পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪২২ প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড -محم ہی مییجیے যোগ্য হয়। সেই প্রশংসা ও অনুকরণই সমাজের মঙ্গলজনক । প্রস্তাবের সমর্থকেরা যদি মনে মনে মিঃ টেগার্টের হত্যা ভাল কাজ মনে করেন, তাহা হইলে সেরূপ মনে করিবার কারণ কি, তাহা তাহারা অবশ্য প্রকাশ্যভাবে বলিতে পরিবেন না—যদিও অন্তের আত্মবলিদানের প্রশংসা র্তাহারা করিয়াছেন । তথাপি তাহীদের ও দেশস্থ অন্যসকলের এবিষয়ে চিন্তা করা দরকার । কথিত আছে, কোন বাড়ীর প্রহারপট গুরুমহাশয়ের মৃত্যুতে এক বালক উল্লাস প্রকাশ করায় আর-একজন বলিয়াছিল, “গুরুমশায় মরলে কি হয়, বাবা যে বেঁচে আছে ?” অর্থাৎ বাবা যতদিন বঁচিয়া আছে, ততদিন গুরুমহাশয়ের অভাব হইবে না ; নূতন নূতন গুরুমহাশয় নিযুক্ত হইবে। সেইরূপ, যদি মিঃ টেগার্টকে খুব অত্যাচারী দুষ্ট লোক এবং ভাবতের আত্মকর্তৃত্ববিরোধী বলিয়া ধরিয়া লণ্ডয়া যায, তাহা হইলেও ব্রিটিশ গবর্ণমেণ্ট, থাকিতে র্তাহাকে বা তাহার ন্যায় অন্য ইংরেজদিগকে মারিয়া ফেলিলেও তাহার পদে অন্য লোক অধিষ্ঠিত হইবে, লোকের অভাব হইবে না, গুপ্ত হত্যাদ্বারা ইংরেজকুল 'নিমূল করিতে কেহ পারিবে না, এবং ভয়েব কোন ইংরেজ এই কাজ লইবে না, এরূপও হইবে না । পরাধীনতা বিনষ্ট করিবার পথ ইষ্টা নহে। পরাধীনতা আমাদের আভ্যন্তরীণ দুৰ্ব্বলতা ও ভীরুতার ರಿ! বাহ চিহ ও উপসর্গ মাত্র । আমাদের ভীরুতা ও দুৰ্ব্বলতা যত দিন আছে, ততদিন ইংরেজ গেলেও আমবা স্বাধীন হইতে পারিব না, অন্য কেহ বিদেশী বা স্বদেশী আমাদের প্রভু হইবে। রোগ নষ্ট করিতে হইলে রোগের জড় মারিতে হয় । পরাধীনতা রোগের জড় আমাদের দুৰ্ব্বলতা, ভীরুতা অনৈক্য, পরস্পরকে অবিশ্বাস । তাহা বিনষ্ট করিতে হইবে। মৌলানা আক্রাম খাঁর অভিভাষণ । বঙ্গীয় প্রাদেশিক রাষ্ট্রীয় সম্মিলনের সিরাজগঞ্জ অধিবেশনে সভাপতি মৌলানা আক্রাম খাঁ তাহার অভিভাষণে বেশ পক্ষপাতশূন্তভাবে তাহার মত প্রকাশ করিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন। স্বরাজ সম্বন্ধে মুসলমানদের আশঙ্কার বিষয়ে তিনি বলেন – “স্বরাজ হইলে তাহ প্রকৃতপক্ষে হিন্দু স্বরাঙ্গে পরিণত হইবে, এবং হিন্দুর চাপে মুছলমান একেবারে মরিয়া যাইবে-একথাগুলির অর্থ কি তাঁহাই আমার প্রথম জিজ্ঞাস্ত। এদেশে হিন্দুর সংখ্যা অধিক একথা কেহই অস্বীকার করে না এবং ইহার প্রতীকারের কোনও উপায়ও আমাদের হাতে নাই শিক্ষা ও সম্পদে হিন্দু মুছলমান অপেক্ষ বহুগুণে উন্নত—ইহাই সত্য। তবে ইচ্ছা করিলে মুছলমানসমাজ নিজেদের অবস্থার উন্নতিসাধন করিয়া ইহার কতকটা প্রতীকার করিতে পারেন। সে যাহা হউক, ইহাতে মুছলমানের মারা পড়ার ষে কি কারণ আছে, আমি তাহা বুঝিয় উঠতে পারি না। “এই অন্যায়, অপ্রস্তুত ও কল্পিত আশঙ্কার মূল এই যে, হিন্দুজাতি জাতির হিসাবে সুযোগ পাইলেই মুছলমানদের সহিত বিশ্বাসঘাতকতা করিতে পারে। বাঙ্গালার মুছলমাণ সমাজ বোধ হয় স্বীকার করিবেন যে, মুছলমানদের স্থায্য স্বার্থরক্ষার সময় আমি কখনই তিনদিগের মুখ চাহিয়া কথা কহি নাই। বাঙ্গালায় বোধ হয় এখন এমন একজন মুছলমানও বিদ্যমান নাই, যিনি এইসকল বিষয় লইয়। হিন্দুদিগের সহিত কার্যা-ক্ষেত্রে আমি অপেক্ষ অধিক সংঘর্ষে লিপ্ত হইয়াছেন এবং সেজন্য আম! অপেক্ষ অধিক বিপন্ন হষ্টয়ছেন । এই হিসাবে আমি এই পণ্ডিত বন্ধুবৰ্গকে দৃঢ়কণ্ঠে বলিব যে, সমস্ত দুনিয়াটাকে নিজের মনোভাবের মধ্য দিয়া দর্শন করা উচিত নহে। আমি গত বিশ বৎসর হইতে নানাবিধ কলহ ও মিলনের মধ্য দিয়া হিন্দুনেতা ও সহকৰ্ম্মীবৰ্গকে দেখিয়া আসিতেছি, এবং এই অভিজ্ঞতার ফলে অজি উচ্চকণ্ঠে ঘোষণা করিতেছি যে, এই শ্রেণীর আশঙ্কা একেবারেই অলীক ও ভিত্তিহীন। স্বীকার করি হিন্দুরা অনেক সময় ভুল করিতে পারেন—করিয়াও থাকেন। কিন্তু ভুল এক কথা, আর ইচ্ছাপূর্বক প্রবঞ্চনা অস্থা কথা । "হিন্দুর আশঙ্কাও পূর্ববং অলীক ও অন্যায়। এসম্বন্ধে এই শ্রেণীর হিন্দু বন্ধুদিগের নিকট আমার বিনীত নিবেদন–র্তাহারাও যেন নিজেদের মন দ্বারা মুছলমান জাতির মনোভাবের অমুমান ন করেন । বিগত দেড়শত বৎসর চেষ্টা চরিত্রের ফলে, আজ মুছলমানের মধ্যেও উহাদের একদল জুড়িদারের উদ্ভব হইয়াছে—সত্য ; কিন্তু মুছলমান জাতির সহিত তাহাদিগের কোন সংশ্রব নাই। অবস্থাগতিকে মুছলমান আজ দরিদ্র, অশিক্ষিত এবং সৰ্ব্বস্বহীন। তাহাকে মুখবিল, গোডামির বশবৰ্ত্তী বল, আর এইপ্রকার স্থায্যঅন্যায্য যতপ্রকার বিশেষণ তোমার অভিধানে থাকে, সেসমস্তের প্রয়োগ কর, নীরবে মানিয়া লইব, সহিয়া লইব । কিন্তু, তাহাকে যেন খল বলিও না, শঠ বলিও নী, কপট বলিও দা, প্রবঞ্চক বলিও না।" ( “সারথির" চুম্বক হইতে ) ஒ \G “H” | ফোনেটিক্স বা ধ্বনিবিজ্ঞানের মতে তাহাই আদর্শ বর্ণমালা যাহাতে প্রত্যেক স্বতন্ত্র ধ্বনির চিহ্নস্বরূপ স্বতন্ত্র একটি অক্ষর আছে, এবং যাহাতে একই অক্ষর দ্বারা ভিন্ন ভিন্ন ধ্বনি কিবা একাধিক অক্ষর দ্বার