পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8s\り প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড সমীপে লইয়া গেল। তাহাকে পতির সংবাদ জিজ্ঞাসা করায় জয়মতী কোনমতে তাহা বলিতে স্বীকৃত হইলেন না। রাজার আদেশ অনুসারে অনুচরেরা জয়মতীকে নানা শাস্তি দিতে লাগিল, তবুও সাধ্বী সতীর মুখ হইতে পতি-সম্বন্ধে কোনও কথা বাহির হইল না । এইরূপে একপক্ষ যাবং বহুবিধ নিৰ্য্যাতন সহ করিয়া সতী জয়মতী প্রাণত্যাগ করিলেন। আজ সাধী জয়মতী হিন্দু-ললনামাত্রেরই আদর্শ-স্থানীয়া হইয়াছেন । আহোম-রাজত্বের শেষ সময়ে রাজ্যের মধ্যে ভীষণ আত্ম-কলহ উপস্থিত হয়। গৌহাটীর রাজ-প্রতিনিধি, রাজা এবং তাহার প্রধান মন্ত্রীর উপর ক্রুদ্ধ হইয়া প্রতিহিংসা-সাধনের নিমিত্ত ব্ৰহ্মদেশীয় বিপুল-পরাক্রান্ত সৈন্য নিমন্ত্ৰণ করিয়া দেশে লইয়। অসিলেন । ব্রহ্মদেশীয় সৈন্তের অত্যাচারে দেশের চতুদিকে হাহাকার-ধ্বনি উখিত হইতে লাগিল। এখানে আসিয়া আসামের ঐশ্বৰ্য্য-সমৃদ্ধির কথা জানিতে পারিয়া বারংবার বিনা নিমন্ত্রণে অসংখ্য ব্রহ্মসৈন্ত আসাম-দেশে প্রবেশ করিতে লাগিল। এক সময়ে ছয় বৎসর যাবং ব্রহ্মসৈন্য আসামের সিংহাসন হস্তগত করিয়াছিল । অবশেষে ব্ৰহ্মদেশের সহিত ইংরেজেরা ১৮২৭ খৃষ্টাব্দে সন্ধি হওয়াতে ব্ৰহ্মরাজ ইংরেজের হস্তে আসাম সমপণ করেন । আহোম-রাজ্যের অধিনায়ক-রাজার উপাধি ছিল 'স্বৰ্গদেবী। রাজার প্রধানতঃ তিনজন মন্ত্রী ছিলেন— বুঢ়াগোঁহাই, বড়-গোহাই এবং বড়পাত্র গোহাই । তাহার রাজাকে শুধু পরামর্শ দিয়াই সন্তুষ্ট থাকিতেন না। রাজকীয় সকল কাৰ্য্যে র্তাহারা অপরিসীম ক্ষমতা দেখাইতেন। এমন কি ইহারা তিনজনে সমবেত হইয়া রাজাকে সিংহাসনচ্যতও করিতে পারিতেন । যুদ্ধ বিগ্রহাদি আন্তর্জাতিক সকল কার্ধ্যে রাজ৷ ইহাদিগের পরামর্শ লইতেন । আজকাল অসমীয়া ভদ্রলোক মাত্রই “ডাঙ্গরীয়া” উপাধিতে সম্বোধিত হন, কিন্তু সেই সময় রাজ্যের মধ্যে ইহারা তিনজন মাত্র এই “ডাঙ্গরীয়া”

  • আহোমদিগের ধারণা ছিল আহোম-রাজ্যের পূর্বপুরুষের স্বর্গ ह३ष्ठ वर्णनृश्वल निद्रा मरॐ श्रवठीf इन ।

পদযুক্ত ছিলেন। এই মন্ত্র-সমাজ রাজার ক্যাবিনেটের भउन छ्लि । রাজকীয় সকল বিভাগে এক এক-জন কৰ্ত্তা রাজধানীতে থাকিতেন। রাজ-সভায় রাজ-কৰ্ম্মচারী বড়ুয়া, ফুকন ইত্যাদির নিত্যই উপস্থিত হইয়া স্বকীয় কাৰ্য্য সম্পাদন করিতেন এবং রাজ্য-সম্বন্ধীয় কোনও বিষয় রাজার জ্ঞাতব্য থাকিলে তাহার রাজাকে শুনাইতেন । বিচার-সম্বন্ধে আহোম আইন-কাতুন বড় কঠিন ছিল । রাজ্যের নিয়ম-প্রথার অনুসারে বিচার ব্যবস্থিত হুইত, কিন্তু আহোম নৃপতিগণ হিন্দুধৰ্ম্মের প্রভাবাধীন হওয়া অবধি হিন্দুশাস্ত্র-অনুসারে বিচার-কাৰ্য্য নির্বাহিত হইত। “আপীল” প্রথা তখনও প্রবর্তিত ছিল। পরস্ত্রী-হরণের শাস্তি মৃত্যু ছিল। রাজ-বিদ্রোহীগণ সবংশে নিহত হষ্টত। গ্রামের অধিবাসীরা "মেল” বা পঞ্চায়েত ডাকিয়া অভিযোগ মীমাংসা করিত। রাজার রাজধানীতে বড় বড়ুয়া নামক জনৈক কৰ্ম্মচারী থাকিতেন। তিনি রাজ্যের সর্বপ্রধান বিচাবক এবং সমস্ত বিভাগের তত্ত্বাবধারক ছিলেন। গৌহাটীতে বড়ফুকন নামক এক রাজ-প্রতিনিধি বাস করিতেন। রাজার রাজধানী ছিল শিবসাগর, কিন্তু বড়ফুকন থাকিতেন দূরস্থ গৌহাটীতে । বিষয়-মৰ্য্যাদায় বড়বড়ুয়া এবং বড়ফুকন সমান হইলেও ক্ষমতায় বড়ফুকন বেশী ছিলেন । র্তাহাকে গৌহাটীর রাজা বলিলেও অত্যুক্তি হয় না । ষোড়শবর্ষ বয়স হইতে পঞ্চাশং বৎসর পর্য্যন্ত সমস্ত লোক ‘পাইক’ বলিয়া ধাৰ্য্য হইত, এবং চারটি পাইককে একত্রে “গোট” বলা হইত। এক গোটের মধ্যে একজনকে রাজার জন্য কাজ করিয়া দিতে হইত , ইতরজাতীয় পাইককে ফাড়া পাইক এবং উন্নত জাতীয় পাইককে চমুয়া পাইক বলা হইত। কুড়িজন পাইকের উপর এক “বড়|” উপাধিধারী কৰ্ম্মচারী থাকিতেন। একশত পাইকের উপর এক “শইকীয়া”, হাজার পাইকের উপর এক “হাজারিক”, তিন সহস্ৰ পাইকের এক “রাজখোয়।” এবং ছয় হাজার পাঠকের উপর “ফুকন’ কৰ্ম্মচারী। আজ পাইক-প্রথা উঠিয়া যাইবার বহুকাল পরেও এইসকল উপাধি অসমীয়-সমাজে প্রচলিত আছে। আসাম