পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আষাঢ় once more that it was your early speech about their extra claims that first started M. (i. e.,.. the Mahomelan) hare.”—Morley's Recollections, vol. ii, p. 325. নুতন রকমের ট্যাক্স গত মহাযুদ্ধের পর ইউরোপে যে-কয়টি নূতন রাষ্ট্র গঠিত হয়, চেকোস্লোভাকিয় তাহার মধ্যে অন্যতম। এই রাষ্ট্র নানাদিকে খুব প্রগতিশীল। ইহার গবন্মেণ্ট বিবাহের যৌতুকের উপর ট্যাক্স বসাইয়াছেন। আফ্রিকার কঙ্গে দেশের উরুণ্ডি ও রুয়াণ্ড প্রদেশদ্বয়ে বেলজিয়ান গবন্মেণ্ট কাহারও একটির বেশী স্ত্রী থাকিলে অতিরিক্ত প্রত্যেক স্ত্রীর জন্য স্বামীর উপর ট্যাক্স বসান। ভারতবর্ষে যৌতুকের (অর্থাৎ কাৰ্য্যতঃ বরপণ ও কন্যপণের ) উপর এবং বহুপত্নীক স্বামীদের উপর ট্যাক্স বসাইলে মন্দ হয় না। কিন্তু তাহা হইলে অনেক হিন্দু ও মুসলমান বলিবে, “ধৰ্ম্ম গেল” “আমাদের ধর্মের উপর হস্তপেক্ষ করা হইতেছে” ! কিন্তু পৃথিবীর প্রধান মুসলমান দেশ তুরস্ক আইন দ্বারা বহুবিবাহ বন্ধ করিয়া দিয়াছে, এবং হিন্দু সমাজের কোন কোন জাতি নিজেদের বেরাদরির মধ্যে সৰ্ব্বসম্মতিক্রমে অতি সামান্ত ধৌতুকের ব্যবস্থা করিয়াছে। তুরস্কের মুসলমানদের ধৰ্ম্ম যায় নাই, এবং এই সকল হিন্দুরও ধৰ্ম্ম যায় নাই। হিন্দুদের অনৈক্যের একটি কারণ হিন্দুদের—বিশেষতঃ বাঙালী হিন্দুদের—অনৈক্যের একটি কারণ তাহদের অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা। সংস্কৃতে একটি বচনের শেষে বলা হইয়াছে, “নালে মুনির্যস্য মত ন ভিন্নমূ” “তিনি মুনি নহেন র্যাহার মত ভিন্ন নহে।” আমরা হিন্দুরা মনে করি, র্যাহার মত ভিন্ন নহে, তিনি ত মুনি নহেনই, এমন কি বুদ্ধিমানও নহেন। . বিশ্বভারতীর ভারতীয়তা বিশ্বভারতীর নবপ্রকাশিত ইংরেজী অনুষ্ঠানপত্রে দেখিলাম, এখন ইহাতে ভারতবর্ষের নিম্নলিখিত প্রদেশ ও দেশী রাজ্যগুলি হইতে আগত ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষালাভ করিতেছে — বিবিধ প্রসঙ্গ-সম্প্রদায়-বিশেষের দ্বার স্বরাজ অর্জন 896. আসাম, বাংলা, বিহার, আগ্রা-অযোধ্যা, বোম্বাই (সিন্ধু, গুজরাট), মালাবার, মাম্রাজ, অন্ধনেশ, মহীশূর, হায়দরাবাদ, ত্রিবাঙ্কুর, পঞ্জাব, এবং উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ । তম্ভিন্ন সিংহলের ছাত্রও আছে। বিশ্বভারতীর বিদ্যালয় বিভাগে শিক্ষার বাহন বাংলা । অবাঙালী ছাত্রছাত্রীরা তাহ সহজেই শিখিয়া ফেলে। যাহাঁদের মাতৃভাষা উদ্বু হিন্দী বা গুজরাট, তাহাদের ঐ ঐ ভাষা শিখিবার বন্দোবস্তও আছে। সম্প্রদায়-বিশেষের দ্বার স্বরাজ অর্জন মহাত্মা গান্ধী এক সময় বলিয়াছিলেন—হয়ত অনেক বার বলিয়াছেন, যে, এক গুজরাটই ভারতবর্ষে স্বরাজ স্থাপন করিতে পারে। র্তাহার কথাটির তাৎপৰ্য্য এ নয়, যে অন্ত কোন প্রদেশের লোকদের স্বরাজ-সংগ্রামে যোগ দেওয়া অনাবশ্যক, কিংবা তাহারা এই সংগ্রামের যোগ্য নহে। তিনি ইহাই বলিতে চাহিয়াছিলেন, যে, শুধু গুজরাটে যত লোক আছে, কেবল ততগুলি পুরুষনারীর সম্মিলিত চেষ্টাতেই স্বরাজ অর্জিত হইতে পারে। গুজরাটী যাহাদের মাতৃভাষা তাহাদের সংখ্যা মোটামুটি এক কোটি। এক কোটি লোক স্বরাজের চেষ্ট করিলে তাহা লাভ করা অসাধ্য নয়, ৩৫ কোটি চেষ্টা করিলে ত স্বসাধাই হয়। ইহার মধ্যে একটা কথা উন্থ আছে। এক কোটি যদি চেষ্টা করে, বাকী ৩৪ কোটি যদি উদাসীন ও নিশ্চেষ্ট থাকে, তাহা হইলেও স্বরাজ লব্ধ হইতে পারে। কিন্তু যদি কেবল মাত্র যাট-সত্তর হাজার লোক চেষ্টা করে, বহু কোটি লোক উদাসীন থাকে, এবং কয়েক লক্ষ লোকও স্বরাজবিরোধীদের দলে গিয়া স্বরাজলাভে বাধা দেয়, তাহা হইলে স্বরাজ পাওয়া খুব কঠিন হইয়া উঠে । আমরা ইহা ধরিয়া লইয়া উপরের মতগুলি প্রকাশ করিতেছি, যে, স্বরাজ-সংগ্রামটি হুইবে অহিংস ও বলপ্রয়োগশূন্ত, কিন্তু স্বরাজপ্রতিষ্ঠায় বাধা-দান অহিংস ও সহিংস এবং বলপ্রয়োগশূন্ত ও বলপ্রয়োগসাপেক্ষ উভয়বিধ উপায়েই হইতে পারে। আরও একটা কথা উন্থ আছে। অপেক্ষাকৃত অল্পসংখ্যক লোক যদি স্বরাজলাভের চেষ্টা করে, তাহা হইলে বাকী লোকদের উদাসীন বা শত্রুভাবাপন্ন হইবার সম্ভাবনা কম হইবে,