পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] হিমান হাসিয়া বলিল, “মৃণালের সাজ দেখতে এলাম একটু יין * মৃণালের দিদি কমল বলিল, “সত্যি, তোর মত যদি মৃণালটা দেখতে হ’ত, তা হ’লে আর আমাদের কোনো ভাবনা থাকৃত নয়। বড়মানয়ের ছেলে, পছন্দ হবে কি না ঠিকানা নেই। হিমুর বিয়ের সময় ওর বাবাকে কিছু ভাবতে হবে না, যা রং তাই দেখেই সাহেববর জুটে যাবে। হিমানী ভদ্রতার খাতিরে বলিল, “আহা, কি তোমার কথার ছিরি, কমলদি ! বরের জন্য ত আর আমার ঘুম হচ্ছে না !” মৃণালের মা বলিলেন, “আর বাছা তোরা হ’লি ব্রাহ্মসমাজের মেয়ে, তোদের ওসব বলা সাজে। আমাদের ঘরে মেয়েকে যতই লেখাপড়া খেয়র শের বড় কর, সেই বিয়ে দিতেই হবে, আজ ংেক, আস হোক । এমূৰ্মিতে কেউ না নেয়, ভিটেমাটি বেচে’ টাকা ঢেলে’ দিতে হবে ।” কমলের বিবাহে দশ হাজার টাকা পণ দিতে হইয়াছিল, কাজেই কথাটা তাহার গায়ে লাগিল । সে নাক-মুখ সি চুকাইয়া বলিল, “তা এমনিতে ত তোমরা মেয়েকে আধ পয়সাও দিতে চাও না, সবই ছেলের জন্যে তুলে রাখ। দায়ে পড়ে দিতে হয় বলে’ তবু মেয়ে বেচারীরা কিছু পায়।” o তাহার মা বলিলেন, “এ কি অfর মেয়েকে দেওয়া হ’ল বাছা ? ও ত বারো ভূতে লুটে খায়।” এমন সময় মৃণাল মুখ ধুইয়া বাহির হইয়া আসিল । অপ্রীতিকর আলোচনাট চাপা দিবার জন্ত তাহার মা বলিলেন, “নে বাছা তাড়াতাড়ি করে', আবার কখন তারা এসে পড়বে। কমল আলমারীর চাবিটা রাখ । আমি যাই একটু রান্না ঘরে, দেখিগে জলখাবারের কি করলে তারা ।” .صے মৃণালের Ά. চুল বাধিতে বসিলেন । দুই .এবানে এমনি কিছু মনাস্তর ছিল না, কিন্তু ছোট মেয়ে বলিয়া মৃণালের প্রতি মা-বাবা একটু অন্যায়রকম পক্ষপাত দেখান, এই ছিল কমলের বিশ্বাস। তাহা মণিহার כאoאף ছাড়া কমলের রং বেশী কাল বলিয়া তাহার বিবাহে যত টাকা লাগিয়াছে, মৃণালের বিবাহে ঠিক তত না লাগিতে পারে এই প্রকার ইঙ্গিত মাঝে-মাঝে শোনার ফলে তাহার ভগিনা-স্নেহে একটুখানি আমরস মিশিয়া গিয়াছিল । মৃণাল একদৃষ্টি আয়নার দিকে চাহিয়া নিজের চুল বাধার তদারক করিতেছিল। হঠাৎ সে বলিয়া উঠিল, “ওকি দিদি, অলমি কি চিড়িয়াখানার বঁাদর যে আমার সমস্ত কপালটা ঢেকে দিচ্ছ ?” w দিদি বিরক্তিপূর্ণ কণ্ঠে বলিল, “তবে নিজে বাধ, না বাপু ? আমার যা ভাল মনে হয় তাই ত করব ?” দুই বোনে খানিকক্ষণ কথা-কাটাকাটির পর চুলের পাতাকাটা বাহার একটুখানি কমাইয়া হিমানীর কাছে দুই চারিবার পরামর্শ জিজ্ঞাসা করিয়া চুল-বাধার পর্ব শেষ হইল । তার পর মুখে ক্রীম এবং পাউডার মাখা হইবে কি, শুধু পাউডার ; শাড়ী গোলাপী-রঙের পর হইবে কি, মভ রঙের ; কোন রাউসের সঙ্গে কি শাড়ী মানায়, তাহাই লইয়া তর্ক চলিল । একখানা হাল্কা গোলাপী রঙের বেনারসী কাপড় তুলিয়া ধরিয়া কমল বলিল, “এইটে পৰ্ববি, তোর রঙে মানবে এখন। এর জামাটারও কাটু বেশ ভাল।” মৃণাল ঠোট উন্টাইয়া বলিল, “মাগো ! পচা রঙের কাপড় আজকাল মেথর-চামার সবাইকার ঘরে আছে।” কমল বলিল, “যে-রঙের কাপড় দুনিয়ার কারো ঘরে নেই তেমন কাপড় পাব কোথায় ? তোমার আগে নিজের ঘর হোকৃ তখন যত অসাধারণ কাপড় এনে ঘর বোঝাই কোরো । এখন সাধারণ কাপড়গুলোর মধ্যে কোনখানা পরবে ?” মৃণাল গাল ফুলাইয়া দাড়াইয়া রহিল। অনেক বকবিকির পর বাসস্তী-রঙের একখানা ক্রেপের শাড়ী এবং মুক্তার কষ্ঠ ও চুড়ি পরিয়া সে সাজ সাঙ্গ করিল। তাহার উপর একটা ভারী সোনার হার পরাইতে যায়াতে সে রাগ করিয়া সেটা খাটের উপর ছড়িয়া ফেলিয়া দিয়া গোজ হইয়া বসিয়া রঙ্গিল । কমল সেট তুলিয়া লইয়া বলিল, “বিয়ের নামেই এই মেজাজ, বি৷ে شعبارحه