পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭৬২ - ۔ ء-عحم۔-سہمہ سہی۔ সে তাড়াতাড়ি খাট হইতে নামিয়। মাহিকে উদ্বেগ-চঞ্চল- g কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিল,—কি হইছে রে ? মাহির মনে হইতে লাগিল,যেন কথা কহিবার সামর্থ্যটুকুও সে ছেলের সঙ্গে-সঙ্গে কোথায় হারাইয়া ফেলিয়াছে। বহু চেষ্টার পর সে অতি ক্ষীণ স্বরে বলিল,—আমার বেট-ট। কোথা,-পেছি নাই --- ঝর বাবু করিয় তাহার দুই চোখ দিয়া অঝোরে জল •oច ទៅរថា স্বমিও পাথরের মুক্টির মত খাটিয়াখানির উপর নির্বাবুভাবে বসিয়া রহিল । এক্ষেত্রে কি করা কৰ্ত্তব্য, তাহ: সে ভাবিয়া ঠিক্‌ করিতে পারিল না । ( & ) এইরূপ নিৰ্বাকু বিস্ময়ে ঘণ্ট। দুই কাটিয়া যাইবার পর মাহি হঠাৎ উঠিয় ধাওড়ার দরজার দিকে টলিতে টলিতে অগ্রসর হইল। প্রসবের ধাক্ক। তখনও সে সামূলাইতে পারে নাই ; প্রতি-পাণক্ষেপেই তাহার মনে হইতে লাগিল, হয়ত এখনই মাথা ঘুরিয়া পড়িয়া যাইবে । কিন্তু তাহা ভাবিবার যে সময় নাই । তাহাকে উঠিতে দেখিয়া মুমি তাড়াতাড়ি আপিয়া তাহার একখান হাত চাপিয়া ধরিয়া জিজ্ঞাসা করিল,— কোথা যেছির মাহি ? মাহির মনের অবস্থা তখন ভয়ানক ; সে সজোরে হাতখানি ছিলাইয়ু লইয়। বলিল,—তু ই থাকু এই খেনে ; আমি ছেল-ট লিয়ে আসি —সে আর এক মুহূৰ্ত্তও দাড়াইল না ; সেই আঁধার রাতে বিজন প্রান্তরে একাই বাহির হইয়া পড়িল । মাহির ধাওড়া হইতে বড় কার ধাওড়াট। একটু দূরেই ছিল। সে নিজের গৃহ হইতে বাহির হইয়া বরাবর বড় কার, ধাওড়ার দিকে ছুটিল। তাহার যেন কেমন একটা দৃঢ়বিশ্বাস হইয়। গিয়াছিল, যে, বড় কাই তাহার ছেলেটকে লুকাইয়া লইয়া পলাইয়াছে। বড়কার ধাওড়ায় বার দুই ধাক্কা মারিতেই সে ধড়মড় করিয়া বিছানার উপর উঠিয়াবসিল । তাহার একটু তন্দ্র। আসিয়াছিল, এমন সময় দরজায় ধাক্কা পড়ায় সে একটু ভীতি-জড়িত-কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিল,-কে ? প্রবাসী-আশ্বিন, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড SAASASAAAAASA SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS বাহির হইতে মাহি ব্যথা-কাতর-কণ্ঠে আমুনয়ের স্বরে বলিল,—তুর পায়ে পড়ি বড় কা, আমার ছেল-ট ফিরাই দে। উ কতখুন দুধ খায়নি।” উদ্বেলিত আশ্রতে তাহার কণ্ঠ রুদ্ধ হইয়া গেল । মাহির বেদনাপূর্ণ কথাগুলি বড় কার বক্ষে তীক্ষ ছুরীয় মত আঘাত করিল। দুই হাতে বুক চাপিয়া ধরিয়া সে বিছানার উপর লুটাইয়ু পড়িল । মাহির কথার উত্তরে সে কি যেন বলিতে যাইতেছিল। কিন্তু সেদিনকার অপমানের কথা মনে করি। সে তখনই চুপ করিয়া গেল । বড় কার নিকট কোনও উত্তর ন! পাইয়া মাহি আবার অনুনয়-পূর্ণ স্বরে বলিল,—দে বড় ক, বোপা ! দেবতা) তুর ভাল কবৃবেক ; উয়ার গলা শুকাই যাবে আপুনি । মাহির কথাগুলিতে ব্যথা যেন ক্ষরিয়৷ পড়িতেছিল। বিছানার ভিতর মুখ গুজি। বুড়ক। বলিল,—তুর ছেল৷ আমার কাছে নাই। বড়কার কাছে যাইলেই যে, ছেলের সন্ধান মিলিবে, এ-ধারণাটা মাহির হৃদয়ে বদ্ধমূল হইয়াছিল। বড় কার কথায় সে ভিতরে-ভিতরে শিহরিয়া উঠিল। যাঃ, তাহা হইলে পুত্রকে ফিরিয়া পাইবার আর কোন আশাই নাই! তাহার চীৎকার করিয়া-করিয়া কঁাদিতে ইচ্ছা হইল ; কিন্তু কণ্ঠ দিয়া একটি স্বরও তাহার বহির হইল না । পাগলের মত সে সেখান হইতে ছুটিয়া চলিয়া গেল । পরদিন প্রাতঃকালেই কথাট। রাষ্ট্র হইয়া গেল । সকলেই শুনিতে পাইল যে, মাহির পুত্রটি কোথায় হারাইয়া গিয়াছে ; ও গত রাত্রে মাহি যে সস্তানের খোজে বাহির হইয়াছে, আর সে ফিরে নাই । সেই দিনই দুপুর বেল বন হইতে পাতা কুড়াইয়া ফিরিবার সময় সনাতনের ভাইঝি মাহিকে একটা কাটা গাছের গুড়ির পাশে পড়িয়া থাকিতে দেখিয় তাড়াতাড়ি ছুটিয়া গিয়াছিল। মারি জ্ঞান ছিলু না। লছমী বটপাতায় করিয়া “জোড়ে"র জল আনুিয়া তাহার চোখে মুখে দিল । মাহি সতৃষ্ণনয়নে একবার মাত্ৰ লছ মীর মুখের দিকে তাকাইয়া বলিল,—বড় কা, আমার বেট। তার পর আর সে চোখ মেলে নাই, কথা বলে নাই। ইহ