পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ) পঞ্চশস্ত—পৃথিবীর সর্বাপেক্ষ আশ্চৰ্য্য দৃশ্য এবং এই আলোক-রশ্মি প্রতি সেকেণ্ডে ১৪৬.• • • মাইল বেগে চলে । তাই। হইলে ভাবিয়া দেখুন, একএকটি ভারার আকার কিপ্রকার। - বৈজ্ঞাণিকের বলেন যে, এমন অনেক তারা আছে, যাহাgের আলো পৃথিবীতে আমিতে ২,••••• বছর লাগিয়ছে । কিছু দিন পূৰ্ব্বে একটি ছোট তারা আকাশের এক কোণে দেখা গৈয়াছে । বেজ্ঞানিক বলিতেছেন, ইহার আলোক-রশ্মি আমাদের পৃথিবীতে আসিত্তে অস্তুতঃ পক্ষে বছর সময় লাগিয়াছে। এতু দূরে অবস্থিত তারা এখন পৰ্য্যস্ত মামুখের চোখে আর পড়ে নাই। কিন্তু ইহার পরেও, ইহা হইতে অনেক ফুর আরো অনেক বড় বড় তারা আছে । তাহাদের " আলোক-রশ্মি এখন পুথিবী হইতে বহু দূরে রহিয়াছে। তবে তাহারা আমাদের দিকেই আসিতেছে। নক্ষত্র এবং সুর্য্য বিভিন্ন জাতির লহে । আমাদের স্বৰ্য্যও একটি নক্ষত্র এবং আকাশের নক্ষত্রগুলিও আমাদের হর্য্যের সমান বা তাহ অপেক্ষণ বৃহত্তর ,ه • ه . • • ,ه لا

  1. .

কুণ্ডলীবৎ নীহারিকা—কানেশ ভেনাটকি। ইহা তীব্লক-নিৰ্ম্মিত ঘূর্ণায়মান চর্মবঙ্গেৰ। ইহার আয়তন এত বৃহৎ যে ইহার এক প্রাস্ত হইতে অপর প্রান্ত পৰ্য্যস্ত a আলেtry পেছিতে আলোক-বৎসরের ২s • • • হইতে ৫ •••• বছর লাগে। স্বৰ্য্য। চন্দ্র-হীন নিৰ্ম্মল আকাশের গায়ে ষে ছায়াপথ দেখা যায়, esa artstetrar statৱ rটলিস্থোপিক-ফোটো তোলা 1_ _ _ সাগিটাব্লিউদ নক্ষত্রপুঞ্জে টিফিড নীহারিকা—আপাতত দেখিতে তপ্তশুভ্র বাষ্পমেঘের স্থায় ; থালি-চোথে প্রায় দৃষ্টিগোচর নহে। .ংইয়াছে। আকাশের যে-কোন একটি ছোট তারা আমাদের সুয্যের দোসর ভাই হইতে পারে । আমাদের সুৰ্য্যের ব্যাস ৮৪৫,--- মাইল মাত্র । সুর্যের চারিদিকে যেমন গ্ৰহ-উপগ্রহ অনেক-কিছুই ভ্ৰাম্যমাণ রহিয়াছে, আকাশের এক-একটি তারারও সেইপ্রকার গ্ৰহ-উপগ্রহাদি আছে। তবে সেইসমস্ত গ্রহে-উপগ্রহে লোক বাস করে কি না, এখনও কেহ বলিতে পারে না । অঙ্ক গ্রহের লোকেরাও, হয়ত মনে করিতেছে কিম্ব বসিয়া ভাবিতেছে যে, সূর্য্যের গ্রহে কোন লোক আছে কি না এবং তাহীদের বুদ্ধির বহরই বা কি-প্রমাপ । তাহারা হয় ত আমাদের অস্তিত্বের কথা জানে। ইহা সমস্তই যদির কথা । সম্প্রভি শোনা গিয়াছে যে, মঙ্গল গ্রহে নাকি আমাদের মত মানুষ আছে এবং তাহীদের বুদ্ধি ভয়lনক এবং তাহারা আমাদের সঙ্গে বেতার কথাবাৰ্ত্ত চালাইপার চেষ্টা করিতেছে । আকাশের কতকগুলি টেলিস্কোপিক-ফোটে দিলাম—ইহা হইতে আকাশ যে কি এবং তাঁহাতে যে কত বিস্ময়কর জিনিষ আছে তা কতকটা বোঝা যাইবে । ছবিগুলির পরিচয় ছবিগুলির সঙ্গেই দেওয়া হইল । নানাপ্রকার তারার আলো দেখিয়া-দেখিয়া এবং পর্য্যবেক্ষণ করিয়া বৈজ্ঞানিকের কোন-একটা বিশেষ তারার আলো দেখিয় তাহার দূরত্ব বলিতে পারেন। "spretroscope" নামে একটি যন্ত্রে আলো বিশ্লেষণ করা যায়। এই বিশ্লেষণে আলোর মূল উৎপত্ত্বিস্থানের দূরত্ব হিসাব করিয়া বাহির করা যায়। বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত তারার আলোর প্রকৃতি একরকম নয়। দুরত্ব-অমুসারে আলোরও নানাপ্রকার গুণের তারতম্য হয় । এইসকল অতি স্বপন্ন তীরভূম্য চোখে ধরা পড়ে না, কিন্তু বিশেষ যন্ত্রের মধ্যে এইসমস্ত অতি সত্বর ধরিতে পারা যায়। হুর্য্যের আলোর সাতটি রং আছে ইহা আমরা সকলেই জানি, কিন্তু সকল তারার আলোঁতেই যে সাতটি রং থাকিবে এমন কোন কথা নাই । ছায়াপথের ফোটাে হইতে বুঝা যায় যে, ছায়াপথটির সব জায়গায় সমানভাবে ভারার বাস নাই। কোনখানে হয়ত হাজার-হাজার