পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Տ8Հ প্রতিষ্ঠান এরূপ হওয়া চাই যদ্বারা ইংলণ্ডের স্বার্থরক্ষা নিশ্চয়ই হয় এবং ইংলণ্ড ও ভারতবর্ষের স্বার্থসংঘর্ষ ঘটিলে ইংলণ্ডের যেন কোন ক্ষতি না হয়। এই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক স্থাপন পৃথিবীর অর্থনৈতিক অবস্থার উপর নির্ভর করিবে, বলা হইয়াছে। স্বতরাং ইহাতেও সময় লাগিবে। ফেডারেশন প্রতিষ্ঠিত হইবার আর একটি সর্ত এই, যে, প্রারম্ভিক উক্ত সব আয়োজন সম্পূর্ণ হইয়া গেলে রাজকীয় ঘোষণা দ্বারা উহার জন্মদান হইবে ( "the Federation shall be brought into being by Royal Proclamation”) itstol coa al ston, ইংলণ্ডেশ্বর এই ঘোষণা করিবার জন্য মুথিয়ে’ আছেন। তাহার এরূপ উদগ্রীব হইয়া থাকিবার কোনই কারণ নাই । তিনি উদ্‌গ্ৰীব হইয়া থাকিলেও স্বয়ং কিছু করিতে পারিবেন না। কারণ, হোয়াইট পেপারে লিখিত হইয়াছে, C&, “The Proclaimation shall not be issued until both IIouses of Parliament have presented an Address to the Crown with a prayer for its promulgation.” তাৎপর্ঘ্য । পালেমেন্টের দুই কক্ষ হাউস্ অব লর্ডস ও হাউস্ অব কমন্স, রাজার সমীপে একটি আবেদন পেশ করিবেন, তাহাতে এই প্রার্থন থাকিবে, যে, তিনি উক্ত ঘোষণাপত্র প্রকাশ করুন। এইরূপ জাবেদন রাজার হজুরে পেশ হইবার পূৰ্ব্বে তিনি ঘোষণা করিবেন না। পালেমেন্টের উভয় অংশের সভ্যেরা এইরূপ একটি আবেদন করিবার নিমিত্ত উন্মুখ হইয়া নাই। উভয় অংশেই চাচিলের মত সভ্য আছে, যাহারা প্রতি ধাপে ভারতবর্ষে ফেডারেগুন প্রবর্তনে বাধা দিতে প্রস্তুত । তাহাদের প্রভাবে অধিকাংশ পালেমেণ্টের সভ্য রাজার কাছে উক্ত প্রার্থনা করিতে রাজী না হইতেও পারে। রাজার উদ্দেশে উপস্থাপিত আবেদনের সংশোধনাদিরও নিয়ম আছে । বিরোধী সভ্যেরা সেই নিয়মের স্থযোগ গ্রহণ করিয়া বাধা উপস্থিত করিতে পারে। দেখা গেল, ফেডারেশান সহজে ও শীঘ্র হইবে না— একেবারেই না হইতেও পারে। প্রস্তাবিত রকমের ফেডারেগুন না হইলে আমরা দুঃখিত হইব না। ় প্রবাসী ; SOBO দেশী রাজ্যের অৰ্দ্ধেক কেন ফেডারেশনভুক্ত হওয়া চাই ষে-যে উপায়ে ভারতবর্ষের ন্যাশন্যালিজমকে অর্থাৎ ভারতীয় স্বাজাতিকতা ও স্বরাজলাভচেষ্টাকে ব্যাহত করা যাইতে পারে, ফেডারেশানের মধ্যে দেশী রাজ্যগুলিকে আনিয়া তাহাদের নৃপতিদিগকে ফেডারেশনের ব্যবস্থাপক সভায় খুব বেশী সভ্য নিযুক্ত করিবার অধিকার দেওয়া তাহার অন্ততম । ইহার ব্যাখ্যা পরে করিব । এই উদ্দেশ্যে ফেডারেটেড, বা সংঘবদ্ধ ভারতবর্ষের ব্যবস্থাপক সভার নিম্ন হাউস বা কক্ষের মোট ষে সভ্যসংখ্যা ৩৭৫,তাহার এক-তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ১২৫ জন দেশী রাজারা মনোনীত করিবেন। সমুদয় দেশী রাজ্য ফেডারেশানের মধ্যে আসিলে এই ১২৫ জন সভ্য দেশী রাজারা নিযুক্ত করিবেন। অৰ্দ্ধেকগুলি রাজ্য যদি ফেডারেশনভুক্ত হয়,তাহা হইলে তাহাদের রাজাদের নিযুক্ত ৬৩ জন সভোর দ্বারাও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীদের উদ্দেশ্য অনেকটা সিদ্ধ হইতে পারে ; কিন্তু তাহার কমে সে উদ্বেগু সিদ্ধ হইবে না। এই জন্ত হোয়াইট পেপারে বলা হইয়াছে, যে, অন্ততঃ দেশী রাজ্যসমূহের মোট প্রজা আট কোটি বার লক্ষের অৰ্দ্ধেকের রাজার ফেডারেশানভুক্ত হইতে রাজী হইলে তবে ফেডারেশান প্ৰবৰ্ত্তিত হইবে। ফেডারেশান ও য়ুনিটারী গবন্মেষ্ট ফেডারেগুনের মানে এই, যে, সাধারণ কতকগুলি বিষয়ে ফেডারেটেড বা সংঘবদ্ধ রাষ্ট্রের সর্বত্র ঠিকৃ এক রকম আইন, ও রাষ্ট্রীয় কাৰ্য্য পরিচালনের এক রকম রীতি চলিবে এবং কতকগুলি ট্যাক্স সৰ্ব্বত্র এক রকম হইবে ; किरू श्रछ नद विषटम्र न६घयक ब्रांप्ड़ेब्र नङा डिग्न छिब्र দেশী রাজ্য ও ব্রিটিশ-শাসিত প্রদেশগুলিতে তাহাজের নিজের নিজের আইন, নিজের নিজের রীতি, ও নিজের নিজের ট্যাক্স থাকিতে পারিবে । ইহাতে অংশগুলির নিজের নিজের কিছু স্বাতন্ত্র্য, স্বাধীনতা ও বৈচিত্র্য থাকায় কিছু স্থবিধা আছে বটে। কিন্তু অন্যদিকে এই অন্ধবিধাও আছে, যে, এইরূপ স্বাতন্ত্রা ও বৈচিত্র্য সমগ্র মহাজাতির মধ্যে একতা ও সংহতি জঙ্কিবার একটা বাধাও উৎপাদন