পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

we)? a সিংহলীদের নামের নমুন--টমাস পেরার, জন ফার্ণাণ্ডে, হেনরি ডিসিলভা ইত্যাদি পর্তুগীজ নাম। আমাদের বোম্বাই অঞ্চলের গোয়ানীজদের মত। এসব বিদেশী নাম দেখে কউে মনে না করেন এর খৃষ্ঠান। এর পৃষ্ঠান নয়, অধিকাংশই বৌদ্ধ। ধৰ্ম্ম বৌদ্ধ হলেও নামটা খৃষ্টানী ধরণেই চলেছে । রেভারেগু ধৰ্ম্মপাল সিংহলীদের দেশী নাম রাপবার জন্য অনেক বলেছেন । দেশী নামের রেওয়াজ যে নেই তা নয়। নমুনা জয়সেন, জয় o, তিলক, জয়সিংহ, বিজয়তিলক, $3 বিজয়তুঙ্গ, গুণসিংহ, গুণতিলক, গুণশেপর ইত্যাদি । কাণ্ডি প্রদেশে প্রচিলত নাম পুঞ্চি বাস্ত রণরাজ, বাস্তার নায়ক ইত্যাদি । অনেকে ইউরোপীয় নাম বদলে দেশী নাম রাখছেখবরের কাগজে এরূপ নোটিস ༥s:༦ §§ <് সিংহলী মেয়ে--সাধারণ পোষাকে চোখে পড়তে পারে,- “আমার নাম টমাস ফার্ণাণ্ডে ছিল, অদ্য হইতে আমার নাম সিরিসেন ( শ্রীসেন ) জয়সিংহ ; এতদ্বারা সৰ্ব্বসাধারণকে জানান যাইতেছে যে, অতঃপর আমি এই নামেই অভিহিত হইব । পরিচ্ছদ শহরে যারা ইংরেজী শিক্ষিত তারা তো পুরাদস্তুর সাহেব। দেশী ধরণের সাধারণ পোষাক লুঙি (সিংহলী ভাষায় বলে সারঙ) গায়ে শার্ট বা কোট। পুরাদস্তুর মত হ’লে শার্ট কোট দুই-ই চাই । কোমরে বেণ্ট আছে, অনেকেই রূপার শিকল ব্যবহার করে থাকে, একে সিংহলী ভাষায় বলে হাবাডি। পূর্ণিমার দিনে বৌদ্ধর মন্দিরে পূজা দিতে যায় তখন তাদের বিশেষ বেশ আছে- সব একদম শাদ হওয়৷ চাই । শাদা কাপড় ( রেদ ) জড়িয়ে পরা, কাছা নেই, গায়ে বেনিয়ান (খাট পাঞ্জাবী) ও চাদর (উত্তর সালুমি, সংস্কৃত উত্তরীয় )। প্রবাসী ; SOBO আজকাল ন্যাশনাল ড্রেস বলে এক বেশ ইংরেজীশিক্ষিতদের ভিতর চলিত হয়েছে। এটার প্রবর্তন করেছেন আনন্দ কলেজের অধ্যক্ষ শ্ৰীযুক্ত কুলরত্ন মহাশয় । তিনি বিলাত ফেরৎ হয়েও দেশী পোষাক গ্রহণ করে সংসাহসের পরিচয় দিয়েছেন। তার বেশ হ’ল শাদ। কাপড় ( রেদ ), বেনিয়ান ও চাদর । তার পূৰ্ব্বে রেদার সঙ্গে কোট পর অবশ্যকৰ্ত্তব্য বলে বিবেচিত হ’ত। কিন্তু কোট ছেড়ে বেনিম্নান পরে সভ্য সমাজে চলাফর করলে যে ভব্যতার সামালঙ্ঘন করা হয় ন৷ তিনি প্রথম সংসাহসের সঙ্গে দেখালেন । অবশ্য এজন্য খবরের কাগজের মারফতে র্তাকে এই undignified dicsseT ES EIGT sofoff- STS হয়েছিল, এখনও যে শুনতে হয় ন। এমন নয় । তার রেদ হয় ছ-হাত লম্বা। সিংহলীদের ধে রেদ চলতি তা আরও ছোট । সিংহলের রেদ এক টুকুর শাদ কাপড়, লংক্লথের কাপড় চওড়া করে মুড়ি শেলাই ক’রে নিলেও চলে। ঐযুক্ত কুলরত্ব চালিয়েছেনপাড়ওয়াল ধুতি। সারঙের যে উল্লেখ করেছি ত লুঙির কাপড়ও হয়, বা কোটের বা শার্টের ছিটের কাপড় থেকেও করা হয়। বাঙালীর মত এর চাদর জড়িয়ে পরে না, কাধের দু-পাশ দিয়ে লম্বালম্বি ভাবে ঝুলিয়ে দেয়। আভিজাত্যের নিদর্শন এক পোষাক আছে। এই পোষাক হ’ল সাধারণ স্বটের ওপর একটি বেশী কাপড়ের সংযোগ । পাণ্টলুনের ওপর একটি বেশী কাপড়ের সংযোগ। পাণ্টলুনের ওপর একটা কাপড় জড়িয়ে পরতে হয়, কোমর থেকে হাটুর কিছু নীচে এ কাপড় নাবে। আমাদের দেশের রায়-সাহেব বা রায়-বাহাদুররা যেমন চোগা চাপকান পিরিলি পাগড়ি পরে থাকেন সেকেলে অভিজাত সম্প্রদায়ের সিংহলী মেয়ে—পরণে ‘ওপার”