পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ <ধ পাশের সঙ্ক বারান্দায় বেরোবার দরজা বন্ধ ছিল সেটা হঠাৎ খুলে গেল। এক ঝলক ঠাগু হাওয়ার সঙ্গে একটা কি যেন মাথার ভেলের গন্ধ ভেসে এল। কি ! গন্ধ এটা ? অন্থর মনে হ’ল এ গন্ধ যেন তার পরিচিত । অন্য মনে করতে চেষ্টা করতে লাগল। হঠাৎ তার মনে পড়ে গেল, তার বড়-জা ধে-রাত্রে মারা যান সেই ভোরে খুর্কীকে বিছানা থেকে তুলতে গিয়ে যখন অহু বড়ঞ্জায়ের বিছানার পাশে দাড়িয়েছিল, তখন সে এই গন্ধটা পেয়েছিল। সদ্যমৃত্যুর বিভীষিকাপূৰ্ণ ঘরে হঠাৎ এই মূছু মিষ্টি একটা গন্ধ তার যেন তখন কেমন খাপছাড়া মনে হয়েছিল, তাই আজও সেই গন্ধটা আমু ভোলে নি । কিন্তু এত যে স্পষ্ট মনে আছে তাও অঙ্ক ষেন জানত না । তাকিয়ে দেখলে দরজা খুলে বড়দি ঘরে ঢুকেছেন–রাস্ত থেকে গ্যাসের আলো এসে তার মুখের উপর পড়েছে। চুল-বাধা-সিথিতে পিছর— ফরসা রঙে বা গালের উপর কালো ষে আচিলটি তার ছিল এই অস্পষ্ট আলোয় সেট যেন আরও কালে৷ দেখাচ্ছে। দিদি বেশ সহজ গলায় জিজ্ঞাসা করলেন, “বরকনে কোন ঘরে রে r” জন্থর মনে পড়ল দিদি তো বেঁচে নেই । তার সমস্ত শরীর ভয়ে অসাড় হয়ে হাত-পা ষেন ঝিমঝিম ক’রে এল । মুখ দিয়ে কথা ফুটছে না, কিন্তু উত্তর না দেবারও সাহস নেই। প্রাণপণ চেষ্টায় স্বর ফুটিয়ে অস্থ উত্তর দিলে, “দক্ষিণ দিকের বড় ঘরে ।” নিজের বিকৃত কণ্ঠস্বরে অঙ্কুর ঘুম ভেঙে গেল । ধড়মড়িয়ে উঠে বলে দেখলে বারান্সার দরজা খুলে গেছে, টবের বেল ফুলের মিষ্ট গন্ধে ঘর ভরা, নিজে এক গা ধেমে উঠেছে । ভয়ে বুকের মধ্যে এমন জোরে ধড়াস ধড়াস শব্দ হচ্ছে ষে, অস্থর মনে হ’তে লাগল শব্দটা কানে শুনতে পাচ্ছে সে। গ্যাসের আলো সত্যই ঘরে এসে পড়েছিল, সেই জালোয় অল্প ঘরের চারদিকটা মায়ের আশীৰ্ব্বাজ $sta একবার ভাল ক’রে দেখে নিলে। এইমাত্র ঘরে কে ছিল, আন্থর ঘুম ভাঙতেই সে যেন চলে গেল এই রকম ७कझे अशङ्कडि अन्नब थटन उथनe ~डे । নীচে একটা হৈ-চৈ গোলমাল শৰ শুনে অস্থ নিজের ভয় সামলে নিয়ে কোনও রকমে উঠে বারান্দার দরজাটা বন্ধ ক’রে নীচে নেমে গেল। গিয়ে দেখে ক’নে ভয় পেয়ে চীৎকার ক’রে উঠেছে ; বাসরে অন্ত ষে মেয়ের রাত জাগবার সঙ্কল্প করে ঢুকে শেষটা শুয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল তারা সকলেই উঠে পড়ে এ ওকে জিজ্ঞাসা করছে, কি হয়েছে, ও একে জিজ্ঞাসা করছে, কি হয়েছে, কেউ কিছু বলতে পারছে না। অল্প ঘরে ঢুকতেই স্বর্ণ লজ্জাচ্ছলে বাসরশষ্য ছেড়ে ঘোমটা ফেলে ছুটে এসে তাকে জড়িয়ে ধরলে। ভয়ে তার সর্বশরীর কাপছে—অদ্ভূট স্বরে বললে, ”কাকীমা, মা এসেছিলেন ।” অঙ্কুর নিজের স্বপ্নের স্পষ্ট অনুভূতি তখনও মন থেকে যায় নি। সে জিজ্ঞাসা করলে, “কি ক’রে জানলি ? স্বপন দেখলি বুকি ?” স্বর্ণ বললে, “স্বপন তো দেখিনি কাকীমা ; আমি তো ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। মা এসে আমার মাথায় হাত দিয়ে আমাকে জাগিয়ে দিয়ে বললেন, “স্বধী হও।” স্বর্ণ কাদতে লাগল। সকলে এসে ঘরে জড়ো হ’ল– সকলেই শুনলে কথাটা, কত লোকে কত রকম ঘলতে লাগল। অল্প নিজের স্বপ্নের কথা কাউকে বললে না । অভর দিয়ে স্বর্ণকে বললে, “বেশ তো তাতে আর ভয় কি ? মা এসে আশীৰ্ব্বাদ ক’রে গেছেন, এ তে ভাগ্যের কথা মা । কার এমন ভাগ্য হয় ? কোনও ভয় নেই, মাকে আবার মেয়ের ভয় কিসের " তার মনে হ’তে লাগল তৃষিত মাতৃহৃদয় ছায়ামূৰ্ত্তি ধ’রে সত্যই কি এতদিন পরে মৃত্যুপার থেকে নববিবাহিত কস্তার মুখখানি দেখবার লোভে ক্ষণিকের জন্ত পৃথিৰীতে এসেছিল ? হবেও বা !