পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবি-প্রশস্তি ীি কালিদাস নাগ [ চীনদেশে প্রযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিনে পঠিত ] লোইয়াঙ কল্যাণতীর্থ চীন-ভারতের ইতিহাসে– কত না মৈত্রীর ধারা মিলেছে হেথায় কতই অমর শিল্প সত্য সাধনায় এসিয়ার প্রাণক্ষেত্র পুণ্য করি পূর্ণ করি আসে । চিত্ত মোর চাহিছে লুষ্ঠিতে পুত পথখুলি পরে করিতে প্ৰণতি । দু-ধারে যবের ক্ষেত্ৰ—শুrাম সিন্ধু পারা রহে তরঙ্গিতে.. চাষ করে চাষী চোথা শ্রম-শাস্তি-ধৈৰ্য্যেৰ মূৰতি । সহসা বিক্ষুব্ধ করি’ সে প্রশাস্তিধারা, বিকট কর্কশ শব্দে ধূলিপুঞ্জে দিগ্বিদিক ভরি’ এল সৈনিকের পাল, ঝলসিল কুপাণ করাল, কিরীচে বন্দুকে যেন প্রাতঃস্থৰ্য্যে বিদ্ধ খণ্ড করি’ । ক্রমশঃ মিলাল তারা লুপ্ত হ’ল অস্বের ঝঞ্চনা; অশান্তির ঘুৰ্বি যেন শান্তির অতলে হ’ল হার, দে- লে শিশু, খাটে চাষী- কি অনন্তমনা ! . - حب۔-- سیاسیح T” প্রকৃতির পটভূমিকায় পরসিকের অমর তুলিকা ফুটাইল ধ্যানমূৰ্ত্তিশিখা সংখম সৌন্দর্ঘ্যে দীপ্ত অমৰ্ত্ত্য রেখায় । প্রভাতের পটে এই ক্ষণিকের ছবি, এ fরব নাট্যলীলা, একটি কোণের সহসা ভরিয়া দিল আমার মনের সকল মহল ; স্বষময় গলা স্নিগ্ধ প্রভাতের নব রবি to a-tr নব রূপকের রঙে ভরে যেন দিল পটখানি— দেখিহু বিস্ময় মানি, চিরন্তন ইতিহাস শাস্তিব তরঙ্গ-ভঙ্গে নেচে নেচে চলে - দেশে দেশে মাহুযে মাহুযে কোলাকুলি রূপে রূপে রসে রসে মিলনের তলে শাশ্বত স্বষ্টির উংস ক্ষণে ক্ষণে যায় দেখি খুলি — হিংস দ্বেষ ধ্বংসের ঝটিকা ক্ষণ ভরে শান্তি ধারা বিক্ষুব্ধ পঙ্কিল করি তোলে, রক্তের কয়োলে ডুবে যায শ্যাম পৃথ্বী—ঢাকে বিশ্ব মৃত্যু-কুখাটিকণ ! কিছুকাল হত্যাযুদ্ধ জয়দৰ্পে মুখর করিয়া মানবের ভীরু ইতিহাস, মিলায় নিষ্ঠুর মায় ; তরুলতা আবার বিতরে স্নিগ্ধ ছায়া আবার প্রাণের নিত্য রেখাটি ধবিয়া ধরিত্রী ভায়ে তোলে ফুল-ফল—স্বৰ্গ পরিহাস ! ক্ষমা- শাস্তি- মৈত্রী- মন্দাকিনী চিরদিন বহিতেছে বা জাইয়ে স্থষ্টির কিঙ্কিণী । সেই সুরনিঝরের স্বপ্নভঙ্গ ঘবে হ’ল ভারতের এক কোণে, কে জানিত তবে তাহার অমৃতধারা ভেদিয়া • মসঘন বনে উল্লভিঘ বঙ্গের সীমা প্লাবিয়া সম । হিন্দুস্থান ডুবাইয়া একে একে সৰ্ব্ব বiবধান মানব-মানবমাঝে প্রেমের প্রাণের স্রোতে আলিঙ্গিবে নিখিল ধরায় ? মৈত্রী-কল্যাণের কাজে যুগে যুগে বিশ্ব জনে ডাকিয়াছে শাশ্বত ভারত, বুদ্ধকণ্ঠে জাগায়েছে সীমাহীন পুর্ণ করুণায়,