয়গুণে সকলকে বশীভূত করিয়াছিলেন। ইহাও আমি বড় বড় অফিসরদের মুখে শুনিয়াছি। তিনি এখান হইতে লাহোর যান ও সেইখানে হঠাৎ তাহার কাল হয়। তিনি চলিয়া গিয়াছেন, কিন্তু তাহার কৃত হিসাব-কাৰ্য্য-বিধি এখনও চলিতেছে।” সৰ্ব্বশেষে র্যাহার বিষয়ে কিছু বলা হয় । “তিনি ছিলেন ইঞ্জিনীয়ার। ১৮৯৯-১৯• • সালে এখানে অভূতপূর্ব বর্ষব্যাপী নিদারুণ ছুভিক্ষ হয়। বৃষ্টির নামও ছিল না। শস্ত মোটেই হয় নাই। যাহা কিছু কোন কোন স্থানে হইয়াছিল, প্রচণ্ড স্বর্ঘ্যের তাপে জ্বলিরা নষ্ট হইয়া যায়। চারদিকে একেবারে হাহাকার পড়ির