পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আষাঢ় সিংহলের চিত্র wego সিংহলীরাও তেমনি এ বিশিষ্ট পোষাক পরে থাকেন। অভাবে হাতে স্লেভ ব্যাঙ্গল, তাতে রুমাল গোজ। পায়ে মুহান্দিরাম মুদ্রলিয়াররা এরূপ পোষাক পরেন। মুদ্রলিয়ার হাই-হিল শু। হ’ল আমাদের দেশের রায়-সাহেবের মত। মুহান্দিরাম নিম্নসিংহলী অথবা কলম্বোর তীরবত্তী শিক্ষিত মেমের মুদ্রলিয়ারের চেয়ে ছোট উপাধি। আজকাল কেউ কেউ একেবারে খাটি বাঙালী মেয়েদের অবশ্ব র্যাদের রুচি আধুনিক সভ্যতা অনু্যায়ী, তার সাহেবী মৃটের সঙ্গে এরূপ আর একটি নতুন কাপড়ের সংযোগ করেন না । মলয়দ্বীপ থেকে একটি অদ্ভুত জিনিষের আমদানি হয়েছে, পুরুষের মাথায় কচ্ছপের গোলার চিরুনী ( পানাব)। পুরুষদের মেয়েদের মত লম্ব চুলের খোপা, তাতে চিরুণী গোজা । অনেক সাবেকী ধরণের সিংহলী আছেন, র্যার পূরাদস্তুর সাহেবী পোষাক পরলেও মাথায় খোপা রাখেন ও চিরুণী গোজেন । খোপ ও চিরুণী টপ হ্যাট বা সেকেলে উচু টুপীতে ঢাকা থাকে। পানাব’ শুধু নিম্ন সিংহলীদের ভিতর চলতি, কাণ্ডি অঞ্চলে এর চলন নেই । মেয়েরাও পরে সারঙ পুরুষদের থেকে কোনো তফাৎ নেষ্ট হয়ত একটু রংচং , বেশী। গায়ে আঁটা জ্যাকেট (সিংহলী হেট্ট, সংস্কৃত কঞ্চ ক )। কাণ্ডি অঞ্চলে এক প্রকার শাড়ীর চলন আছে, তাদের ভাষায় বল৷ হয় ‘ওসারী । কোমরের চারদিকে শাড়ীর কতকটা অংশ ঝালরের মত ঝলে থাকে, এবং থাটো আঁচলের এক দিক র্কাধের ওপর পর্য্যস্ত থাকে। ‘ধাতু মন্দির’ মাথায় ঘোমটা দেওয়ার রীতি নেই। বিশেষ কোন পৰ্ব্ব উপলক্ষে বৌদ্ধমন্দিরের প্রাঙ্গণে, নারিকেল পাতায় ছাওয়া কুটার নারিকেল পাতা ও রঙীন নিশানে সুসজ্জিত করা হয় গহনার প্রাচুর্য্য আছে। আমরা যাকে বলি ইঙ্গ-বঙ্গ সেরূপ যদি ইঙ্গ-সিংহলীস শব্দ করা যায়, আধুনিক ধরণের শাড়ী পরার রীতি অনুকরণ করে থাকেন, তারা ‘ওসারীর ইম্প্রভড সংস্করণ প’রে থাকে—"ওসারী এবং বাঙালী মেয়েদের মতই মাথায় কাপড় দিয়ে থাকেন। এবং স্কার্টের মধ্যে যেন কতকটা কম্প্রমাইজ। গহনার এই প্রথা প্রবর্তন করেছেন শ্ৰীযুক্ত (অধুনা স্তর ) ডি.বি.