পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৬২ নিতান্ত আবশ্বক না হইলে, প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত ও মৃত ব্যক্তিব সমালোচনা করা অনুচিত। আগে যাহা লিগিঘাছিলাম, তাছাই যথেষ্ট । উপরে মুদিত প্ৰস্তাব-দুটি হইতে বৃঝা যাইবে, যে, সিরাজগঞ্জ রাষ্ট্ৰীয় সম্মিলনের মতে গোপীনাথ সঙ্গ ছাড গত বংলর এমন কোন বাঙালী মবেন নাই, র্যাহার আত্মত্যাগের আদর্শ উচ্চ ছিল, ধিনি মঙ্গন স্বার্থত্যাগ করিয়াছিলেন, এবং সাহাকে তাঙ্গর স্থতা শ্রদ্ধা জ্ঞাপন कद्रां छंzल । BBBB BBB SBBBBB BB BBBS g “মঙ্গন স্বৰ্গ লাগি" সঙ্গন্ধে শীঘূক্ত চিত্তরঞ্জন দাশ অনেক লিথিয়াছেন ও বলিয়াছেন। কিন্তু সিরাজগঞ্জের সভার আগে তিনি র্তী চাপ কাগজ ফরোমার্ডে তাঙ্গ লেপেন নাই ; গোপীনাথের কার্যের নিন্দ করিয়াছিলেন, এবং তাহার জন্য দুঃখ প্রকাশ করিয়াছিলেন। দেশ তাঙ্গর সেবা হইতে বঞ্চিত হইল এষ্ট আক্ষেপ করিয়াছিলেন। ইঙ্গাই যেন রক্ত কলঙ্কিত শেষ বলিদান হয়, এই আশাও প্রকাশ করিয়াছিলেন। তাঙ্গ কোন হৃদয়বান ব্যক্তি না করিবে ? ফরোয়ার্ডের আগেকার লেখায় গোপীনাথের সম্বন্ধে বাঙালী জাতির “ আনন্দে ও গর্সে বুকু ফুলিয়া উঠা"র কিম্বা “অতৃভূতি সত্য প্রকাশ” (?) করিবার ঐকান্তিক চেষ্টা ও ক্ষমতার পরিচয় পাওয়া যায় নাই। আহমেদাবাদে গোপীনাথ সাহ আহমেদাবাদে নিখিল-ভারতীয় কংগ্রেস-কমিটির অধিবেশনে গোপীনাথ সাহার কার্য্যের নিন্দ করা হয় এবং তং কর্তৃক নিছত মিঃ ডের পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদন প্রকাশ করা হয় । এরূপ কাজ দ্বারা দেশের কি ক্ষতি হয়, তাহ বলা হয় এবং ইহার , সহিত কংগ্রেসের মূল উদেখা ও অহিংস অসহযোগের কোন মিল নাই, তাহ বলা হয় । ঐযুক্ত চিত্তরঞ্জন দাশ ও তাহার দলের লোকেরা মনে করেন, মহাত্মা গান্ধীর এই প্রস্তাব, ইহার সংশোধক চিত্তরঞ্জন-বাবুর প্রস্তাব, এবং সিরাজগঞ্জের প্রস্তাব মূলত: এধং সারত: এক। ইহা ভ্রম। মহাত্মা প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড গান্ধীর প্রস্তাবের উদ্দেশ্য কাজটির নিন্দ করা এবং তাহার অনিষ্টকারিতা ও কংগ্রেসের নীতির সহিত তাহার অসামঞ্জস্য প্রদর্শন । গোপীনাথ সাহা দেশকে ভালবাসিলেও এই প্রস্তাবে কাজটির নিন্দ ও দোব প্রদর্শন করা হইসাছে । কিন্তু স্বরাজ্য দলের প্রস্তাবদুটির অভিপ্রায়, গোপীনাথের কাজটির সহিত অহিংসার, কংগ্রেসের নীতি ও উদ্দেশ্যের এবং দেশের প্রকৃত চিতের বিবোধ থাকিলেও, গোপীনাথকে শ্রদ্ধা-প্রদর্শন । এই কারণে উভয়বিধ প্রস্তাবকে এক মনে করা মহাত্মা গান্ধীর মতে অস্ত্র প্রতারণা । কোন মানুষ কোন অপকৰ্ম্ম করিলে তাচার চুলচেরা বিsার করিয়া ঠিক তাঙ্গর উদ্দেশ্যে কতটুকু মহত্ত্ব ছিল তাছ। স্থির করা, এবং মন্দ কাজটির জন্যই বা তাহার ঠিক কতটা নিন্দ প্রাপ্য তাহা স্থির করা, মানবের সাধ্যায়ত্ত নহে । এরূপ চুলচেরা বিচারের ভার ভগবানের হাতে থাকাই ভাল । কেহ অপকৰ্ম্ম করিলে অপকৰ্ম্মের সঙ্গে বা মূলে অল্প কিছু ভাল উদ্দেশ্য বা প্রেরণা থাকিলে, খুজিযা বাহির করিয়া তাঙ্গারই প্রশংসা করিলে, অপকর্মের নিন্দনীয়তা ও অনিষ্টকারিতার লাঘব করা হয়। এই হেতু এরূপ প্রশংসা সমাজের অহিতকর। বিশেষতঃ যদি দেথা যায়, যে, সংকৰ্ম্মের সঙ্গে বা মূলে ঠিক্‌ ঐরূপ ভাল উদ্দেশ্য, প্রেরণা ও আদর্শ থাকিলেও বিশেষ করিয়া তাহার প্রশংসা হইতেছে না, কিন্তু অপকৰ্ম্মের বেলায় হইতেছে, তাহা হইলে লোকের এই ধারণা হইতে পারে, ষে, অপকৰ্ম্মের সহিত জড়িত যাহা অল্পকিছু ভাল তাহাই প্রশংসনীয়, সংকৰ্ম্মের মূলীভূত তদ্রুপ যাহা ভাল, তাহা প্রশংসনীয় নহে । স্বতরাং অপকৰ্ম্মীর প্রশংসা করিতে হইলে অনেক বিবেচনা করিয়া করিতে হয়। নতুবা অবিবেচন, চিন্তাহীনতা বা হঠকারিতার ফলে, অপকৰ্ম্মের অপকৰ্ম্মত্বটা লোকে ভুলিয়া যাইতে পারে। আহমেদাবাদে দুই দল আহমেদাবাদে নিখিল-ভারতীয় :কংগ্রেসূ-কমিটির অধিবেশনে মহাত্মা গান্ধী অকপটভাবে নিজের উদ্দেশ্য ও