পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ՀԵ AAAAAA AAAAS AAASASAAA AAAAS AAAAMAAAS AA SAASAASSAAAAAAS MeeS gMMAS AMAAASAAAAS AAASASAAA AAASA SAASAASSAAAAAASMAAA AAAA AAAASAASAASAASAASAASAASAAAS কেন খুব কৃতী হইতে পারিতেন, তাহারই কারণ দেখাইতেছি। এখন কোনরূপ সমালোচনা অসাময়িক বলিয়া তাহা আমাদের অভিপ্রেত নহে। রাজনীতি-ক্ষেত্রে আর-একটি শক্তি কাজে লাগে। তাহা, গুপ্ত সংবাদ জানিবার উপায় অবলম্বন এবং তাহ জানিয়া আগে হইতে সাবধান ও প্রস্তুত থাকা ও বিপক্ষকে বিফলপ্রযত্ন করা। এই ক্ষমতা আশু বাবুর ছিল, এবং এইজন্য তিনি এ-বিষয়ে পাশ্চাত্য রাজনৈতিকদের সমশ্রেণীস্থ ছিলেন । % আমাদের দেশের রাজনীতিক্ষেত্রে সাফল্যলাভের জg দেশভক্তি ও স্বজাতিকতা থাকা দরকার । এই জন্য কথা উঠিতে পারে, যে, আশু-বাবুর তাহী ছিল কি না। আমরা যাহা জানি, তাহাতে আমাদের বিশ্বাস তাহার দেশভক্তি ও স্বাজাতিকতা ছিল। তাহার কিছু কিছু প্রমাণের উল্লেখ পরে করিব। আপত্তি এই হইতে পারে, যে, তাহার প্রধান হইবার ইচ্ছা ও প্রভুত্বকিতা ছিল। কিন্তু জীবিত ও মৃত ভারতীয় রাজনৈতিক নেতাদের এক-একজনের কথা ভাবিলে, অধিকাংশেরই এরুতিতে ঐ ঝোক লক্ষিত হইবে। প্রভেদ এই যে, আশু বাৰু যে-পরিমাণে সফলকাম হইয়াছিলেন, অন্ত অনেকেই তাহা হন নাই। সম্পূর্ণ আত্মবিলোপ বা স্বার্থত্যাগ আণ্ড-বাবু করিতে পারেন নাই, ইহা স্বীকার্ধ্য। কিন্তু যিনি বা2যাহারা পারিয়াছেন বা পারিয়াছিলেন, উহাদের নাম করা বড় সহজ হইবে না । যাহাই হউক, আশু-বাৰু যখন রাজনীতিকে নিজের কাৰ্য্যক্ষেত্র করেন নাই, তখন সে বিষয়ে অধিক লেথা অনাবশ্বক। শিক্ষার বিস্তার ও উন্নতি, সৰ্ব্ববিধ জ্ঞানঅর্জন, গবেষণা দ্বারা মানবের জ্ঞানভাণ্ডার সমৃদ্ধ করা,— সকল সভ্য দেশে যেমন এইসকল দিকে চেষ্টা হইতেছে, আমাদের দেশেও যাহাতে সেইরূপ হয়, আণ্ড-বাৰুর ইহা হৃদগত ইচ্ছা ছিল । এই ইচ্ছাকে ফলবতী করিবার জন্য তিনি যৌবন কাল হইতে প্রভূত, অবিরাম, এবং এতদৰ্থে ভারতবর্ষে অনতিক্রান্ত পরিশ্রম করিয়া গিয়াছেন। তিনি তাহার জীবনের কার্য্য সম্পাদন করিবার জন্য যেসকল রীতি ও উপায় অবলম্বন করিয়াছিলেন, তাহার সব প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড গুলির উপযোগিতা, ফলোপধায়কতা এবং অনবদ্যতাসম্বে অবশু মতভেদ আছে। কিন্তু তিনি নিজের সম্বন্ধে এক যে নিম্নলিখিত মর্শ্বের কথা বলিয়াছিলেন, তাহা সত্য - “আমি আমার বিবেকের অনুমোদন-সহকারে বলিতে পারি, ে আমি পরিশ্রম হিসাবে যেমন অনেক সময় অস্তকে রেয়াৎ করিমী তেমুনি আমি কখনও নিজেকেও বঁাচাইয়া চলি নাই । আমার অং বিধ অপরিহার্ষ্য কৰ্ত্তব্য-তন্মধ্যে আমার বিচারপতি-পদের কৰ্ত্ত সৰ্ব্বপ্রধান-সম্পন্ন করিয়া, যতটুকু সময় করিতে পারিতাম, তাহ প্রত্যেক ঘণ্টা প্রত্যেক মিনিট বহু বৎসর ধরিয়া বিশ্ববিদ্যাল:ে কাজে নিয়োজিত হইয়াছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্য্যকারিতা বৃদ্ধি জঙ্ক নানা উপায় ও পদ্ধতির চিন্তু আমার দিবাস্বপ্নের বিষয় ; রা;ি কালে বিশ্রামের সময়েও সেইসব চিন্তু হইতে আমি নিষ্কৃতি প নাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের জন্ত আমি অধ্যয়ন ও গবেষণার সমু সম্ভাবনা বলি দিয়াছি, সম্ভবতঃ কিয়ৎপরিনাণে পরিবারবর্গ ও বন্ধু.ে স্বাৰ্থ বলি দিয়াছি, এবং দুঃখের সহিত বলিতে হইতেছে, আমার স্বাস্থ্য জীবনীশক্তির অনেক অংশ নিশ্চয়ই বলি দিয়াছি।” তাহার মত মানসিকশক্তিশালী লোক ষে তাহা বুদ্ধির উপযুক্ত কোন মৌলিক গ্রন্থ-আদি রাখিয়া যাই:ে পারেন নাই, ইহাতে তিনি নিজের প্রতি অবিচা করিয়াছেন, এবং তাহার জাতিও সম্ভাবিত লাভ হই:ে হইতে বঞ্চিত হইয়াছে। - আমাদের জাতিকে নানা বিষয়ে প্রবুদ্ধমনা করিবা জন্য দেশে যত প্রতিষ্ঠান আছে, তাহার অনেকগুলি সহিত তিনি যুক্ত থাকিয়া কাজ করিয়া গিয়াছেন বঙ্গীয় এশিয়াটিক সোসাইটার তিনি সভ্য ছিলেন, এন পুনঃ পুনঃ সভাপতি নিৰ্ব্বাচিত হইয়াছিলেন । তিf ১৯০৯ সালে ভারতীয় মিউজিয়মের ট্রষ্টীদিগের সভাপি নির্বাচিত হন। প্রায় সেই সময়ে বঙ্গে সংস্কৃত উপা পরীক্ষার পরিচালক-সমিতির সভাপতি হন । তি বৌদ্ধ মহাবোধি সভারও সভাপতি ছিলেন। যখ কলিকাতার ধৰ্ম্মরাজিক চৈতাবিহারে গবর্ণমেন্ট, বুদ্ধদেবে দেহাবশেষের কিয়দংশ দান করেন, তখন গবর্ণমেণ্ট প্রাস হইতে শোভাযাত্রা করিয়া উহা আনয়ন করিবার স্য মুখোপাধ্যায় মহাশয় । নগ্নপদ ও পট্টবস্ত্র পরিহি হইয়া উহা গ্রহণপূর্বক আনয়ন করেন। ভারতে অতীত গৌরবস্বপ্নে পূর্ণ র্তাহার হৃদয়ে সেদি ভারতের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ অবস্থা সম্বন্ধে কি চিন্তা উদয় হইয়াছিল, তাহ জানিবার উপায় নাই, কেব