পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আষাঢ় করিয়াছেন—লাইব্রেরীর জন্য দানই র্তাহাকে চিরস্মরণীয় করিয়া রাখবে। আমেরিক, কানাডা ও ইলেণ্ডের প্রাসাদতুল্য সহস্ৰ সহস্র লাইব্রেরীগৃহ তাহার অক্ষয় কীৰ্ত্তি ঘোষণা করিতেছে। দানবীর কার্শেণীর আদি নিবাস স্কটল্যাণ্ডে । তাহার পিতা তত্ত্ববায়ের কাৰ্য্যে জীবিকার্জন করিতেন । কার্ণেগী তের বৎসর বয়সে যুক্তরাজ্যে একটি স্বতার কারখানায় মাসিক তের টাকা বেতনে প্রথম কৰ্ম্ম গ্রহণ করেন। ক্রমে স্বীয় অধ্যবসায় ও কৰ্ম্মপটুতার গুণে তিনি জগতের মধ্যে একজন শ্রেষ্ঠ ধনী বলিয়া পরিগণিত হন । মিঃ এ. জি. গার্ডনার র্তাহার “Pillars of Society’ (সমাজের স্তম্ভরাজি ) নামক পুস্তকে লিথিয়াছেন : - - একই দেহ এবং আত্মীয় দুই জন এণ্ড কাণেগ বাস করিতেন— এক জন কোটী কোটী টাকা উপাৰ্জন করিতেন আর এক জন সেই অর্থ অকাতরে সদ্ধায় করিতেন—দুই জনের মধ্যে কখনও বিরোধ হইত না— প্রত্যেকেই নিজ নিজ কৰ্ত্তব্য পালন করিয়া অবগু হইতেন । একজন ক্ষুরের স্থায় তীক্ষ্ণধার কঠোর ব্যবসায়ী, অপর জন মুৰ্ত্ত করণ পরার্থে উৎকৃষ্ট প্রাণ ।” ১৮৯৯ খ্ৰীষ্টাব্দে জুন সংখ্যা “নর্থ য়্যাটলাণ্টিক রিভিউ” পত্রে এন্ড্র কর্ণেগী “Gospel of Wealth” of soft প্রবন্ধ লিখেন । তাহাতে অর্থশালী ব্যক্তির কৰ্ত্তব্য সম্বন্ধে তাহার মনোভাব স্বন্দরক্সপে অভিব্যক্ত হইয়াছে। তাহার মৰ্ম্মার্থ হইতেছে যে ধনশালী ব্যক্তি আদর্শ মিতবায়ীর জীবন যাপন ও র্তাহার পোষ্যগণের ন্তাষ্য অভাব পূরণ করিয়া যে অর্থ উদ্ধৃত্ত থাকিবে তাহ স্বীয় বিবেচনামত জনহিতকল্পে ট্রাষ্ট্রীস্বরূপ ব্যয় করিবেন। জ্ঞানবিস্তারে তাহার অগাধ অর্থ ব্যয়িত হইয়া আসিতেছে। তাহার বদান্ততায় নিৰ্ম্মিত &£fae afçî-*|* *Let there be light" ® মন্ত্র অঙ্কিত আছে। একমাত্র জ্ঞানালোক-বিতরণ ছিল তাহার জীবনের প্রধান ব্রত। এখন নিউ ইয়র্কে কার্ণেগী করপোরেশনের কার্য্য আরম্ভ হইয়াছে’-দক্ষিণ-আফ্রিকার লাইব্রেরীর কাৰ্য্যবিস্তারে । সেখানকার অভাব পূরণ হইলে, কোথায় কাৰ্য আরব্ধ হইবে তাহার স্থিরতা নাই। ভারতের দিকে কার্ণেগী করপোরেশনের দৃষ্টি আকর্ষণের আমরা ক্রমাগত চেষ্টা করিতেছি। ভারতবর্ষ উল্লঙ্ঘন করিয়া তাহ অষ্ট্রেলিয়ায় গিয়া পড়িবে কি-না কে জানে ব্রিটিশাধিকৃত উপনিবেশের দাবি হয়ত সৰ্ব্বাগ্রগণ্য হইবে। আমাদের দেশে কার্ণেগীর ন্যায় দানবীর নাই আর যদি বা থাকেন লাইব্রেরীর ন্যায় অনুষ্ঠানের জাতিগঠঙ্গে গ্রন্থালয়ের স্থাল BeS জনা কয়জন মুক্তহস্ত হইবেন ? যে-কোনও কধ্যে সাফল্য লাভ করিতে হইলে অর্থের আবশ্যক। গবর্ণমেণ্টের নিকট অর্থের আশা করা বিড়ম্বনামাত্র। অর্থের অনটনের অজুহাত তে বরাবরই ছিল, এবার তো দেউলিয়া পড়িবার অবস্থা । বিগত মহাযুদ্ধে ইউরোপীয় যে-সব রাজ্য যুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ছিল তাহদের সকলেরই অর্থের অনটন যথেষ্ট হইয়াছিল। যুদ্ধের অবসানে fos Wirral “knowledge is power” (soft ofs) উক্তির মৰ্ম্ম সাগ্রহে গ্রহণ করিয়া জ্ঞানবিস্তারের জন্য অতিশয় ব্যগ্র হইয় পড়েন এবং রাজ্যের সর্বত্র লাইব্রেরী-প্রতিষ্ঠায় অবহিত হন। তন্মধ্যে দাসত্বশৃঙ্খলমুক্ত নবজাগ্রত জাতিদের উৎসাহ সৰ্ব্বাপেক্ষ বেশী দেখা যায়। ভাসাইমের সন্ধির পর লাইব্রেরী-জগতের এক নবযুগ আরম্ভ হইয়াছে। বুলগেরিয়ার প্রাচীন সামাজিক প্রতিষ্ঠান “চিতানিষ্ঠা”গুলিকে উপলক্ষ্য করিয়া রাজ্যের সর্বত্র লাইব্রেরী-প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা হইয়াছে । সেখানকার শিক্ষামঙ্গীর উদ্যোগে ১৯২৮ খৃষ্টাব্দে লাইব্রেরী আইন বিধিবদ্ধ হয়, তাহার ফলে তিন বৎসরের মধ্যে ১৯৮৪টি “চিতানিষ্ঠা” প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। রুমানিয়াতে প্রাচীন “আস্ত্ৰা” এবং "এথিনিয়াম্‌”গুলিকে উপলক্ষ্য করিয়া ৩০০০ লাইব্রেরী স্থাপিত হইয়াছে। যুগোশ্লাভিয়ার শিক্ষামন্ত্রীর অধীনে একটি লাইব্রেরী বিভাগ গঠিত করিয়া এক সহস্র পল্পী লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। হাঙ্গেরী যুদ্ধের আঘাত এতদিনেও সামলাইতে না পারিলেও সম্প্রতি সেখানে বয়স্কদের শিক্ষার wfoa (Adult Education Bill ) to WR's হুইতেছে । তাহার তৃতীয় পরিচ্ছেদে লাইব্রেরী-আন্দোলনের পরিপুষ্টির প্রচুর আয়োজন আছে। চেকোশ্লোভাকিয় অষ্টিয়ার কবল হইতে মুক্তিলাভ করিয়াই জ্ঞানে দিগ্বিজয়ী হইতে কৃতসঙ্কল্প হইয়াছে। পরপদানত জাতি সৰ্ব্ববিষয়ে অবনতির চরমসীমায় গিয়া পৌছিতেছিল । এখন চেকোশ্লোভাকিয়ায় লাইব্রেরীর সংখ্যা দাড়াইয়াছে ১৬,২০০ অর্থাৎ প্রতি ৮৯৪ জন অধিবাসীর জন্য একটি লাইব্রেরী ও প্রতি একশত লোকের জন্ত ৪৪খানি পুস্তকের ব্যবস্থা হইয়াছে। এই ক্ষুদ্র সাধারণতন্ত্রের রাজস্ব হইতে লাইব্রেরীর জন্ত বার্ষিক পনের লক্ষ টাকা ব্যয়িত হুইয়া থাকে। তা ছাড়া প্রথম প্রেসিডেন্ট মাসারিক ভাল পুস্তক প্রকাশ জন্ত মালারিক ইনষ্টিটিউট নামক সভার হন্তে চারি লক্ষ টাকা