পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এগুলি বস্তুতঃ ব্রিটিশ জাতিরই প্রভুত্ব ও স্বার্থরক্ষার জন্য প্রণীত হইয়াছে। হোয়াইট পেপারে যাহা লেখা ও করা হইয়াছে, তাহার দ্বারা গান্ধী-আরুইন চুক্তির সর্ত ভঙ্গ করা হইয়াছে । অঙ্গীকারভঙ্গ আগে আগেও হইয়াছিল বলিয়া বঙ্গের ভূতপূৰ্ব্ব গবর্ণর লর্ড লিটনের পিতা বড়লাট লিখিয়াছিলেন, ব্রিটিশ জাতি অঙ্গীকারভঙ্গের অভিযোগ মিথ্যা বলিতে পারেন না। রক্ষাকবচ সম্বন্ধে গান্ধী-আরুইন চুক্তিতে যাহা লিখিত হইয়াছিল এবং হোয়াইট পেপারে যাহা লিখিত হইয়াছে, তাহার মধ্যে সত্যকথনের দিক দিয়া হোয়াইট পেপারটাকে কিছু ভাল বলিতে হইবে। কারণ, গান্ধীজারুইন চুক্তিতে যাহা লিখিত হইয়াছিল, ভারতবাসীরা সাধারণতঃ মনে করিয়াছিল, যে, কাৰ্য্যতঃ তাহ করা হইবে না, কথার আবরণের স্বযোগে ব্রিটিশ স্বার্থরক্ষার উহ একটা কৌশল মাত্র। হোয়াইট পেপারে যে সেই আবরণ কিয়ং পরিমাণেও অপস্থত হইয়াছে, তাহা ভাল । সম্পূর্ণ অপস্থত হইলে আরও ভাল হইত ; যদি পরিষ্কার করিয়া বলা হইত, যে, রক্ষাকবচগুলি কেবল মাত্র ব্রিটিশ জাতির স্বার্থরক্ষার্থ, কিংবা অন্ততঃ প্রধানত ব্রিটিশ জাতির স্বার্থরক্ষার্থ রচিত হইয়াছে, তাহা হইলে আরও ভাল হইত। যাহা হউক, সেগুলি যে অংশতও ব্রিটিশ জাতির স্বার্থরক্ষার জন্য প্রণীত হইয়াছে, এতটুকু স্বীকারোক্তিও মন্দের ভাল । ফেডারেশ্বান কখন হইবে ? হোয়াইট পেপারে লোভজনক ছুটি কথা আছে । একটি কেন্দ্রীয় দায়িত্ব, অন্যটি প্রাদেশিক আত্মকর্তৃত্ব । ষেরূপ শাসনবিধি রচিত হইবার স্পষ্ট প্রস্তাব ইহাতে আছে, তাহাতে বুঝা যায়, কথা দুটি কেবল কথার কথা মাত্র, ভিতরে যে বস্তুটি থাকিলে কথা দুটি সার্থক হয়, তাহা নাই । সে কথা পরে বুঝাইব । বর্তমানে প্রদেশগুলিতে ষে দ্বৈরাজ্য আছে, তাহাতে শিক্ষা কৃষি প্রভৃতি কোন কোন হস্তান্তরিত বিষয়ের डॉब्रथांशुं भङ्गेौब्रां निख निख बिषाञ्चब्र कांर्षjनिर्विां८छ्त्र জন্ত প্রাদেশিক ব্যবস্থাপক সভার নিকট দায়ী। কেন্দ্রীয় विविथ cथणज-८कखां८ब्रथुञ कथञ हडै८ब ? 38S দায়িত্ব বলিতে এই বুঝায়, যে, কেন্দ্রীয় যে ভারতগবন্মেণ্ট তাহাতেও মন্ত্রী থাকিবেন, এবং মন্ত্রীর নিজ নিজ বিষয়ের কার্য্যনিৰ্ব্বাহের নিমিত্ত ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভার নিকট দায়ী থাকিবেন । সমস্ত রাষ্ট্রীয় ব্যাপারগুলি মন্ত্রীদের হাতে গেলে এবং মন্ত্রীরা, তাহাদের সব কাজের জন্য ব্যবস্থাপক সভার নিকট দায়ী হইলে, সে ত খুব ভাল বন্দোবস্তই হয়। কিন্তু পরে দেখা যাইবে, যে, সব বিষয় মন্ত্রীদের হাতে যাইবে না এবং যাহা যাইবে মন্ত্রীরা বস্তুতঃ তাহার কৰ্ত্ত হইবে না । সে-কথা এখন ছাড়িয়া দিয়া দেখা যাক, কেন্দ্রীয় দায়িত্ব নামক জিনিষটির প্রবর্তন কথন হুইবে । বলা হইয়াছে, যখন দেশী রাজ্যগুলি এবং ব্রিটিশশাসিত প্রদেশগুলি একটি সম্মিলিত সংঘবদ্ধ রাষ্ট্রে (Federationএ ) পরিণত হইবে, তখন কেন্দ্রীয় দায়িত্ব প্রবৰ্ত্তিত হইবে । তাহা হইলে দেখিতে হইবে, ফেডারেশুন কথন হুইবে ; কারণ তাহা হওয়ার উপরই কেন্দ্রীয় দায়িত্ব নির্ভর করিতেছে। ফেডারেগুন হওয়া অনেকগুলি জিনিষের উপর নির্ভর করিতেছে । আগে কন্সটিটিউশুন য়্যাক্ট, অর্থাৎ শাসনবিধি বিষয়ক আইনটি পালেমেণ্টে পাস হওয়া চাই। তাহাতে অনেক সময় লাগিবে। এই আইন পাস হইয়া গেলে দেশী রাজ্যের নৃপতির বিচার করিয়া দেখিবেন, তাহারা ফেডারেশুনে যোগ দিবেন কি না । তাহাতে সময় লাগিবে । দেশী রাজ্যগুলির মোট লোকসংখ্যা ৮ কোটি ১২ লক্ষের উপর । অন্ততঃ ৪ কোটি ৬ লক্ষ লোকের রাজারা ফেডারেশুনে যোগ দিতে রাজী হইলে তবে ফেডারেশান প্রতিষ্ঠিত হইবে । ইহা কত সময় সাপেক্ষ এখন বলা যায় না। অার একটি সর্জ এই, যে, একটি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক স্থাপিত হওয়া চাই, এবং তাহ সম্পূর্ণ রূপে রাজনৈতিক প্রভাব হইতে মুক্ত হওয়া চাই। তাহার মানে এই, যে, এই ব্যাঙ্ক পরিচালনের কাজে এমন কোন ভারতীয় ব্যক্তির হাত থাকিবে না যিনি রাজনৈতিক দিক্ দিয়া ব্যাঙ্কটির দ্বারা ভারতবর্ষের উপকার করিতে পারেন। সব দেশের রাষ্ট্রীয় ব্যাঙ্ক স্বদেশের জন্য এইরূপ উপকার স্বভাবতই করিয়া থাকে ; কিন্তু ভারতবর্ষের সব