পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳoԵ আজ্ঞাধীন বা অন্ততঃ প্রভাবাধীন থাকিলে ইংলণ্ডের খুব সুবিধা ; না থাকিলে অত্যন্ত অসুবিধা । আরব দেশও ভারতবর্ষে আসিবার পথে পড়ে। এই জন্য আরব দেশকেও ইংরেজ নিজের প্রভাবের অধীন রাথিতে চায়। নতুবা মরুভূমি-প্রধান আরব দেশ লোভের জিনিষ হইত না । তা’ ছাড়া, অবশ্য আরএকটা কারণ আছে । আরব ও প্যালেষ্টাইনে মুসলমানদের প্রধান তীর্থস্থানগুলি অবস্থিত। এই উভয় দেশ ইংরেজের প্রভাবের অধীন থাকিলে ভারতীয় মুসলমানের উপর পরোক্ষভাবে ইংরেজদের কতকটা প্রভাব থাকিবে —মনে রাখিতে হইবে, যে, ভারতে যত মুসলমানের বাস, কোন স্বাধীন মুসলমান দেশেরও লোক-সংখ্যা তত নহে। ইংরেজ যে আজ ভাবতবর্ষের রাজা, তাহার কারণ শুধু সাহস বা বাহুবল নহে ; দূরদর্শিতা এবং স্বদূর ভবিষ্যতে কি আবশ্যক হুইবে অনেক আগে হইতে তাহার ব্যবস্থা করিয়া রাখl, তাহার অন্যতম কারণ। পাশ্চাত্য দেশের লোকদের বর্তমান প্রাধান্যের একটি কারণ এই, যে, আগে লোকে যে-সব কাজ শুধু দৈহিক বলে করিত, এখন তাহা বৈজ্ঞানিক যন্ত্র দ্বারা বেশীপরিমাণে ও অল্প সময়ে সম্পন্ন হয় । এই-সব যন্ত্র প্রধানতঃ ষ্টীম্‌ বা বাষ্পীয় শক্তিতে চলে । কয়লা পুড়াইয়া বাষ্প উৎপন্ন করিতে হয়। কয়লা ক্রমশঃ দুলভ श्डेयू আসিতেছে। পরে আরও দুলভ হইবে। এখনই কেরোধীন ও তৎসদৃশ খনিজ তৈল পুড়াইয়া এরূপ বিস্তর যন্ত্র চালিত পূৰ্ব্বে কেবল কয়লা হইতেছে, যাহা পুড়াইয়া চালান হইত। পরে তৈলের আবখাপ্রয়োজনীয়তা আরো বাড়িবে ; এইজন্য দূরদর্শী জাতির খনিজ তৈলের ক্ষেত্রগুলি এখন হইতে দখল করিতেছেন ও করিতে চেষ্টা করিতেছেন । পারস্তদেশের তৈলক্ষেত্র ইংরেজদের এংলো-পার্সিয়ান অয়েল কোম্পানীর হাতে আছে । মোসল ও এশিয়ামাইনরেব অন্য কোন কোন তৈলক্ষেত্রে ইংরেজ নিজ বর্তমান অধিকারকে স্থায়ী করিবার চেষ্টায় আছেন । মোট কথা, ভারতবর্ষকে হাতে রাখিবার জন্য ইংরেজ অন্য কতকগুলি দেশকে হাতে রাথিয়াছেন ও রাখিতে প্রবাসী—ভাদ্র, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড চান r সেইগুলি হাতছাড়া হইলে ভারতবর্য র্তাহার হাতছাড়া ও স্বাধীন হইতে পারে। আবার ভারতর্ষব স্বাধীন হইলে ঐ-সকল দেশকে অধীন রাখার কোনঃ প্রয়োজন নাই । অতএব ভারতের ভাগ্য যে অন্য নানা দেশের ভাগ্যের সহিত জড়িত, তাহ সহজেই বুঝিতে ' পারা যায়। এশিয়ার রাষ্ট্রনীতির মত অন্যান্য মহাদেশের রাষ্ট্রনীতিরও ভারতের ভাগ্যের সহিত সম্পর্ক আছে । - শ্ৰীযুক্ত তারকনাথ দাস শ্ৰীযুক্ত তারকনাথ দাসের নাম সংবাদপত্র-পাঠকদের নিকট পরিচিত । তিনি অনেক খবরের কাগজে লিখিয়া থাকেন। তাহার লিখিত “ইণ্ডিয়া ইন ওয়ার্লড পলিটিক্স” “বিশ্বরাজনীতিতে ভারতবর্ষ’-নামক একখানি উৎকৃষ্ট ইংরেজী পুস্তক আছে । তিনি সম্প্রতি আমেরিকার জজ টাউন বিশ্ববিদ্যালয় ইষ্টতে আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রনীতি ও আন্তর্জাতিক আইনে পি-এইচডি উপাধি লাভ করিয়াছেন । এই বিষয়ে আমেরিকায় এই উপাধি হিন্দুদের মধ্যে বোধ হয় তিনিই প্রথমে লাভ পরিলেন । ইহা বলিবাব উদ্দেশ্য ट्टे হা নহে, ধে, এই বিষয়ে উপাধি লাভ করা অন্য সমৃদয় বিষয়ে উপাধি লাভ অপেক্ষা কঠিন ; উদ্বেগু এই যে, এই বিষয়টির সম্যক জ্ঞানলাভ করা ভারতীয়দের পক্ষে খুব আহশুক ; তজ্জন্ত শ্ৰীযুক্ত তারকনাথ দাস , এ-বিষয়ে পথ-প্ৰদশক হইয়া ভারতীয় বিদ্যার্থীদের উপকার করিয়াছেন । তম্ভিল্ল তিনি বহুদিন হইতে যে দেশ সেবার কার্য্য করিয়া আসিতেছেন, এখন তাহা আরও •াল করিয়া করিতে পারিবেন। তিনি ১৯০৬ সালে কলিকাতা হইতে জাপান যাত্রা করেন । তিনি আর্য্য-মিশন বিদ্যালয় হইতে প্রবেশিক পরীক্ষণয় উত্তীর্ণ হন । ও থাকার ছাত্ররপে তিনি “বর্তমান শিক্ষা-প্রণালী ও তাহার কার্য্যকারিত।”-বিষয়ে বাংলা প্রবন্ধ লিখিয়া বীরেশ্বর সেন পদক প্রাপ্ত হন । প্রবেশিকায় উত্তীর্ণ হইয় ফ্রীচার্চ ইনষ্টিটিউশানে ভর্তি হন, এবং তথা হইতে প্রবন্ধ রচনা করিয়া সরস্বতী ইনষ্টিটিউটের পদক প্রাপ্ত হন । প্রবন্ধের বিষয় ছিল, "ভারতের বর্তমান ও অতীত কৃষি শিল্প ও বাণিজ্য ও তাহার উন্নতির উপায়।"