পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ . ইহারা জাবাল-বৃদ্ধ-বনিতা খুব বেশী পান খায় । কেহ বাড়িতে বেড়াইভে আপিলে সিস্টেং-গৃহিণী প্রথমেই পান-সুপারি দিয়া অভ্যর্থনা করে। ইহার ঘরে-বাহিরে যেখানেই থাকুক না কেন, পান-স্বপারি সঙ্গে থাকিবেই। ইহাদের বিশ্বাস, মৃত্যুর পর মাহুষ স্বপারি গাছে পরিপূর্ণ স্বর্গোদ্যানে বাস করিয়া অবাধে পান-স্বপারি খাইতে থাকে । মুত ব্যক্তির সম্বন্ধে তাহারা সময় সময় নিম্নলিখিত কথাগুলি বলিয়া থাকে—উব বাম কোয়াই হ ইং উ-ব্লেই * ইহারা অত্যন্ত অপরিচ্ছন্ন, নোংরা । সপ্তাহে একদিনও স্নান করে কি-না সন্দেহ । কাছে আসিলে গায়ের দুর্গন্ধে তিষ্ঠানে দায় হইয় উঠে । ইহারা মলত্যাগ করিয়া জলশৌচ করে না । সিণ্টেংদের প্রধানকে বলে দলৈ। জনসাধারণ দলৈ নির্বাচিত করে। ছোটখাটে। কতকগুলি সামাজিক অপরাধের বিচারের ভার দলৈয়ের হাতে ন্যস্ত আছে । তাহার সহকারিগণ পাত্র, বাসন, সাঙ্গত প্রভৃতি নামে পরিচিত। স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তির উত্তরাধিকারিণী হয়, পিতামাতার সর্বকনিষ্ঠ কন্যা। অন্ত মেয়েরাও কিছু কিছু অংশ পাইয়া থাকে। কিন্তু ছেলেদের ভাগ্যে কাণ৷ কড়িটিও জোটে না, ইহাদের অভাব-বোধ তেমন প্রবল নহে । জীবিকার জন্য দরিদ্রতম লিণ্টেংও ভিক্ষাবৃত্তি অবলম্বন করে না । এই পাৰ্ব্বত্য জাতির নিকট আমাদের ষডগুলি শিক্ষণীয় বিষয় আছে, তন্মধ্যে ইহা একটি । সিণ্টেং রমণীদের দেখিলে বাস্তবিকই চিত্ত প্রসন্ন হয়। ইহার সদা প্রফুল্লচিত্ত, হাসিখুশী ছাড়া এক মুহূৰ্ত্তও থাকিতে পারে না। প্রায় সকলেরই গায়ের রং খুব ফরস, দেহের গড়ন নিটোল এবং স্থডৌল, কেহ কেহ অনবদ্য রূপলাবণ্যসম্পন্ন। ইহার কঠোর পরিশ্রম করিতে পারে। একমণ-দেড়মণ বোঝা পিঠে করিয়া এক দিনে তেত্রিশ-চৌত্ৰিশ মাইল রাস্ত অতিক্রম করা ইহাঙ্গের *८क cभांtüहें कहेगाथा कांछ नरश् । छांङ ब्रtथ1, कां*फ़ • ८नश् वाखि विनि खणषाप्नद्र श्रृष्श् गान-प्रणात्रि थारेष्ठप्झ्न । س-سسه R সিস্টেংদের দেশে ২১৭ কাচী, জঙ্গল হইতে কাঠ কুড়াইয়া জানা, বাজারে জিনিবপত্র সওদা করা, দোকান-পাট চালান ইত্যাদি যাবজীয় কাজ স্ত্রীলোকেরাই করিয়া থাকে । সিণ্টেংরা অত্যন্ত সরল ও বিশ্বাসী । ইহার প্রকৃতির সস্তান। সারাদিন পাহাড়জঙ্গলের ভিতরে প্রকৃতির স্নেহক্রোড়ে থাকিতেই ভালবাসে। প্রাচীনকালে ইহার শ্রীহটের স্বাধীন হিন্দু রাজাদের অধীনে ছিল । শ্রীহট্টের অন্তর্গত জৈস্তার রাজারাই সিণ্টেংদের অধূষিত পাহাড়টিকে জৈস্ত। পাহাড় নামে আখ্যায়িত করেন। তখনকার দিনে ইহার হিন্দুধৰ্ম্মের প্রভাব হইতে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত থাকিতে পারে নাই । গেট সাহেব তাহার আসামের ইতিহাসে সিণ্টেং-রাজাদের সম্বন্ধে লিথিয়াছেন—‘রাজপরিবার ও বিশিষ্ট অভিজাত বংশীয়েরাই অংশত হিন্দু ধৰ্ম্মের আশ্রয়ে আসেন । রাজার শাক্ত ছিলেন '+ এই সমস্ত রাজার এবং তাহাদের অমাত্য বর্গ বস্থ হিন্দু আচার-পদ্ধতি সিণ্টেংদের মধ্যে প্রবর্তন করিয়াছিলেন। আজ ও পর্যস্ত সিণ্টেংদের আচার-ব্যবহার এবং রীতিনীতিতে হিন্দু প্রভাবের বহু ছাপ রহিয়া গিয়াছে ; যেমন গোবর দিয়া গুহপ্রাঙ্গণ লেপিয়া রাখা, গোমাংস ভক্ষণে বিরতি, নরটিয়াঙের সিণ্টেংগণ কর্তৃক বিশ্বকৰ্ম্মার পূজাম্বষ্ঠান প্রভৃতি । কিন্তু এক দিন যাহার আংশিকভাবে আমাদের বৃহত্তর হিন্দু সমাজের অস্তভূক্ত হইয়াছিল, খৃষ্টান মিশনারীদের দীর্ঘকালব্যাপী প্রচেষ্টার ফলে আজ তাহারা আমাদের নিকট হইতে একেবারেক্ট বিচ্ছিন্ন হইয়া গিয়াছে, আমাদের পরস্পরের ভিতরকার যোগস্থত্র আজ ছিল্প হইয়া গিয়াছে । জোয়াই, জৈপ্ত। পাহাড়ে মিশনারীদের সর্বপ্রধান কেন্দ্র। ওয়েলশ মিশন, চার্চ অব ইংল্যাণ্ড, রোমান ক্যাথলিক চার্চ, ইউনিটেরিয়ান চার্চ, ইত্যাদি সব কয়টাই এখানে আডড গাড়িয়াছে। প্রত্যেক রবিবারে গির্জাগুলি সমবেত লিণ্টেং নরনারীর কণ্ঠনিঃস্থত খৃষ্টৰন্দন গানে মুখরিত হইয় উঠে। আর শুধু জোয়াই কেন, জৈস্তা

  • History of Assam by E. A. Gait, р. 262,