পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(tSe ফরাসী দেশের অন্তর্গত স্থবিখ্যাত *{{TR ( Sorbonne ) বিদ্যা-পীঠে foot *šil ( Victor Cousin ) obst, খৃষ্টাব্দে বক্তৃত-কালে আর্টকে অন্য বিষয় হইতে পৃথক করিয়া বিচার করিবার কথা বলিয়াছিলেন । তিনিই Èstrē fgolfrē zf-f7f; NÈ 1 ( Rudolf Eucken’s Main Currents of Modern Thought pp. 405) পরবর্তী কালে দার্শনিক-প্রবর র্কং ( conte ) আটকে ধৰ্ম্ম, নীতি, রাজনীতি প্রভৃতি পরিপার্শ্ব হইতে পৃথক্ করিয়া দেখিতে বলিয়াছেন । যে-কোন কারণেই হউক এই বাক্যটি প্রায় শতাব্দী-কাল পরিয়া আর্ট,-চৰ্চাক্ষেত্রে প্রভূত প্রভাব বিস্তার করিতেছে । আর্ট-অর্থে যদি আমরা শুধু রচনা-পদ্ধতি বুঝিতাম, তাহা হইলে ইহ। সম্ভব কিন্তু আট-অর্থে আমরা একটা সমগ্রকে বুঝি। ইগ হইতে কবির মন, দেশ, কাল, পাঠকের মঙ্গল-মঙ্গল, পৰ্ম্ম-নীতি ইত্যাদি বাদ দেওয়া চলে না । ইহা এখন আমাদের কাছে শুধু রচন-প্রণালী নয়। আশ্চৰ্য্য কৌশলের সঙ্গে ঘদি নানা-রূপ রঙের সমাবেশ করি বা সরল রেখার আশ্রয় ত্যাগ করিয়! যদি খুব নিপুণতার সহিত অঙ্কিত বৃত্তাংশের সাহায্যে আমার চিত্র অঙ্কিত করি তাঙ্গ হইলেই তাঙ্গ সুন্দর চিত্র হইবে না । যদি এমন হয় যে লতান হাত-প, ব। চীনাদের মত চক্ষু অঙ্কিত করা খুব কঠিন কাজ এবং চিত্রবিশেষের ধারা, তাত৷ অঙ্কিত করিত্বে পারিলে কোন মণ্ডলীর লোকদের কাছে বাহবা খুব পাওয়া যায়, তাহা সত্য-সত্য চিত্রিত বস্তুকে সুন্দর করে কি না দেখিতে হইলে । ধেীবন-স্ফীত শকুন্তলার অনিন্দ্যসন্দর মৃত্তি যাহা বন্ধলবন্ধনের মপে থাকিতে পারিতেছে ম—তাহ রোগ৷ পিটুপিটে একটি গারে। রমণীর মত করিয়া অঙ্কিত করা হইয়াছে দেখিয়াছি। চক্ষু চৈনিক হইয়াছে, উপরের ঠোট বেশ পুরুত্বষ্টয়াছে। তাতাতে হয়ত চিত্রের বিশেষ-কোন-পন্থী লোকের তৃপ্ত হইয়াছেন । কিন্তু তাহা সত্য-সত্য স্ননার হইয়াছে কি ? আনন্দ-বিপান করিয়াছে কি ? অপর দিকে নিখুত সুন্দর মূৰ্ত্তি যদি হৃদয়ের উচ্চ-ভাব প্রকাশ করিতে অসমর্থ হয় তাহা হইলে সুন্দর আর্ট হইবে না । সেইরূপ কাব্যের রচনা-প্রণালী যদি কৌশলপূর্ণ হয় তাঙ্গ است: びざで সন্দেহ নাই । তবুও প্রবাসী—ভাদ্র, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ,১ম খণ্ড হইলেই আমরা সন্তুষ্ট হইব না । নাটকীয় আর্ট-হিসাবে হয়ত সেক্সপীয় তাহার পরবর্তী কালের আর্টিষ্টদের সমকক্ষ ছিলেন না—অনেক বাহুল্য কথা, অনাবশ্যক দৃত, ভূতপ্রেত, নেপথ্য-বাণী, স্বগত চিন্তার সাহায্যে নাটকীয় ঘটনাবলীর উদঘাটন প্রভৃতি যাহা বাস্তব জীবনে দুষ্ট হয়- না, এইরূপ অনেক দোষ তাহার নাট্যশিল্পের আছে। ইবসেন প্রভৃতির নাটক এ-সব দোষে দুষ্ট মহে। কিন্তু তবুও সেক্সপীয়র-এর মধ্যে যাহা আছে তাহা অপরের মধ্যে নাই --র্তাহার চরিত্রাঙ্কন র্তাহাকে অমর করিয়া রাগিবে। অনেক অসুবিধা-সত্ত্বেও সেক্সপীয়রের পাঠকের অভাব হইবে না। সুতরাং দেখা গেল, এক্ষেত্রে আর্ট, অর্থে আমরা শুধু রচনা-প্রণালী বুঝি ন—গল্প, চরিত্রচিত্রন, নানা-ভাবের ক্রীড়া ও প্রভাব প্রভৃতি আরও অনেক বঝি। সুতরাং ঐ অর্থে আর্টের খাতিরে আর্ট এই বাক্যের প্রয়োগ হওয়া সঙ্গত মনে হয় না। আর্টের অর্থে যদি আর্টের বস্তু ও বুঝায় তবে বস্তুটি কেমন সেই প্রশ্ন ওঠে। যাহা মন্দর তাহার ফল ও সুন্দর । তাহার উৎপত্তি স্থান ও স্বন্দর । সুন্দর বস্তুর লক্ষণ কি ? তাহার মধ্যে এমন একট। কিছু আছে। মাছ। অপরকে তাহার সৌন্দয্য দ্বারা প্রভাবান্বিত করে। তাহ মানব-জীবনকে স্বন্দর করে -—এইখানে নীতির সঙ্গিত ইঙ্গর সম্বন্ধের কথা আসে। নীতির কথাতে আর্টিষ্টদের অনেকের ঘোর আপত্তি উঠিতে দেখা যায় । ইহার অর্থ এই যে, আর্ট, মানবত্বের স্বাধীনতা আনে, আর নীতি তাহাকে নাগপাশের বন্ধনে বাধে। আর্টের সাহায্যে মানবের ব্যক্তিত্ব, তাহার ভাব, চিস্তা, ইচ্ছা অনিচ্ছা, রুচি-অরুচি প্রকাশ হয়। প্রকাশের সঙ্গে একটা আরাম একটা মুক্তির ভাব আছে । কিন্তু নীতি অনেক জিনিষকে ‘নেতি’ বলে - অনেক-কিছুকে ত্যাগ করিতে বাধ্য করায়--'না' করিবার একটা দুঃখ, একটা ব্যথা আছে । সেইজন্য নীতির নামে লোকে ভয় পায় । কিন্তু তাই বলিয়া নীতি কতকগুলি শুষ্ক প্রাণহীন নিয়ম নহে। মানব আত্মার অনন্ত বিকাশের দিক আছে—যাহা অবলম্বন করিয়া অগ্রসর হইলে সে ভূমার সহিত যুক্ত হইতে ধারে । আত্মার এই পূর্ণ বিকাশের যে প্রয়াস তাহাতেই নীতির জন্ম । নীতি জীবনের গভীরতম দেশের বস্তু। ইহা মানুষকে বাহির