পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] দশের কাজে, দেশের কাজে কেমন করিয়া লাগাইতে হয়, তা তাহাদের শিথিতে হইবে, তবেই সেই সঙ্গে তাহারা কেরানী-গিরি, ম্যালেরিয়া ও অজীর্ণ-অম্নের হাত হইতেও রক্ষা পাইবে । আপাততঃ পানের বাট, ফুলের মালা, তবলা ব্যয় ও বিশেষ কুবিয়া আলস্তকে দূরে রাথিতে শিথিতে হইবে । একাজে যতই বিলম্ব হইবে, ততই ছাত্রদের শক্তি ও উদ্যম অনেকস্থলে স্বাভাবিক ও অস্বাভাবিক উপুীয়ে নষ্ট হইতে থাকিবে । উচ্চদরের বিশুদ্ধ বিজ্ঞানপাঠের চেয়ে আপাততঃ শ্রমশিল্প-সংক্রান্ত অন্যান্য ফলিত বিজ্ঞানের যথার্থ শিক্ষা বেশী অবিশ্যক বলিয়া বোধ হয় । জাতির উত্থানের সক্ষে শুধু এই একটা অঙ্গের বিকাশ আংশিকভাবে সম্ভব হুইবে কি ? আচাৰ্য্য প্রফুল্লচন্দ্র, মহারাজ মণীন্দ্র নন্দী ও আরও দু’চারজন বাংলার স্বসস্থান এদিকে যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন ও করিতেছেন। র্যাচারা পাশ্চাত্য শিক্ষায় অগ্রণী ছিলেন, তাহাদের বেশীর ভাগ তেমন নজর দেন নাই । দেশের গওয়া এখন এদিকে সামান্তরূপ অনুকূল । তাই গুটিকতক পুরানো বাজে কথা বলিতে সাহসী গুইতেছি । (১) কাৰ্য্যকরী বিজ্ঞান- ও যন্ত্র-নিৰ্ম্মাণ-বিদ্যা- শিক্ষার ক্ষেত্র ও প্রাথমিক শিক্ষাদানের প্রণালী অতি সঙ্কীর্ণ ও অল্পপধে:গী। সেসব ছাত্র ঘন্ত্র-শিল্পাদির কাজে যাইরেন, র্তাহীদের সে-বিষয়ে শিক্ষার আরম্ভ অন্ততঃ চোঁদ বছর বয়স হইতে শুরু হওয়া চাই । অভিনব সরল যন্ত্রাদির সঙ্গে তপন হইতেই ঘনিষ্ঠ পরিচয় চাই । যন্ত্র-অঙ্কন, যন্ত্রবিজ্ঞান, পদার্থবিদ্যা ও রসায়নের প্রথম ভাগ মাটিক পরীক্ষার ছাত্রদের ইচ্ছামত পড়িবাব অধিকার থাকিলে মন্দ হয় না । অবশ্য বাংলা ভাষাতে শিক্ষা দিতে চেষ্টা করিতে হইবে । তবে যেসব শব্দ বাংলাতে নাই, সেইসব বৈজ্ঞানিক শব্দ "সব প্রদেশের পণ্ডিতরা মিলিয়া “হিন্দী’তে অনুবাদ করিয়া ভারতের সর্বত্র চালাইতে পারিলে চমৎকার ইয়। এখন মাদ্রাজী, মারাঠী বা পাঞ্জাবীর সঙ্গে কহিতে হইলে আমাদিগকে বিদেশী ভাষার আশ্রয় লইতে হয়। এ কি লজ্জার কথা ! bアミ一ー> a কিন্তু এদিকে কথা আমাদের কার্য্যকরীশিক্ষা ᏔᎼ8Ꮌ --سہ۔--~~ ------ ۔م۔ .س-- আশা করি, অতি শীঘ্র ভারতের সব প্রদেশে হিন্দী অবশ্য পাঠ্যরূপে শিখান হইবে । যদি শিল্প-বিজ্ঞানের পৃথক বিদ্যালয় ও কলেজ হয়, তবে সেগুলি প্রথমে শিক্ষিত ও উচ্চসমাঞ্জে বেশ আদৃত হওয়া চাই । বি-এসসি, এম-এসসি পাশ করিবার পর আমাদের অনেকে আশা করেন যে দু’-এক বৎসর বিদেশে বা দেশে পাটিয়া একটা যেমন-তেমন ইঞ্জিনিয়াব না হইয়া নিরস্ত হইব না। কিন্তু এই শিক্ষাতে সচরাচর তাঙ্গর আসল কার্যা-ক্ষেত্রে সনাতন কলম-পেষ ছাড়া বড় কিছু করিতে প্রায় পারেন না । যখন বিশ, বাইশ বা চব্বিশ বছরের সময় কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিঞ্জরী-পোল ছাড়িয়া বাহির হই, তখন আমরা ড্রয়িং বোর্ড বা ষ্টীম টরবাইন ( বাষ্প প্রবাহ-চালিত শয়ানচক্র ) তাঙ্গষ্ট অনেক বৈজ্ঞানিক জানে না । করিয়া পেন্সিল কাটিতে হইলেও মাথা ধরে—কিন্তু ইঞ্জিনিয়ার হুইবার তীব্র বাসনাট থাকে । বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পরীক্ষা পাশ করিবার পর আবার সাত বৎসর অস্তুতঃ পাচ বৎসর কারখানাতে শিক্ষানবীশের জীবনে যে কষ্ট-সহিষ্ণুতা, উদ্যম ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞার দরকার, তাহা অনেকেরই থাকে না। অর্থ-উপার্জনেরও অনেকেরই প্রয়োজন হয় । ইংলণ্ডে বার তের বৎসরের ছেলে-মেয়ে স্কুলে যন্ত্র-পাতি আঁকিতে শেখে,—আর রসায়ন, পদার্থবিদ্যা ও ঘন্ত্র-বিজ্ঞানের প্রথম-ভাগ শুরু করে । ছেলেরা বাড়ীতে ছোট ছোট, ল্যাবোরেটারী খুলে । অনুবীক্ষণ ফোটে ক্যামেরা, রাসায়নিক আগার ও ছবি আঁকিবার যুঞ্জ-পাতি বাড়ীতে অনেক ছেলেরই আছে । (২) এই জাতীয় স্কুল ও কলেজের বিজ্ঞানাগার ও কারখানার যন্ত্র-পাতি ও সাজ-সরঞ্জামের সাধারণ স্কুলকলেজের চেয়ে অনেক বেশী অর্থ ও সময় আবশ্যক । অন্ততঃ দু'টি-একটির প্রতিষ্ঠার জন্য অর্থ এখন দেশের লোক দিতে রাজি হইবে, আশা করা যায় । কলিকাতার অতি সন্নিকটে গোটাদুই বড় শিল্পবিজ্ঞানের কলেজ ও কারখানা অবিলম্বে স্বরু হওয়া চাই । তাহাতে জাহাজ, এরোপ্লেন, রেলের ইঞ্জিন, তড়িতাগার" কিরূপ দেখিতে, বোধ হয় ভাল